আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
80 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (13 points)
reshown by
1.  কেউ যদি ঋন নেয়,কিন্তু তা যদি কাগজ পত্র করে লিখে না রাখে, তাহলে কি তার নামাজ ইবাদত কবুল হবে না?

২. কোন  মেয়ের যদি কোন সহপাঠীর কোন গুনের কারনে তার প্রতি ভালো লাগে, কিন্তু সে যদি ইস্তেকফার করে নেয়, এ বিষয় নিয়ে না ভাবার চিন্তা করে, তাহলেও কি তার সেখানে পড়ালেখা করা নাজায়েজ হয়ে যাবে?

৩.  মেয়ে যদি বাবাকে সপ্নে নিজের স্বামী হিসেবে দেখে( বাজে কিছু নয়, তার শাথে হাটছে, এমন টা দেখে)  তাহলে কি বাবা মার মাঝে তালাক হয়ে গেল?
৪. আমি  মেয়ে। সহশিক্ষাতে পরি, আমার মনে হল, আমি ত ঘরে বশে অনলাইনে পরতে পারতাম, জদিও আমি অনলাইনে ভালভাবে পরতে পারতাম কিনা সন্দেহ, আর হাতেকলমে আমার শেখা হত না, আমার জন্য কি বিশবিদ্দালয় এ গিয়ে পরা নাজায়েজ হবে?আমার পরিবার আমাকে অনেক টাকা দিয়ে ভর্তি করিয়েছেন।

৫।  প্রায় প্রতি  বছর যদি পিঠা,মিষ্টান্ন উৎসব  হলে, তা কি নাজায়েয হবে?
৬।আমি যদি কোন জিনিশ হালাল না হারাম না জানি,তাই যদি বলি আমি জানি না এতা কি আল্লাহ জানেন,তাহলে আমার ইমান চলে যাবে?

৭। কোন জিনিশ হালাল না হারাম এতা নিয়ে আমরা অনেক শময় ভাবিও না৷,  মাথায় আশে না, তা করি, এতে কি ইমান চলে যাবে?

৮। কেউ যদি মনে করে যে শে অন্য মাঝাবের জা সঠিক মনে হয় তা গ্রহণ করবে, এমন্ করা জায়েজ, তাহলে কি তার ইমান চলে যাবে?

৯।মেয়েদের কাপড়ে  ধিলেধালা হলে, কারুকার্য থাকলে কিন্তু অতি চাকচিক্যময় না হলে, সচরাচর পরতে দেখা জায় এমন হলে কি তা পরিধান করে বাইরে জাওয়া যাবে?
১০।কেউ যদি কাউকে নিয়ে তার জীবনসংগি হিসেবে কল্পনা করে,তাহলে কি তার সেই ছেলে বা মেয়ের সাথে বিয়ে হয়ে গেছে?

১১। বাথরুম এ ওযু করলে গুনাহ হবে?বিস মিল্ললাহ বললে গুনাহ হবে? বাইরে থেকে বিসমিল্লাহ বলে ঢুকতে পারবো?
১২। কেউ অমার উপর জাদুটোনা করেছে, মনে হলে আমি কন কন সুরা পড়লে শুফল পাব?

১৩।  dove সাবানে প্রানির চরবি বেবহার হয় কিন্তু শুনেছি প্রথমে চরবি কে ক্ষারের সাথে মিশিয়ে লবন জাতিয় জিনিস তইরি করা হয়,তারপর শাবান  তইরি করলে তা বেবহার করা যাবে?

1 Answer

0 votes
by (708,800 points)


ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
কেউ যদি ঋন নেয়,কিন্তু তা যদি কাগজ পত্র করে লিখে না রাখে, তাহলেও কোনো সমস্যা নেই।কেননা কাগজপত্র করে রাখা মুস্তাহাব। সুতরাং এজন্য নামাজ ইবাদত কবুল না হওয়ার কোনো প্রশ্নই আসেনা।সূরা বাকারা ২৮২ নং আয়াতে কাগজপত্র করার কথা যে বলা হয়েছে, এখানে মুস্তাহাব উদ্দেশ্য।(তাফসীরে মা'আরিফুল কুরআন দ্রষ্টব্য)

(২)
কোন  মেয়ের যদি কোন সহপাঠী ছেলেকে কোন গুণের কারনে ভালো লাগে, কিন্তু সে যদি ইস্তেগফার করে নেয়, এবং এ বিষয় নিয়ে আর চিন্তা ভাবনা না করে, তাহলে তার জন্য সেখানে পড়ালেখা করা নাজায়েজ হবে না।

(৩)
স্বপ্নে বাবার সাথে বিয়ে হওয়ার অনেক অর্থ হতে পারে,কিছু ভালো এবং কিছু মন্দ। সর্বোত্ত ব্যখ্যা এটাই মনে হচ্ছে যে, ঐ নারী অবিবাহিত হলে, সে এমন একজনকে স্বামী হিসেবে পাবে, যার অনেক কিছুই তার বাবার সাথে মিল থাকবে।

আর বিবাহিত হলে, তার এমন এক সন্তান হবে,যে কিনা অনেক দিক থেকে তার বাবার সাদৃশ্য থাকবে।

স্বপ্নে বাবার সাথে বিয়ে দেখার দ্বারা হুরমত হবে না।

(৪)
জ্বী, আপনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে পড়া জায়েয হবে।

(৫)
এগুলো কুসংস্কার ও বিধর্মীদের কালচার,সুতরাং এত্থেকে বেঁচে থাকতে হবে।

(৬)
না, ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না।
وَلَا تَقْفُ مَا لَيْسَ لَكَ بِهِ عِلْمٌ ۚ إِنَّ السَّمْعَ وَالْبَصَرَ وَالْفُؤَادَ كُلُّ أُولَـٰئِكَ كَانَ عَنْهُ مَسْئُولًا
যে বিষয়ে তোমার কোন জ্ঞান নেই, তার পিছনে পড়ো না। নিশ্চয় কান, চক্ষু ও অন্তঃকরণ এদের প্রত্যেকটিই জিজ্ঞাসিত হবে।(সূরা বনি ঈসরাঈল-৩৬)

দৈনন্দিন ফরয ওয়াজিব বিষয়গুলো শিখে নিতে হবে, তাছাড়া অতিরিক্ত কোনো বিষয়ে সমস্যা পড়লে অবশ্যই কারো কাছ থেকে জেনে নিতে হবে।

(৭)
ঈমান তো চলে যাবে না, তবে হালার হারাম নিয়ে না ভাবা ভবিষ্যত শংকায় থাকবে।

(৮)
যেকোনো একটি মাযহাবকেই মানতে হব। মনে যেটা পছন্দ হবে, সেটাকেই মানা, চরম পথভ্রষ্টতা।

(৯)
জ্বী , যাবে।তবে উত্তম হল, এমন পোষাক পরিধান করে বাহিরে যাওয়া, যা আকর্ষণীয় হবে না।

(১০)
কল্পনার দ্বারা বিয়ে হবে না।

(১১)
জ্বী, বাহির থেকে বিসমিল্লাহ বলে, ভিতরে প্রবেশ করবেন।

(১২)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/10103

(১৩)
জ্বী, ব্যবহার করতে পারবেন।কেননা কোনো হারাম জিনিষের মৌলিত্ব তথা, মূল বিষয় পরিবর্তন হয়ে গেলে,সেই জিনিষের বিধানে পরিবর্তন চলে আসায়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...