আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
127 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (23 points)

আসসালামু আলাইকুম....৷
১।হুজুর আল্লাহকে বিধাতা, প্রভু,মাবুদ নামে ডাকালে কি শিরক বা গুনাহ হবে?

২।আল্লাহকে গড বলা যাবে কি?

৩।বর্তমানে আমরা দেখি যে ভিবিন্না গানে অনেক শিরকি কথাবার্তা থাকে।ত এখন দেখা যায় ভিবিন্ন ওয়াজ মাহফিলের ভিডিওতে মানুষ ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক লাগায়।এখন মিউজিকা মানে গানে বাজনা বাজাতে মানে সেখানে যেগেত্য গান গান বাজে না তবে শুধু গানটা বাজনা যুত্ত রিংটোন বাজায় তাই বুজা যায় না যে সেই গানে শিরক আছে নাকি এমন ওয়াজ দেখলে কি শিরক হবে? বা আমার যদি নাটক সিনেমা দেখার অভ্যাস থাকে আর সেখানে বাজনা বাজায় আমিত জানিনা যে অইছনে যে ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক বাজতাছে সেই গানে শিরক বা কুফিরি আছে নাকি এখন শিরক থাকতেও পারে নাও থাকতে পারে কিন্তু আমি যদি নিশ্চিত না হই যে এই গানে শিরক আছে বা  বুজতে না  পারি যে এই নাটকে যে গানের রিংটোন বাজনা হিসাবে বাজতাছে সেটায় শিরক আছে বা কুফুরি আছে কিনা তবে থাকলেও থাকতে পারে তবুও যদি আমি নাটক দেখি আমি কি কাফের হয়ে যাব যদি আস্লেই সেটা শিরক যুত্ত গানের রিংটন লাগিয়ে রাখে??আমিয় বুজতে পারতাছিনা এখানে গান না বেজে শুধু রিংটোন বাজাতে??

৪।এমন পরিস্থিতে যদি আমি সাউন্ড কমুয়ে বাজনা না শুনে ভিডিও দেখি তবুও কি শিরক হবে?এখানেত গান শুনতাছিনা বাজনাও শুনতাছিনা সাউন্ড অফ করে শুধু ভিডওটা দেখতাছি এমন করলে কি কুফুরি বা শিরক হবে?

৫।কুন কুন কাজে in sha allah বলব এটা নিয়ে অনেক ওয়াসওয়াসা আসে মনে কখন কিভাবে ব্যবহার করব?

৬।আমরা জানি যে আল্লাহ মানব ও জ্বীন জাতি বানিছে কিন্তু আমরা যদি মেয়ে জ্বীনকে পরি বলি এতে কি সমস্যা হবে?

৭।বা ধরেন যে একটা গানে বল্ল আমি পরি এখব গায়কের মনে যদি থাকে যে সে পরি বলতে জ্বীন বা অন্য জাতিকে বুজাচ্ছে কিন্তু আমি সেই গান শুনার সময় যদি মেয়ে জ্বীনকেই কল্পনা করি তবে কি আমার কুফ্রি হবে?গায়ক্কের মনে যাই থাকুক না ক

৮ হুজুর আমরা একটা নাটক করি যেখানে একজন হিন্দু মেয়ে ক্ষমা চায় একজন মুসলিম মেয়ের কাছে আমরা না মানে সে নাটকে আমাদের কাছে এমন করে ক্ষমা চাইছে সেই দৃশ্যটা আমরা রেখে দিতেছি এজন্য আমাদের কুন শিরক বা কুফুরি হবে নাকি?

