আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
125 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (7 points)

সূরা ইয়াসীনের ৭ নং আয়াতের তাফসিরে বলা আছে,

 

র্অথঃ অবশ্যই তাদের অধিকাংশের উপর (আল্লাহর) বাণী অবধারিত হয়েছে, ফলে তারা ঈমান আনবে না।

 

[1] যেমন আবু জাহল, উতবা, শায়বা, ইত্যাদি। ‘বাণী অবধারিত হয়েছে’-এর উদ্দেশ্য হল, আল্লাহ তাআলার এই বাণী, ‘‘আমি নিশ্চয়ই মানব ও দানব উভয় দ্বারা জাহান্নাম পূর্ণ করব।’’ (সূরা সাজদাহ ১৩ আয়াত) শয়তানকে তিরস্কার করার সময়ও আল্লাহ তাআলা বলেছিলেন, ‘‘তোমার দ্বারা ও ওদের মধ্যে তোমার সকল অনুসারীদের দ্বারা আমি অবশ্যই জাহান্নাম পূর্ণ করব।’’ (সূরা স্বাদ ৮৫ আয়াত) অর্থাৎ, তারা শয়তানের অনুসরণ করে নিজেদেরকে জাহান্নামের উপযুক্ত করে নিয়েছে। কারণ আল্লাহ তাআলা তো তাদেরকে ইচ্ছা, স্বাধীনতা ও এখতিয়ার দানে ধন্য করেছিলেন। কিন্তু তারা তা ভুল ব্যবহার করে নিজের এখতিয়ারেই জাহান্নামের জ্বালানি হয়ে গেছে। আল্লাহ তাআলা তাদেরকে ঈমান থেকে বঞ্চিত করেননি। কারণ জোর করে হলে তো তারা শাস্তির উপযুক্তই হত না।

- তাফসীরে আহসানুল বায়ান

এখানে-

আল্লাহ তাআলা তাদেরকে ঈমান থেকে বঞ্চিত করেননিকারণ জোর করে হলে তো তারা শাস্তির উপযুক্তই হত না

এটা বুঝিনি। একটু বুঝিয়ে দিন।

1 Answer

0 votes
by (567,240 points)
edited by
জবাবঃ- 
بسم الله الرحمن الرحيم


মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ- 

لَقَدۡ حَقَّ الۡقَوۡلُ عَلٰۤی اَکۡثَرِهِمۡ فَهُمۡ لَا یُؤۡمِنُوۡنَ ﴿۷﴾

অবশ্যই তাদের অধিকাংশের উপর (আল্লাহর) বাণী অবধারিত হয়েছে, ফলে তারা ঈমান আনবে না। 
(সুরা ইয়াসিন ০৭)

আল্লামা শানকীতী রাহেমাহুল্লাহ বলেন, এ আয়াতে ‘বাণী অবধারিত হয়ে গেছে’ বলে অন্যান্য আয়াতে যেভাবে (وَحَقَّ عَلَيْهِمُ الْقَوْلُ) [সূরা ফুসসিলাত: ২৫], বা (فَحَقَّ عَلَيْنَا قَوْلُ رَبِّنَا إِنَّا لَذَائِقُونَ) [সূরা আস-সাফফাত: ৩১] বা (أَفَمَنْ حَقَّ عَلَيْهِ كَلِمَةُ الْعَذَابِ) [সূরা আয যুমার: ১৯] অথবা, (حَقَّتْ كَلِمَةُ الْعَذَابِ) [সূরা আয-যুমার: ৭১] অথবা (حَقَّتْ عَلَيْهِمْ كَلِمَتُ رَبِّكَ) [সূরা ইউনুস: ৯৬] এসবগুলোর অর্থ একই আয়াতের তাফসীর। আর তা হচ্ছে: (لَأَمْلَأَنَّ جَهَنَّمَ مِنَ الْجِنَّةِ وَالنَّاسِ أَجْمَعِينَ) [সূরা আস-সাজদাহ: ১৩] অর্থাৎ আমি মানুষ ও জিন জাতি থেকে জাহান্নাম পূর্ণ করব। তাই এ আয়াতের قول এবং উপরোক্ত অন্যান্য আয়াতের كلمة শব্দসমূহ একই অর্থবোধক।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
আল্লাহ তাআলা তাদেরকে ঈমান থেকে বঞ্চিত করেননি

এ কথাটির ব্যাখ্যা হলোঃ-
আল্লাহ তায়ালা তো তাদেরকে ঈমান আনা না আনার ইচ্ছা, স্বাধীনতা ও এখতিয়ার দানে ধন্য করেছিলেন। কিন্তু তারা নিজেরাই ঈমান আনেনি,সুতরাং আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে ঈমান থেকে বঞ্চিত করেননি,বরং তারা নিজেরাই নিজেদেরকে বঞ্চিত করেছে।

কারণ জোর করে হলে তো তারা শাস্তির উপযুক্তই হত না
এ কথাটির ব্যাখ্যা হলোঃ-
আল্লাহ তায়ালা যদি তাদেরকে ঈমান আনা না আনার ইচ্ছা, স্বাধীনতা ও এখতিয়ার দান না করে জোড় করেই কাফের বানাতেন,তাহলে তারা তারা শাস্তির উপযুক্তই হতোনা।
কেননা এক্ষেত্রে তো তাদের কোনো দোষ নেই।
তাদেরকে তো ঈমান আনার স্বাধীনতাই দেয়া হয়নি।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...