ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আল্লাহ সবকিছুর খালিক ও মালিক,জগতের সব কিছু উনার হুকুমেই সংগঠিত হয়,তাবিজ বা ঔষধের অদ্য কোনো ক্ষমতা নেই।এমন আক্বিদা পোষণ করে জায়েয ও বৈধ কালামের মাধ্যমে চিকিৎসা হিসেবে ঝাড়-ফুক ও তাবিজ ব্যবহার বৈধ আছে।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)কোন ব্যক্তি যদি এমন তদবীর দেয় যে চুলার তাপে তাবিজ তাপ দিয়ে কোন ব্যক্তিকে বশ করা হবে,তাহলে এমনটা করা বা করানো কোনোটাই জায়েয হবে না।
(২)আল্লাহর কালিমা/ বিসমিল্লাহ উল্টো লিখা কুফরি। যারা এমন করে তদবিরের নামে এদের ঈমান চলে যাবে।
(৩)এভাবে কুরআনকে উল্টো করে লিখা বা লিখিয়ে নিয়ে আসা, কোনোটাই জায়েয হবে না।এগুলো কুফরি।এত্থেকে অবশ্যই বেঁচে থাকতে হবে।
(৪) যে এমন কুফুরি করে ইসলামের ভাষায় তাকে কুরআন অস্বীকারকারী বলা হবে।
(৫)অবশ্যই কালিমা পড়ে ঈমানকে দোহড়িয়ে নিতে হবে।
(৬)যারা এমন করে ও সহযোগিতা করে তাদের জন্য বদ দু'আ না করে বরং তার জন্য হেদায়তের দু'আ করাই উচিৎ।
(৭) ছবি দিয়ে তদবীর করে মেয়ে বশ করা হারাম।
(৮) আপনি রুকইয়া করবেন।আপনাকে ঘরোয়া ভাবে কিছু রুকইয়ার পরমার্শ দিচ্ছি,
(১)সকল প্রকার ফরয ওয়াজিব ইবাদত যত্নসহকারে পালন করা।এবং সকল প্রকার হারাম ও নাজায়ে কাজ হতে বেঁচে থাকে।
(২) অধিক পরিমাণ কুরআন তেলাওয়াত করা।
(৩)দু'আ, জায়েয তাবীয ও যিকিরের মাধ্যমে নিজেকে হেফাজতের চেষ্টা করা।
নিম্নোক্ত দু'আকে সকাল সন্ধ্যা তিনবার করে পড়া।
بِسْمِ اللَّهِ الَّذِي لَا يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَيْءٌ، فِي الْأَرْضِ، وَلَا فِي السَّمَاءِ، وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ،
প্রত্যক নামাযের পর ঘুমাইবার সময় এবং সকাল সন্ধ্যা আয়াতুল কুরসী পড়া।এবং ঘুমাইবার সময় ও সকাল সন্ধ্যা তিনবার করে সূরা নাস,সূরা ফালাক্ব ও সূরা ইখলাস তিনবার করে পড়া।এবং প্রতিদিন নিম্নোক্ত দু'আটি একশতবার করে পড়া।
لا اله الا الله وحده لا شريك له له الملك وله الحمد وهو على كل شيئ قدير،
(৯)কোন মানুষ যদি মনে করে কুফুরি হোক,আমার কাজটা হাসিল হোক তবে সে কাফির হয়ে যাবে।