৯।ইফতা বিভাগে ধরেন কেউ হুরমত সাব্যস্থ হল নাকি এই নিয়ে লিখিত ফতোয়া দিল এখন ইফতা বিভাগ থেকে ফতোয়া আসতে বলেছে যে ১মাস সময় লাগবে জটিল মাসালা।ত এখন তারা তাদের সম্পর্ককে হালাল না হারাম ধরবে যেহেতু হালাল না হারাম আছে এমন একটা বিষয় এখানে চলে এসেছে? আর যদি সামি ইফরা থেকে ফতোয়া আসার আগ পর্যন্ত তাদের সম্পর্ক  একান্ত হালালই ধরে নেয় এক্ষেএে কি সামি কুন শিরক বা কুফুরির গুনাহ হবে?.।

১০।এক্ষেএে সামি যদি হালাল ধরে নেয়াতে কুফুরি করে থাকে তবে যেহেতু ইফতা থেকে ফতোয়া আসতে সময় লাগবে তাই সে সামিকে হালাল বা হারাম কুনটাই মনে করে না।তবে সামির সাথে কথা বলে এটা জানা সত্তেও যে তার সামি তাদের সম্পর্কে হালাল ধরে নিছে সম্পর্ক  হারাম হয়ে গেছে প্রমানিত হওয়া না পর্যন্ত। তবুওবউ কথা বলাতে কি বউয়ের শিরক বা কুফুরি হবে

১১।হুজুর আমি শুনেছি একাধিক মাজহাব মানা জায়েজ নাই।ত আমার যেহেতু আপনাকে বিশস্ত আলেম মনে হয় তাই আপনাকে আমি অনুসরন করতে চাই তাই দয়া করে আপনার মাজহাব টা জানাবেন?

১২।আল্লাহর কোন কোন নামের সাথে আব্দুল্লাহ ব্যবহার না করলে শিরক হবে?

১৩।কিভাবে বুজব যে একটা হাদিস সহিস??

১৪।হুজুর নার্সিং প্রফেশনে নার্সদের মাথায় একটা টুপি পড়ানো হয় এটা পড়া কি জায়েজ?বা এটা পড়লে কি বড় বা ছোট কুফুরি বা শিরক হবে?

১৭।হুজুর কোন ওয়াসওয়াস্র রুগিকে একা পেয়ে  কেউ যদি খারাপ ভাবে স্পর্শ৷ এবং সেখানে ৯৮%সম্ভাবনা থাকে হুরমত হওয়ার তবে  কিন্তু আবার সন্দেহ ও থাকে যে উত্তেজন ছিল কিনা তখন সেক্ষেএে কি ওয়াসওয়াসা রুগির কথা গ্রহন যোগ্য হবে?নাকি সে ওয়াসওয়াসর রুগি হওয়াতে৷ তার থেকে ঘটনা বর্ননা শুনার কুন দরকার নাই এবং ঘটনাটি যদি ৩বছর আগে ঘটে থাকে। হুরমত হয়েছে বলে ধরা হবে?নাকি ওয়াসওয়াসা রুগি যা হলে সেই ঘিটনা পুরাটা শুনে গবেষনা করে বের করতে হবে এরপর হুরমত হল কিনা জানাতে হবে যেমন হুজুর আমি আপনাকে কিছুদিন আগে একটি পুএবধুকে কিছু খারাপ কথা বলে চুম্মন করে ত আপনি পুরা ঘটনা শুনে বলেছেন যে না হুরমত হয়নি।মেয়েটি ছিল ওয়াসওয়াস রুগি যখন ঘটনা ঘটে তখন ও রুগি ছিল এখনও আছে ত তবুও কি প্রশ্নের উত্তর একই থাকবে যে হুরমত হয়নি.।নাকি ওয়াসওয়াস রুগি হএয়াতে তার কথা বাদ দিয়ে হুরমত ঘটতে পারে এমন ঘটনা ঘটাতে হুরমত হয়ে যাবে ঘটনার বর্ননার দরকার নাই?যেহেতু ঘটনাটা ৩টি বছর আগে ঘটে এবং এখন হুরমত জানাতে প্রশ্ন করা হয়েছে?

