আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
208 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (36 points)
শুনেছি সাদাস্রাব যদি লজ্জাস্থানের বাইরে বের না হয় তাহলে ওজু ভেঙে যায় না।  এইটা কি সঠিক?এখানে লজ্জাস্থানের বাইরে বের হওয়া মানে কি বোঝানো হয়েছে?  মানে লজ্জাস্থানের বাইরে বেরিয়ে  পায়ে লেগে যাওয়া,, জামাকাপড়ে লেগে যাওয়া???
একটু বিস্তারিত জানাবেন।এখানে কি মাযহাবের কোনো মতপার্থক্য আছে?? থাকলে একটু জানাবেন।
২.আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ
গতকাল রাতে আমি একটা খারাপ স্বপ্ন দেখেছি। স্বপ্ন  দেখার পরে আমার ঘুম ভেঙ্গে যায়। আমি হাত দিয়ে  চেক করে দেখতে চেয়েছিলাম যে কিছু আছে নাকি।  কিন্তু তার আগে আমি আবার ঘুমিয়ে যাই। এরপরে আবার ঘুম থেকে ফজরের আগে  উঠে দেখি লজ্জাস্থান শুকনো। তবে এখানে আমার  ২ টা বিষয়ে সন্দেহ হচ্ছে। প্রথম সন্দেহ হচ্ছে যে, হয়তোবা লজ্জাস্থানে হালকা পানি আসতেও পারে আমি দেরি করে চেক  করাই হয়তো পানি শুকিয়ে গেছে। আরেকটি সন্দেহ  লাগছে যে,,লজ্জাস্থানের পানি আছে নাকি এটা চেক করার জন্য আমি প্রথমে লজ্জাস্থানে হাত রাখি, এরপরে ফোনের আলো দিয়ে ওই হাতের আঙ্গুলের উপর দিয়ে  দিয়ে দেখি পানি আছে নাকি,, কারণ ঘর অন্ধকার ছিল।এখনো ভয় লাগছে,, এমনও হতে পারে হয়তো হালকা পানি ছিল কিন্তু ফোনের আলোতে দেখার জন্য আমি হয়তো খেয়ালই করিনি৷  আমার ফজরের নামাজটা কাজা হয়ে গেল নাকি??আমার উপরে কি গোসল ফরজ হয়েছিল?? আমার কি গুনাহ হবে?

৩.আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ  বেশিরভাগ সময়ে  আমার সাদা স্রাব থাকে লজ্জাস্থানের ভেতরে।এখন কখনো যদি স্বপ্নদোষ হয় অথবা অন্য কোন কারণে উত্তেজনা হয়,,, তাহলে আমি বুঝতে পারি না  এটি  মনি নাকি মজি নাকি সাদাস্রাব। হয়তো ঘুমের মধ্যে যদি স্বপ্নদোষ হয়,, তাহলে উঠে দেখি লজ্জাস্থান  ভেজা। কিন্তু আমার তো সাধারণত সাদাস্রাবের কারণে ভেজায় থাকে। তাহলে কি কিভাবে বুঝব কখন মজি,, কখন মনি? এরকম  যদি হয় তাহলে কি আমি এদের  বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিব?? নাকি সতর্কতা স্বরুপ এরকম হলেই ফরজ গোসল করব?স্বপ্নদোষের পর মজি আসলেও কি গোসল ফরজ হয়?আপনাদের ওয়েবসাইটে এ বিষয়ে সম্পর্কে আমি বিস্তারিত লেখা দেখেছি কিন্তু আমি তারপরেও বুঝতে পারছি না।আপনি দয়া করে আমাকে আপনার ভাষায় বুঝিয়ে দেবেন। আমার মূল সমস্যা হচ্ছে আমার বীর্যপাত হয় না এইটা আমি বুঝতে পারছি। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে  আমি বুঝতে পারছি না কোনটা  মজি  আর কোনটা সাদাস্রাব। ।আমি এই দুটোর বৈশিষ্ট্য জানি। কিন্তু তারপরেও বুঝতে পারছি না। আমার লজ্জা স্থানে নিচে যে ছিদ্র থাকে ওইখানে সাধারণত সাদা স্রাব জামা এখন ওইখানে কি কোন ভাবে  বীর্য বা মজি আসতে পারে???  মাঝে মাঝে আমার লজ্জাস্থানে  এমনিতেই  পানি আসে যা সাদা  পিচ্ছিল নয়। না সাধারণ পানির মতো।এখন আমি মজিব বৈশিষ্ট্যের মধ্যে দেখেছিলাম যে এটা পিচ্ছিল পানি। তাহলে আমি  কি  এই একটা বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে দুটোর মধ্যে পার্থক্য করতে পারি??মাঝে মাঝে আমি স্বপ দেখি তাতে আমার মনে হয় না যেগুলোতে কোন উত্তেজনা আসছে অথবা মসজিদ বৈশিষ্ট্যের সাথে মিলে যাচ্ছে। এখন আমি কি আমার ধারণার উপর আমল করতে পারব??  আবার আমার সাদা স্রাবের কারণে মাঝে মাঝে লজ্জাস্থানে যে পানিটা আসে সেটা খুব অল্পই হয়। হালকা ভেজা ভেজা। আমার দেখে মনে হয় না যে এইটা মজি হতে পারে। তারপরে আমার সন্দেহ যাচ্ছে না। মনে হচ্ছে যদি মজি হয়। কিন্তু আপনাদের ওয়েবসাইটে আমি দেখলাম যে  আপনারা বলছেন,, মজি আসলে ওযু ভাঙ্গে,, গোসল ফরজ হয় না। আরেক জায়গায় বলছেন, স্বপ্নদোষের পর আসলে গোসল করতে হয়। এ বিষয়টা নিয়ে আমি আরও সন্দেহে আসি। আমাকে একটু বিস্তারিত বলবেন। আমি খুব কনফিউশন আছি। আমার করণীয় সম্পর্কে দয়া করে একটু স্পষ্ট ভাষায় বলবেন। দ এরকম হলেই কি আমি  গোসল করব। নাকি কি করব?
২.আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ
আমি নামাজে একটু ধীরে ধীরে তেলাওয়াত করি। এজন্য কোনো শব্দ তিলাওয়াত করতে আমার মাঝখানে একটু বিরতি হয়ে যায়। একটা  সম্পূর্ণ শব্দ বলতে একটু বিরতি হয়ে যায়,, শব্দগুলো একটু দেরিতে দেরিতে উচ্চারিত হয়।  একটু দেরি করে করে উচ্চারণে কি অর্থের পরিবর্তন হয়??আর কোন শব্দ উচ্চারণ করতে গেলে মাখরাজের কোনো  ভুল হলে আমি ঔ  শব্দের মাঝখানে থেমে গিয়ে অথবা আয়াতের মাঝে থেমে গিয়ে আমার শব্দ বা আয়াতের  প্রথম থেকে তেলাওয়াত করি। এক্ষেত্রে আমি যে শব্দটার শেষ না করে বা আয়াত শেষ না করে মাঝখানে থামছি,,এতে অর্থের পরিবর্তন হবে? তাহলে মাখরাজের ভুল হলে কি করব? দয়া করে এই প্রশ্নটার দ্বিতীয় অংশের উত্তরটা একটু স্পষ্ট ভাষায় বলবেন। আমি কি কোন শব্দের মাঝে থেমে অথবা আয়াতের মাঝে থেমে আবারো শব্দটা বা আয়াতটা  প্রথম থেকে পড়তে পারব?? শব্দের মাঝে থামলেই কি আমার নামাজ ভেঙ্গে যাবে??

