জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ-
لَقَدۡ حَقَّ الۡقَوۡلُ عَلٰۤی اَکۡثَرِهِمۡ فَهُمۡ لَا یُؤۡمِنُوۡنَ ﴿۷﴾
অবশ্যই তাদের অধিকাংশের উপর (আল্লাহর) বাণী অবধারিত হয়েছে, ফলে তারা ঈমান আনবে না।
(সুরা ইয়াসিন ০৭)
আল্লামা শানকীতী রাহেমাহুল্লাহ বলেন, এ আয়াতে ‘বাণী অবধারিত হয়ে গেছে’ বলে অন্যান্য আয়াতে যেভাবে (وَحَقَّ عَلَيْهِمُ الْقَوْلُ) [সূরা ফুসসিলাত: ২৫], বা (فَحَقَّ عَلَيْنَا قَوْلُ رَبِّنَا إِنَّا لَذَائِقُونَ) [সূরা আস-সাফফাত: ৩১] বা (أَفَمَنْ حَقَّ عَلَيْهِ كَلِمَةُ الْعَذَابِ) [সূরা আয যুমার: ১৯] অথবা, (حَقَّتْ كَلِمَةُ الْعَذَابِ) [সূরা আয-যুমার: ৭১] অথবা (حَقَّتْ عَلَيْهِمْ كَلِمَتُ رَبِّكَ) [সূরা ইউনুস: ৯৬] এসবগুলোর অর্থ একই আয়াতের তাফসীর। আর তা হচ্ছে: (لَأَمْلَأَنَّ جَهَنَّمَ مِنَ الْجِنَّةِ وَالنَّاسِ أَجْمَعِينَ) [সূরা আস-সাজদাহ: ১৩] অর্থাৎ আমি মানুষ ও জিন জাতি থেকে জাহান্নাম পূর্ণ করব। তাই এ আয়াতের قول এবং উপরোক্ত অন্যান্য আয়াতের كلمة শব্দসমূহ একই অর্থবোধক।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
আল্লাহ তাআলা তাদেরকে ঈমান থেকে বঞ্চিত করেননি।
এ কথাটির ব্যাখ্যা হলোঃ-
আল্লাহ তায়ালা তো তাদেরকে ঈমান আনা না আনার ইচ্ছা, স্বাধীনতা ও এখতিয়ার দানে ধন্য করেছিলেন। কিন্তু তারা নিজেরাই ঈমান আনেনি,সুতরাং আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে ঈমান থেকে বঞ্চিত করেননি,বরং তারা নিজেরাই নিজেদেরকে বঞ্চিত করেছে।
কারণ জোর করে হলে তো তারা শাস্তির উপযুক্তই হত না।
এ কথাটির ব্যাখ্যা হলোঃ-
আল্লাহ তায়ালা যদি তাদেরকে ঈমান আনা না আনার ইচ্ছা, স্বাধীনতা ও এখতিয়ার দান না করে জোড় করেই কাফের বানাতেন,তাহলে তারা তারা শাস্তির উপযুক্তই হতোনা।
কেননা এক্ষেত্রে তো তাদের কোনো দোষ নেই।
তাদেরকে তো ঈমান আনার স্বাধীনতাই দেয়া হয়নি।