আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
239 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (58 points)
ইসলামের বিধান হচ্ছে দেনমোহর সহবাসের পূর্বেই পরিশোধ করা। অথবা শর্ত সাপেক্ষে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অবকাশ পাওয়া। তবে দেনমোহর পরিশোধ করতেই হবে।


এটা কি অযৌক্তিক বিধান নয়?  কারন, স্ত্রী যদি প্রতারক হয়, দাম্পত্য দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন না করে, স্বামীকে সন্তুষ্ট করতে না পারে, সেক্ষেত্রে স্বামী কেন দেনমোহর প্রদান করবে? এটা কি অন্যায় নয়?


বিধান এমন হওয়া উচিত ছিল যে, স্ত্রী দাম্পত্য দায়িত্ব পালনে বাধ্য থাকবে। স্বামীকে সন্তুষ্ট করতে পারলেই দেনমোহরের অধিকারী হবে। যদি স্ত্রী প্রতারক বলে সাব্যস্ত হয়, দাম্পত্য দায়িত্ব পালনে অস্বীকৃতি জানায়, স্বামীর সাথে একসাথে বসবাস না করে সেক্ষেত্রে স্ত্রী দেনমোহর পাবেনা।


দেখা যায়, ইসলামের এমন বিধানের কারণে, অসংখ্য নারী কাবিন ব্যাবসায় জড়িয়ে পড়ছে। তারা টাকার জন্য বিয়ে করছে। আর পুরুষকে বিপদে ফেলছে।


আল্লাহ তো ন্যায়বিচারক। তবে পুরুষের প্রতি এমন জুলুম কিভাবে তিনি করতে পারেন?

1 Answer

0 votes
by (616,950 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হাদীসে বিয়ের জন্য দ্বীনদ্বার মহিলাকে খুজতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। যেমন,রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেনঃ
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ : ( تُنْكَحُ الْمَرْأَةُ لِأَرْبَعٍ : لِمَالِهَا ، وَلِحَسَبِهَا ، وَلِجَمَالِهَا ، وَلِدِينِهَا ، فَاظْفَرْ بِذَاتِ الدِّينِ تَرِبَتْ يَدَاكَ) 
চারটি জিনিস দেখে মহিলাকে সাধারণত বিয়ে করা হয়,(১)সম্পদ(২)বংশ(৩)সুন্দর্য্য (৪)দ্বীনদারী।
কিন্তু তুমি দ্বীনদারীত্বকে অগ্রাধিকার দাও।{যদি তা না করো তবে তুমি ক্ষতিগ্রস্ত হবে(تَرِبَتْ يَدَاكَ এর অনেক ব্যাখার একটি ব্যাখা)}(সহীহ বুখারী-৪৮০২সহীহ মুসলিম-১৪৬৬) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/18

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
বিয়ের সাথে সাথেই স্ত্রী অর্ধেক মহরের মালিক হয়ে যায়, এবং বাসর রাত তথা প্রথম সহবাসের সাথে সাথেই বাকী অর্ধেকের মালিক হয়ে যায়। এটা নারী জাতীর জন্য সম্মানের,যা কুরআন তাদেরকে দিয়েছে। কোন কোন বিধান কার জন্য কতটুকু উপযুক্ত তা আল্লাহই ভালো জানেন।আমাদের জ্ঞান বুদ্ধির সীমারেখা কম,তাই আমাদের সব সময় বুঝে নাও আসতে পারে।

নারীবাদীরা বলে থাকে, নারীরা কেন অর্ধেক সম্পত্তি পাবে? কেন নারীদের হাতে তালাকের ক্ষমতা থাকবে না? কেন নারীরা একাধিক বিয়ে করতে পারবে না? কেন নারীদেরকে ঘরে বসে থাকবে? এ সব প্রশ্নও সম্ভবত আপনি শুনে থাকবেন!!

নারীকে প্রাথমিকভাবে মহর দিয়ে দিলেও তালাকের মালিকতো একমাত্র পুরুষ।পুরুষ তালাক না দিলে তো নারী কখনো অন্যত্র গিয়ে বিয়ে বসতে পারবে না। বিয়ের সময় সতর্কতার সাথে স্বামী লক্ষ্য রাখবে যে, কাবিননামায় চালাকি করে স্ত্রী কি তালাকের অধিকার নিয়ে নিচ্ছে? 

প্রতারণামূলক ঘটনা হয়তো দুয়েকটা ঘটতে পারে, তাই এটাকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলেই বিবেচনা করা হবে। এজন্য প্রথম থেকেই দ্বীনদার মহিলা খুঁজে বিয়ের প্রস্তাব দিতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (616,950 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।
by (58 points)
যথেষ্ট দেখেশুনে খোজখবর নেবার প্র দ্বীনদার পরিবারে দ্বীনদার মেয়েকে বিয়ে করার কারণে দ্রখা যায়, পরিবার ও আশেপাশের মানুষ দ্বারা প্রভাবিত হয়ে বা পরপবর্তীতে বেদ্বীন হয়ে গিয়ে স্বামীকে তালাক প্রদানে বাধ্য করে তখন তাকে কেন দেনমোহর দিতে পুরুষ বাধ্য থাকবে? দ্বীনদার মেয়ে দেখেই যদি বিয়ে করতে হয় তবে দেনমোহর এর সম্মান কেবল দ্বীনদার মেয়েদের ই পাওয়া উচিত না? সত্যি কথা বলতে ইসলামের এ বিধান যথেষ্ট অসংগতিপূর্ণ আর পুরুষদের উপর জুলুম ই মনে হয়। এর ব্যাখ্যা থাকা উচিত। ইসলামের সব বিধানে সামঞ্জস্য আছে। এই বিধানে কেন সামঞ্জস্য নেই! এ কেমন বিধান!
by (616,950 points)
হয়তো আপনার সাথে কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে, যেজন্য আপনি অসঙ্গতিপূর্ণ বিধান মনে করছেন। কিন্তু বাস্তব সত্য হল, অধিকাংশ ক্ষেত্রে নারীরাই নির্যাতিত থাকে, এবং এটাই স্বাভাবিক। নারীরা সৃষ্টিগতভাবে দুর্বল হওয়ার  কারণে তারাই অধিকাংশক্ষেত্রে নির্যাতিত থাকে। আল্লাহর সমগ্র মানবজাতীর বিবেচনা করেই বিধান দিয়েছেন। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...