আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
90 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (13 points)
জবাব, وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته بسم الله الرحمن الرحيم শরীয়তের বিধান হলো এব বৈঠকে ৩ তালাক দেওয়া হোক,বা একাধিক বৈঠকে, এক শব্দে ৩ তালাক দেওয়া হোক বা একাধিক শব্দে ৩ তালাক দেওয়া হোক,সব ছুরতেই ৩ তালাকই পতিত হয়ে যাবে। সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে তিন উক্ত স্ত্রীর উপর তিন তালাক পতিত হয়ে গিয়েছে। তিন তালাক দেবার পর উক্ত মহিলা আর নিজের স্ত্রী থাকে না। পর মানুষ হয়ে যায়। তাকে নিয়ে ঘর সংসার করা যেনার সংসার হবে। যেনার গুনাহ হবে। এটিই অমোঘ বিধান। এক্ষেত্রে সূরত একটিই বাকি আছে। তা হল, আপনার চাচির অন্যত্র বিবাহ হতে হবে।তারপর সেই স্বামীর সাথে স্বাভাবিক ঘর সংসার করতে হবে। এমনকি শারিরীক সম্পর্ক হতে হবে। তারপর উক্ত স্বামী যদি আপনার চাচিকে তালাক দেয়, তারপর ইদ্দত শেষ হয়, তাহলেই কেবল আপনার চাচা আবার আপনার সেই চাচিকে বিবাহ করতে পারবেন। এবং আবার ঘর সংসার করতে পারবেন। এছাড়া দ্বিতীয় কোন রাস্তা খোলা নেই। মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ فَإِن طَلَّقَهَا فَلَا تَحِلُّ لَهُ مِن بَعْدُ حَتَّىٰ تَنكِحَ زَوْجًا غَيْرَهُ ۗ فَإِن طَلَّقَهَا فَلَا جُنَاحَ عَلَيْهِمَا أَن يَتَرَاجَعَا إِن ظَنَّا أَن يُقِيمَا حُدُودَ اللَّهِ ۗ وَتِلْكَ حُدُودُ اللَّهِ يُبَيِّنُهَا لِقَوْمٍ يَعْلَمُونَ [٢:٢٣٠] তারপর যদি সে স্ত্রীকে (তৃতীয়বার) তালাক দেয়া হয়, তবে সে স্ত্রী যে পর্যন্ত তাকে ছাড়া অপর কোন স্বামীর সাথে বিয়ে করে না নেবে,তার জন্য হালাল নয়। অতঃপর যদি দ্বিতীয় স্বামী তালাক দিয়ে দেয়,তাহলে তাদের উভয়ের জন্যই পরস্পরকে পুনরায় বিয়ে করাতে কোন পাপ নেই। যদি আল্লাহর হুকুম বজায় রাখার ইচ্ছা থাকে। আর এই হলো আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত সীমা;যারা উপলব্ধি করে তাদের জন্য এসব বর্ণনা করা হয়। [সূরা বাকারা-২৩০] وقال الليث عن نافع كان ابن عمر إذا سئل عمن طلق ثلاثا قال لو طلقت مرة أو مرتين فأن النبي صلى الله عليه و سلم أمرني بهذا فإن طلقتها ثلاثا حرمت حتى تنكح زوجا غيرك হযরত নাফে রহ. বলেন,যখন হযরত ইবনে উমর রাঃ এর কাছে ‘এক সাথে তিন তালাক দিলে তিন তালাক পতিত হওয়া না হওয়া’ (রুজু‘করা যাবে কিনা) বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলো,তখন তিনি বলেন-“যদি তুমি এক বা দুই তালাক দিয়ে থাকো তাহলে ‘রুজু’ [তথা স্ত্রীকে বিবাহ করা ছাড়াই ফিরিয়ে আনা] করতে পার। কারণ,রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে এরকম অবস্থায় ‘রুজু’ করার আদেশ দিয়েছিলেন। যদি তিন তালাক দিয়ে দাও তাহলে স্ত্রী হারাম হয়ে যাবে, সে তোমাকে ছাড়া অন্য স্বামী গ্রহণ করা পর্যন্ত। {সহীহ বুখারী-২/৭৯২, ২/৮০৩} বিস্তারিত জানুনঃ https://ifatwa.info/3190/ (আল্লাহ-ই ভালো জানেন) ------------------------ মুফতী ওলি উল্লাহ ইফতা বিভাগ Islamic Online Madrasah(IOM)