১৮।নামের মাজে মাহফুজুর রহমান থাকে এভাবে আব্দুল না দিয়ে রহমান দিলে কি শিরক হবে?

১৯।যদি কারও নাম অন্যন্যা হয় তা রাখা কি জায়েজ?আল্লাহকে কি অন্যন্যা হলা যাবে এই নামের অর্থ এক ও অদিত্ব ীয়

২০।আমি ওয়াসওয়াস্র রুগি হওয়াতে আমার মনে হয় হুরমতের মাসালার সমস্যা সমাধান হলেও আবার হয়ত দুইদিন পর ওয়াসওয়াস আসবে।আর আমার সামি যেহেতু ইফতা থেকে ফতোয়া আসাএ আগে সম্পর্ক হালালই ধরে নিছে এবং আমি উত্তর জানতে পারছি যে হুরমত হয় নাই তবে কি এখন হুরমত যে হয় নাই এই ভিত্তিতে তাকে সত্যি না বলি যে সে ত হুরমত হয়েছে তা প্রমান না হওয়া পর্যনত হালালই ধরে নিছে..যেহেত্য সে হালাল ধরে নিছে আমি নাহয় কয়দিন পরব বলব ওয়াসওয়াসা রুগের চিকিসা করিয়ে।কারন নাহয় আবার শুরু হবে ওয়াসওয়াসায়া এতে কি আমার কুন গুনাহ বা ছুট বা বড় শিরক বা কুফুরি হবে?

 

by
এতো গুলো প্রশ্ন একসাথে না করে ভেঙ্গে ভেঙ্গে করলে ভালো হবে।  আর ওসওয়াসা জনিত প্রশ্ন না করে যে সকল প্রশ্ন একই টপিকের আওতায় আসে সেগুলো করবেন। 

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
*বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।*

আবূ হারূন আল-আবদী (রহঃ) থেকে বর্ণিত।
عَنْ أَبِي هَارُونَ الْعَبْدِيِّ، قَالَ كُنَّا إِذَا أَتَيْنَا أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ قَالَ مَرْحَبًا بِوَصِيَّةِ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ . إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ لَنَا " إِنَّ النَّاسَ لَكُمْ تَبَعٌ وَإِنَّهُمْ سَيَأْتُونَكُمْ مِنْ أَقْطَارِ الأَرْضِ يَتَفَقَّهُونَ فِي الدِّينِ فَإِذَا جَاءُوكُمْ فَاسْتَوْصُوا بِهِمْ خَيْرًا "
 তিনি বলেন, আমরা আবূ সাঈদ আল খুদরী (রাঃ) -এর কাছে এলেই তিনি বলতেনঃ তোমাদের জন্য রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ওসিয়ত অনুযায়ী স্বাগতম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের বলতেনঃ লোকেরা অবশ্যই তোমাদের অনুগামী। অচিরেই পৃথিবীর দিকদিগন্ত থেকে লোকেরা তোমাদের নিকট দ্বীনি ইলম অর্জনের জন্য আসবে। তারা যখন তোমাদের নিকট আসবে,তখন তোমরা তাদেরকে ভালো ও উত্তম উপদেশ দিবে।(সুনানু তিরমিযি-২৪৯,তিরমিযী ২৬৫০-৫১, মুওয়াত্ত্বা মালিক ২৪৭।)

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
অতীব জরুরী ও সাধারণ মাস'আলা মাসাঈল আয়ত্বে না থাকার কারণে দৈনন্দিন জীবনে দ্বীন-ইসলাম পালন করতে, যে সমস্ত দ্বীনি ভাই-বোন থমকে দাড়ান,এবং যাদের দ্বীনি ইলম অর্জনের কাছাকাছি কোনো নির্ভরযোগ্য মাধ্যম নেই, মূলত তাদেরকে দিকনির্দেশনা দিতেই আমাদের এ ক্ষুদ্র প্রয়াস .....