1 Answer

0 votes
by (583,410 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
 মাসআলাঃ 
ছিদ্রের বাহিরে যতক্ষণ পর্যন্ত রক্ত না আসিবে, ততক্ষণ পর্যন্ত হায়েয ধরা যাইবে না। অতএব, যদি কোন মেয়েলোক ছিদ্রের ভিতর রুই, তুলার গদ্দি রাখিয়া রক্তকে ছিদ্রের মধ্যেই বন্ধ করিয়া রাখিয়া থাকে, তবে যতক্ষণ পর্যন্ত রক্ত বাহিরে না আসিবে বা গন্দি টানিয়া বাহির না করিবে, ততক্ষণ পর্যন্ত হায়েয ধরা হইবে না। যখন রক্তের চিহ্ন বাহিরের চামড়া পর্যন্ত আসিবে বা তুলা টানিয়া বাহির করিবে, তখন হইতে হায়েয হিসাব হইবে।

 মাসআলাঃ
কোন মেয়েলোক এশার নামায পড়িয়া পাক অবস্থায় ছিদ্রের ভিতর রুই, তুলার গদি রাখিয়া ঘুমাইয়া পড়িয়াছে। সকালে ঘুম হইতে উঠিয়া যদি তূলার মধ্যে রক্তের চিহ্ণ দেখে, তবে যে সময় রক্তের চিহ্ণ দেখিবে, সেই সময় হইতেই হায়েয ধরা হইবে—ঘুমের সময় হইতে নহে।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/7474


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
লজ্জাস্থান থেকে পানি বের হয়ে শরীরে বা কাপড়ে লেগে যাওয়া।


(২)
 
ঘুম থেকে উঠে কাপড়ে আর্দ্রতা দেখলে এর সর্বমোট ১৪ টি সূরত হতে পারে। 
স্বপ্নদোষ স্বরণ থাকাবস্থায় এর সম্ভাব্য সাতটি সূরত হতে পারে।এবং স্বরণ না থাকাবস্থায় এর সম্ভাব্য সাতটি সূরত হতে পারে। 
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/11414


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার উপর গোসল ফরয হবে না।

(৩)
কোন শব্দের মাঝে থেমে অথবা আয়াতের মাঝে থেমে আবারো শব্দটা বা আয়াতটাকে প্রথম থেকে পড়া। শব্দের মাঝে থামলেই নামাজ ভঙ্গ হবে না। 

নিচের কোর্নসটি যত্নসহকারে করে নিলে আপনার অনেক উপকার হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (583,410 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

...