question:আস্সালামুআলাইকুম হুজুর ,,আমি এই জবাবটা একজনের করা প্রশ্ন থেকে খুঁজে পেয়েছি ,যেটা পড়ার পর থেকে আমার ভিতরে একটা প্রশ্ন খুব বেশি পোড়াচ্ছে আমাকে ,যতক্ষণ পর্যন্ত না আমি উত্তর পাচ্ছি আমি শান্তি পাচ্ছিনা ,,হুজুর আমি খুবই তুচ্ছ জ্ঞানী তাই আমার কথায় ভুল থাকলে দয়া করে ক্ষমা করবেন। ...হুজুর আমাদের ইসলাম তো অনেক সহজ সরল জীবন ব্যবস্থা এতে কোনো সন্দেহ নেই ,,,,একজন স্বামী তার বউকে রাগের মাথায় ৩ তালাক বলে দিলেও যদিও তালাক হয়েও যায় তাহলে সেই বউকে আবারো বিবাহ করে নিলেই সে আবারো তার স্ত্রী হয়ে যাবেনা কেন !? মানে সেই মেয়েকে আবার অন্যজায়গায় বিবাহ করে সহবাস করার পরেই নিজের স্বামীকে পুনঃরায় বিবাহ করতে হবে কেন !? আল্লাহ মাফ করুক তার নিয়ম/বিধানের উপর আমরা কিছু কল্পনাও করা পাপ ,,,আমার শুধু জানার ইচ্ছা যে এমনটা কেন করতে হবে !? একজন নারী নিজের স্বামীর পরে তার জায়গাটা কিভাবে অন্য একজন পুরুষকে দিতে পারে ,,,,এটা কিভাবে সম্ভব! এটা তো মরে গেলেও ভাবা সম্ভব না ,,,যেই স্বামীকে আমি ভালোবাসবো শুধুমাত্র তারকাছেই নিজেকে উৎসর্গ করবো ,, সে যদি মারাও যায় ,একজন মেয়ে হিসেবে তো আমাকে বাকি জীবনটা তার স্মৃতি নিয়েই কাটাতে হবে ,,,,আর এটাইতো প্রতিটা নারীর বৈশিষ্ট্য তা নয় কি! নিজের স্বামী ব্যতিত কিভাবে পরবর্তীতে আবারো আরেকজনকে বিবাহ করে তার কাছে নিজেকে একইভাবে সমর্পন করা সম্ভব !? এটাতো ভাবতেও গা কেঁপে উঠে ,,,,সেখানে এটাই আমাদের বিধান! আর স্বামিটিই বা কিভাবে এটা মেনে নিতে/সহ্য করতে পারবে.! ?, **আমি শুধু জানতে চাই যে তালাক হবার পরে অন্যত্র বিয়ে করে সহবাস করার পরেই নিজের স্বামীকে আবার বিবাহ করতে হবে কেন !? আল্লাহ তো সব কিছুই কোনো না কোনো কারণেই করতে বলেছেন ,আল্লাহর সব বিধানের পিছনেই তো কোনো না কোনো কারণ আছে। ...তো এই পদ্ধতিটার ভালো দিক কোনগুলো../এর কারণের কি কোনো বাখ্যা আছে ? আর তালাকটা এতো সহজেই হয়ে যাবে কেন ,,,,এতো বড় একটা বিষয় ,,,অথচ মজা করে মুখে আনলেও তালাক হয়ে যাবে! মানে বিষয়টা এতই সহজ ,,,,তাহলেতো যারা এই হাদিস সম্পর্কে জানেনা এদের মধ্যে অনেকেই নিজের জীবনসঙ্গীর সাথে তালাক হয়ে গিয়েছে এটা না জেনেই সংসার করেই যাচ্ছেন। যেমন উনি যে মজা করে বলেছেন ,উনি চাইলে প্রশ্নটি নাও করতে পারতেন কল্পনাও করতে না পারতেন যে আমার এই ছোট্ট মজার কথাটাতে এতো বড় একটা ঘটনা ঘটে যাবে। ....