মুহতারাম/মুহতারামাহ!
দ্বীনের পরিধি অনেক ব্যাপক, সকল বিষয়ে আলোচনা করা বা দিকনির্দেশনা দেওয়া স্বল্প পরিসরের এই ভার্চুয়ালি মাধ্যম দ্বারা আমাদের পক্ষে সম্ভব নাও হতে পারে। চেষ্টা করলেও প্রশ্নকারীর পিপাসা মিটানো সম্ভব হবে না। প্রত্যেক বিষয়ে আমরা শুধুমাত্র সামান্য আলোকপাত করে থাকি।

উপরোক্ত প্রশ্নগুলোর উত্তরের জন্য আপনার এলাকার সংশ্লিষ্ট উলামায় কেরামের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করা আপনার জন্য কল্যাণকর হবে বলেই আমাদের ধারণা।

তাছাড়া ইলম অর্জনের জন্য সফর করা অত্যান্ত  জরুরী। এবং কষ্ট করে ইলম অর্জন করাই আমাদের  আকাবির আসলাফদের রীতি ও নীতি। এদিকেই কুরআনের এই আয়াত ইঙ্গিত দিচ্ছে,
 ۚفَلَوْلَا نَفَرَ مِن كُلِّ فِرْقَةٍ مِّنْهُمْ طَائِفَةٌ لِّيَتَفَقَّهُوا فِي الدِّينِ وَلِيُنذِرُوا قَوْمَهُمْ إِذَا رَجَعُوا إِلَيْهِمْ لَعَلَّهُمْ يَحْذَرُونَ
তাদের প্রত্যেক দলের একটি অংশ কেন বের হলো না, যাতে দ্বীনের জ্ঞান লাভ করে এবং সংবাদ দান করে স্ব-জাতিকে, যখন তারা তাদের কাছে প্রত্যাবর্তন করবে, যেন তারা বাঁচতে পারে।(সূরা তাওবাহ-১২২)

সুতরাং আপনাকে বলবো, আপনি বিস্তারিত জানতে স্ব-শরীরে কোনো দারুল ইফতায় যোগাযোগ করবেন।
প্রশ্ন করার জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।আল্লাহ তা'আলা আপনার ইলম অর্জনের স্পৃহাকে আরোও বাড়িয়ে দিক, আমীন!!

প্রত্যেকটা বিষয়ের সাথে নিম্নের হাদীসকে লক্ষ্য রাখবেন।
হাসান ইবনে আলী রাযি থেকে বর্ণিত রয়েছে।
ﻭﻋﻦ ﺍﻟﺤَﺴَﻦِ ﺑﻦ ﻋَﻠﻲٍّ ﺭﺿﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋﻨﻬﻤﺎ ﻗَﺎﻝَ : ﺣَﻔِﻈْﺖُ ﻣِﻦْ ﺭَﺳُﻮﻝ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﷺ : « ﺩَﻉْ ﻣَﺎ ﻳَﺮِﻳﺒُﻚَ ﺇِﻟﻰ ﻣَﺎ ﻻ ﻳﺮِﻳﺒُﻚ » ﺭﻭﺍﻩُ ﺍﻟﺘﺮﻣﺬﻱ ﻭﻗﺎﻝ : ﺣﺪﻳﺚٌ ﺣﺴﻦٌ ﺻﺤﻴﺢٌ 
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ কে বলতে শুনেছি।তিনি বলেন,সন্দেহ যুক্ত জিনিষকে পরিহার করে সন্দেহমুক্ত জিনিষকে গ্রহণ করো।(সুনানু তিরমিযি-২৪৪২)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (23 points)
হুজুর আমি ইলম অর্জনের জন্য নয় আমার সমস্যায় পড়ে প্রশ্নগুলা করেছি প্লিজ উত্তর দিবেন।আর পক্ষে আলেমদের সাথে কথা বলা সম্ভব নয় তাই এই পেইজে প্রশ্ন করেছি।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...