জবাবঃ
গোসল ফরয হয়তো স্ত্রী সহবাস বা স্বপ্নদোষের কারণে হতে পারে।যদি স্বপ্নদোষের কারণে হয়ে থাকে,তাহলে এর বিধান হল,
স্বপ্নদোষের কারণে গোসল ফরয হবে।মনে থাকুক বা নাই থাকুক।যদি জাগ্রত হওয়া পর বীর্যের আছর পরিলক্ষিত হয়,তাহলেও এক্ষেত্রে গোসল ফরয হবে।
স্বপ্নদোষ হলে শুধুমাত্র নাভী থেকে পা পর্যন্ত ধৌত করলে হবে না বরং গোসল করা লাগবে এবং এক্ষেত্রে গোসল করা ফরয।শরীর অপবিত্র হয়ে যাবে।যে সমস্ত আ'মলের জন্য পবিত্রতা প্রয়োজন তা গোসল ফরয অবস্থায় করতে পারবেন না।যেহেতু ফজরের পূর্বে আর কোনো ফরয আ'মল নেই তাই ফজরের নামাযের পূর্বে গোসল না করলেও চলবে।তবে এক্ষেত্রে অজু করে ঘোমাতে হবে।যেমন এক হাদীসে নবীজী সাঃ বলেনঃ
হযরত আয়েশা রাযি থেকে বর্ণিত
ﻋﻦ ﻋﺎﺋﺸﺔ ﺃﻥ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻛﺎﻥ ﺇﺫﺍ ﺃﺭﺍﺩ ﺃﻥ ﻳﻨﺎﻡ ﻭﻫﻮ ﺟﻨﺐ ﺗﻮﺿﺄ ﻭﺿﻮﺀﻩ ﻟﻠﺼﻼﺓ ﻗﺒﻞ ﺃﻥ ﻳﻨﺎﻡ
যখন নবীজী সাঃ জুনুবী(ফরয গোসল)অবস্থায় ঘোমানোর ইচ্ছা করতেন।তখন তিনি নামাযের অজুর মত অজু করতেন।(সহীহ মুসলিম-৩০৫)
হযরত উম্মে সালমা রাযি থেকে বর্ণিত,
عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ أَنَّهَا قَالَتْ جَاءَتْ أُمُّ سُلَيْمٍ امْرَأَةُ أَبِي طَلْحَةَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ : ( إِنَّ اللَّهَ لَا يَسْتَحْيِي مِنْ الْحَقِّ هَلْ عَلَى الْمَرْأَةِ مِنْ غُسْلٍ إِذَا هِيَ احْتَلَمَتْ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَعَمْ إِذَا رَأَتْ الْمَاءَ )
তিনি বলেন,হযরত আবু তালহা রাযি এর স্ত্রী উম্মে সুলাইম রাযি রাসূলুল্লাহ সাঃ এর নিকট এসে বললেন,ইয়া রাসূলুল্লাহ সাঃ! নিশ্চয় আল্লাহ হককে প্রকাশ করতে লজ্জাবোধ করেন না,মহিলার উপর কি গোসল ফরয হবে, যখন মহিলার স্বপ্নদোষ হবে?
রাসূলুল্লাহ সাঃ বললেন,হ্যা মহিলার উপরও গোসল ফরয হবে,যখন মহিলা পানিকে দেখবে।(সহীহ বোখারী-৩৭৩,সহীহ মুসলিম-৪৭১)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যদি ঠান্ডা পানি ব্যবহারে জীবন নাশ বা অসুস্থতা বৃদ্ধির আশংকা থাকে,তাহলে গরম পানি দিয়ে গোসল করে নামায আদায় করতে পারবেন।এ ব্যাপারে কোনো প্রকার শীতিলতা নেই।হ্যা গরম পানির যদি কোনো ব্যবস্থা না থাকে অথবা গরম পানি ব্যবহার করলেও অসুস্থতা বৃদ্ধির পূর্ণ আশংকা থাকে, তাহলে এমতাবস্থায় তায়াম্মুম করততে পারবেন।আহসানুল ফাতাওয়া-২/৫৬