আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
230 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (40 points)
edited by
১.কোন ব্যক্তি যদি এমন তদবীর দেয় যে চুলার তাপে তাবিজ তাপ দিয়ে কোন ব্যক্তিকে বশ করবে আর বলে এটা জায়েজ সেক্ষেত্রে শরীয়ত কি বলে? কিংবা এটা কি হালাল তদবীর? এটা করা কি জায়েজ হবে?

২  আল্লাহর কালিমা/ বিসমিল্লাহ উল্টো লিখা কি বেয়াদবী? নাকি এর চেয়েও ভয়ংকর অন্যায় ? কাঙ্গিত জিনিস পেয়ে যাওয়ার পর তওবা করে নেবো এটা কি এমন লাইট বিষয়?
যারা এমন করে তদবিরের নামে এরা কি কাফির? কুফুরি করলে সে কি কাফির হয়ে যায়?

৩. এক সদ্য পাশ করা মাওলানা  বলেছেন যে সে মাসয়ালা পেয়েছে যে কোন কাজ হাসিলের জন্য যদি কোন হুজুরের কাছে যাই যে কুফুরি করে আর সেটা যদি আমরা জেনে যাই তাহলে নাকি আমরা কাজ করালেও আমাদের গুনাহ হবেনা কারন সে কুফুরি করছে,আমি তো শুধু টাকা দিয়ে করাচ্ছি.
আসলেই কি তাই? আমার তো দুজনের গুনাহের ভার পাওয়া উচিত হিসেব মতে।কুফুরি করতে লোক ভাড়া করা এবং নিজের অন্তর নরম রাখা কুফুরির দিকে।তাই নয় কি?

৪. যে এহেন কুফুরি করে ইসলামের ভাষায় তাকে কি বলে?
৫. এতে কি কালিমা পড়ে মুসলিম হতে হবে?

৬. যারা এমন করে ও সহযোগিতা করে তাদের কি বদ দুয়া করা জায়েজ হবে?

৭. ওই লেবাসধারী ছবি দিয়ে তদবীর করে মেয়ে বশ করে।এটা কি কখনো হালাল তদবীর?  নাকি এটা জাদু? যাকে বশ করবে তার ও তার মায়ের ছবি নিয়ে কি হালাল তদবীর করা সম্ভব নাকি এগুলো জাদুকরেরা করে থাকে?
৮. একটা ছেলে আমাকে পছন্দ করে। সে আমাকে তাবীজ করতেছে। আমাকে চিনি পড়া দিয়েছে অন্যের মাধ্যমে খাবারে মিশিয়ে, আমি বুঝে খাইনি।এখন সে আমার অনেক ক্ষতি করছে যেন স্বামীর সাথে মিলিত হতে না পারি,আমার স্বামী আমার কাছে আসবে এমনটা শুনলেই অসুস্থ হয়ে পড়ি।

স্বামী শুধু রাগ করে এখন। তার রাগ কমিয়ে তার অন্তরে কিভাবে মুহাব্বত পয়দা করবো?কোন আমল আছে?

আমি কিভাবে এই জাদু কাটাবো আর নিজেকে ও স্বামীকে সুরক্ষিত করবো আল্লাহর কালামের মাধ্যমে?
আমি বিছানায় পড়ে গেছি, বাত সহ অনেক অসুস্থতায়।
৯৷ কোন মানুষ যদি মনে করে কুফুরি হোক,আমার কাজন্টা হাসিল হোক তবে তার ব্যাপারে ইসলাম কি বলে?

( এক বোনের পক্ষ হতে)

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আল্লাহ সবকিছুর খালিক ও মালিক,জগতের সব কিছু উনার হুকুমেই সংগঠিত হয়,তাবিজ বা ঔষধের অদ্য কোনো ক্ষমতা নেই।এমন আক্বিদা পোষণ করে জায়েয ও বৈধ কালামের মাধ্যমে চিকিৎসা হিসেবে ঝাড়-ফুক ও তাবিজ ব্যবহার বৈধ আছে।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/226


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)কোন ব্যক্তি যদি এমন তদবীর দেয় যে চুলার তাপে তাবিজ তাপ দিয়ে কোন ব্যক্তিকে বশ করা হবে,তাহলে এমনটা করা বা করানো কোনোটাই জায়েয হবে না। 

(২)আল্লাহর কালিমা/ বিসমিল্লাহ উল্টো লিখা কুফরি।  যারা এমন করে তদবিরের নামে এদের ঈমান চলে যাবে।  

(৩)এভাবে কুরআনকে উল্টো করে লিখা বা লিখিয়ে নিয়ে আসা, কোনোটাই জায়েয হবে না।এগুলো কুফরি।এত্থেকে অবশ্যই বেঁচে থাকতে হবে।

(৪) যে এমন কুফুরি করে ইসলামের ভাষায় তাকে কুরআন অস্বীকারকারী বলা হবে।

(৫)অবশ্যই কালিমা পড়ে ঈমানকে দোহড়িয়ে নিতে হবে।

(৬)যারা এমন করে ও সহযোগিতা করে তাদের জন্য বদ দু'আ না করে বরং তার জন্য হেদায়তের দু'আ করাই উচিৎ।

(৭) ছবি দিয়ে তদবীর করে মেয়ে বশ করা হারাম।

(৮) আপনি রুকইয়া করবেন।আপনাকে ঘরোয়া ভাবে কিছু রুকইয়ার পরমার্শ দিচ্ছি,
(১)সকল প্রকার ফরয ওয়াজিব ইবাদত যত্নসহকারে পালন করা।এবং সকল প্রকার হারাম ও নাজায়ে কাজ হতে বেঁচে থাকে।
(২) অধিক পরিমাণ কুরআন তেলাওয়াত করা।
(৩)দু'আ, জায়েয তাবীয ও যিকিরের মাধ্যমে নিজেকে হেফাজতের চেষ্টা করা।

নিম্নোক্ত দু'আকে সকাল সন্ধ্যা তিনবার করে পড়া।
بِسْمِ اللَّهِ الَّذِي لَا يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَيْءٌ، فِي الْأَرْضِ، وَلَا فِي السَّمَاءِ، وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ، 
দেখুন- http://ifatwa.info/1093
প্রত্যক নামাযের পর ঘুমাইবার সময় এবং সকাল সন্ধ্যা আয়াতুল কুরসী পড়া।এবং ঘুমাইবার সময় ও সকাল সন্ধ্যা তিনবার করে সূরা নাস,সূরা ফালাক্ব ও সূরা ইখলাস তিনবার করে পড়া।এবং প্রতিদিন নিম্নোক্ত দু'আটি একশতবার করে পড়া।
لا اله الا الله وحده لا شريك له له الملك وله الحمد وهو على كل شيئ قدير،

প্রতিদিন সকাল সাতটা করে খেজুর খাওয়া।মদিনার খেজুর হলে ভালো(এলাজে কুরআনী-০৩)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/10103

(৯)কোন মানুষ যদি মনে করে কুফুরি হোক,আমার কাজটা হাসিল হোক তবে সে কাফির হয়ে যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (590,550 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...