ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১) আল্লাহকে বিধাতা, প্রভু,মাবুদ নামে ডাকা যাবে। তবে আল্লাহ কে আল্লাহ বলে ডাকাই শ্রেয়।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/511
(২)আল্লাহকে গড বলা যাবে।
(৩) এক জন ঈমানদারের পরিচয় হল, সে কখনো গান বাজনার ধারে কাছেও যাবে না। তবে যদি কেউ কখনো শয়তানের ধোকায় শ্রবণ করে নেয়,তাহলে তার গোনাহ হলেও ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না
(৪) ভিডিও দেখাও জায়েয হবে না। কবিরা গোনাহ হবে।
(৫) ভবিষ্যতে যত কাজ করবেন, সব ক'টি কাজের ইচ্ছার সাথে সাথে ইনশা'আল্লাহ(বাংলা অর্থ,আল্লাহ যদি চায়) বলবেন।
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
وَلَا تَقُولَنَّ لِشَيْءٍ إِنِّي فَاعِلٌ ذَٰلِكَ غَدًا
আপনি কোন কাজের বিষয়ে বলবেন না যে, সেটি আমি আগামী কাল করব।
إِلَّا أَن يَشَاءَ اللَّهُ ۚ وَاذْكُر رَّبَّكَ إِذَا نَسِيتَ وَقُلْ عَسَىٰ أَن يَهْدِيَنِ رَبِّي لِأَقْرَبَ مِنْ هَـٰذَا رَشَدًا
‘আল্লাহ ইচ্ছা করলে’ বলা ব্যতিরেকে। যখন ভুলে যান, তখন আপনার পালনকর্তাকে স্মরণ করুন এবং বলুনঃ আশা করি আমার পালনকর্তা আমাকে এর চাইতেও নিকটতম সত্যের পথ নির্দেশ করবেন।(সূরা কাহাফ-২৩-২৪)
(৬) আল্লাহ মানব ও জ্বীন জাতি বানিয়েছেন। মেয়ে জ্বীনকে পরি বলাতে কোনো সমস্যা হবে না।
(৭) আপনি কখনো গান শুনবেন না।মিউজিক শ্রবণ করা কবিরা গোনাহ।
(৮) নাটক করার মত বেহুদা কাজকে ইসলাম কখনো সমর্থন করে না।
(৯) ফাতাওয়া আসার পূর্ব পর্যন্ত পূর্বের মতই হালাল ধরে নিতে হবে।কোনো প্রকার কুফরি হবে না।
(১০) হালাল ধরে নিলে কারো কুফরি হবে না।
(১১) আমি কুরআন সুন্নাহর জ্ঞানকে অনুধাবন করতে হানাফি ফিকহ কে অনুসরণ করি।
(১২)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/463
(১৩) বিজ্ঞ কোনো আলেমকে জিজ্ঞাসা করে বুঝতে হবে। এজন্যই মাযহাবকে অনুসরণ করতে হবে।