1 Answer

0 votes
by (712,400 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
 فَإِن طَلَّقَهَا فَلَا تَحِلُّ لَهُ مِن بَعْدُ حَتَّىٰ تَنكِحَ زَوْجًا غَيْرَهُ ۗ فَإِن طَلَّقَهَا فَلَا جُنَاحَ عَلَيْهِمَا أَن يَتَرَاجَعَا إِن ظَنَّا أَن يُقِيمَا حُدُودَ اللَّهِ ۗ وَتِلْكَ حُدُودُ اللَّهِ يُبَيِّنُهَا لِقَوْمٍ يَعْلَمُونَ [٢:٢٣٠] 
তারপর যদি সে স্ত্রীকে (তৃতীয়বার) তালাক দেয়া হয়, তবে সে স্ত্রী যে পর্যন্ত তাকে ছাড়া অপর কোন স্বামীর সাথে বিয়ে করে না নেবে,তার জন্য হালাল নয়। অতঃপর যদি দ্বিতীয় স্বামী তালাক দিয়ে দেয়,তাহলে তাদের উভয়ের জন্যই পরস্পরকে পুনরায় বিয়ে করাতে কোন পাপ নেই। যদি আল্লাহর হুকুম বজায় রাখার ইচ্ছা থাকে। আর এই হলো আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত সীমা;যারা উপলব্ধি করে তাদের জন্য এসব বর্ণনা করা হয়। [সূরা বাকারা-২৩০]

 وقال الليث عن نافع كان ابن عمر إذا سئل عمن طلق ثلاثا قال لو طلقت مرة أو مرتين فأن النبي صلى الله عليه و سلم أمرني بهذا فإن طلقتها ثلاثا حرمت حتى تنكح زوجا غيرك
 হযরত নাফে রহ. বলেন,যখন হযরত ইবনে উমর রাঃ এর কাছে এক সাথে তিন তালাক দিলে তিন তালাক পতিত হওয়া না হওয়া(রুজু করা যাবে কিনা) বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলো,তখন তিনি বলেন-যদি তুমি এক বা দুই তালাক দিয়ে থাকো তাহলে রুজু [তথা স্ত্রীকে বিবাহ করা ছাড়াই ফিরিয়ে আনা] করতে পার। কারণ,রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে এরকম অবস্থায় রুজু করার আদেশ দিয়েছিলেন। যদি তিন তালাক দিয়ে দাও তাহলে স্ত্রী হারাম হয়ে যাবে, সে তোমাকে ছাড়া অন্য স্বামী গ্রহণ করা পর্যন্ত। {সহীহ বুখারী-২/৭৯২, ২/৮০৩} 


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
তিন তালাকের পর স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। অতঃপর তাদের জন্য বিধান হল যে,তারা অন্যত্র সংসার করবে,এটাই ইসলামের বিধান।
হ্যা ঘটনাক্রমে যদি সেই তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রীর অন্য কোথাও বিয়ে হয়, এবং বিয়ের পর উক্ত স্বামী স্ত্রীর পরিপূর্ণ সংসার হয় তথা সহবাস হয়, তারপর ঘটনাক্রমে বনাবনি না হওয়ার কারণে তালাক হয়ে যায়, এবং এই স্ত্রী তার প্রাক্তন স্বামীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে চায়, তাহলে তখন পূর্বের স্বামীর সাথে আবদ্ধ হওয়া জায়েয হবে। এটা আল্লাহর বিধান,চোখ বুঝে মেনে নিতে হবে।এখানে লাভক্ষতির চিন্তা করলে হবে না। কেননা আল্লাহর হেকমত বান্দার জন্য বুঝা সম্ভবপর নয়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...