আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
230 views
in পবিত্রতা (Purity) by (98 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ!
১. সাধারনত সাদাস্রাব সালোয়ারে লাগলে জায়গা টা সাদা হয়ে থাকে বুঝা যায়,  শুকোলেও সাদা হয়ে থাকে যেটা দেখেই বুঝতে পারি সাদাস্রাব!  কিন্তু আজকে আর গতকালকে নামাজ শেষে সালোয়ার চেঞ্জ করে চেক করায় দেখি সালোয়ারের মাঝের অংশ কিছুটা ভেজা থাকে! সাদা বা আঠালো কিছুই না! শুকানোর পরও সাদা হয়ে থাকে না, শুকানোর পর দেখলে মনে হয় কিছুই নেই!  গতকালকে এটা জিজ্ঞেস করেছিলাম এখানে,  বলা হয়েছিলো সাদাস্রাব কাপড়ে লাগলে পানির মতোই ভেজা দেখায়! অথচ সাথে সাথে লজ্জাস্থান চেক করে দেখা যায় কোনো সাদাস্রাব/আঠালো কিছু  নেই! নরমালি মেয়েদের  লজ্জাস্থান সবসময় কিছুটা ভেজা থাকে!  তাও সামান্য বুঝা যায় না!
এখন উক্তবস্থায় কি সাদাস্রাব ভাববো?! কিন্তু তা তো সাদাস্রাব মনে হয় না, তাহলে কি হতে পারে!  এমনকি এমন কিছু ক্লিয়ারলি বুঝাও যায় নি যে লজ্জাস্থান হতে কিছু নির্গত হচ্ছে! এমন হলে একাধিক  সালোয়ার নাপাক হয়ে যায় যা প্রতিদিন ধোঁয়া কষ্টকর।

২.  দুই রাকাআতের ফরজ নামাজে দ্বিতীয় রাকাআতে সুরা ফাতিহার সাথে সুরা ফালাক পরার কথা ছিলো কিন্তু ভুলে সুরা নাসের ক্বুল আউজুবি রব্বিন পর্যন্ত পরে সাথে সাথে আবার ক্বুল আউজুবি রব্বিল ফালাক পরে শেষ করেছি পুরো টা! এতে কি সমস্যা হয়েছে নামাজে?!


জাযাকিল্লাহ খইর!

1 Answer

0 votes
by (675,600 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
ইস্তেহাজা যুক্ত মহিলার বিধান সংক্রান্ত হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

عَنْ عَدِيِّ بْنِ ثَابِتٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّه قَالَ يَحْيَى ابنُ مَعَيْنٍ جَدُّ عَدِىٍّ اسْمُه دِيْنَارٌ عَنْ النَّبِيِّ ﷺ أَنَّه قَالَ فِي الْمُسْتَحَاضَةِ تَدَعُ الصَّلَاةَ أَيَّامَ أَقْرَائِهَا الَّتِي كَانَتْ تَحِيضُ فِيهَا ثُمَّ تَغْتَسِلُ وَتَتَوَضَّأُ عِنْدَ كُلِّ صَلاَةٍ وَتَصُومُ وَتُصَلِّىْ. رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وأَبُوْ دَاوٗدَ

‘আদী ইবনু সাবিত (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি তার পিতার মাধ্যমে তার দাদা হতে, ইয়াহ্ইয়া ইবনু মা‘ঈন বলেন, ‘আদী এর দাদার নাম দীনার, তিনি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেন। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) মুসতাহাযা স্ত্রীলোক সম্পর্কে বলেছেন, সে হায়যগ্রস্ত অবস্থা থাকাকালীন সলাত (সালাত/নামায/নামাজ) পরিত্যাগ করবে। অতঃপর মেয়াদ শেষে গোসল করবে এবং প্রত্যেক সলাতের সময় উযূ (ওযু/ওজু/অজু) করবে। আর সওম (রোযা) পালন করবে ও সলাত আদায় করবে।
সহীহ : আবূ দাঊদ ২৯৭, তিরমিযী ১২৬, সহীহুল জামি‘ ৬৬৯৮,মিশকাতুল মাসাবিহ ৫৬০)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
প্রশ্নে উল্লেখ রয়েছে যে  আপনি চেক করেছেন,সেই ভেজা সাদা বা আঠালো কিছুই না,আবার সাথে সাথে লজ্জাস্থান চেক করে দেখছেন যে কোনো সাদাস্রাব/আঠালো কিছু  নেই।
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ভেজাটি সাদা স্রাব নয়।

যদি আপনি পানির কাজ করে থাকেন,তাহলে সেটি পানিই ধরা হবে।
আর যদি পানির কাজ না করে থাকেন,সেক্ষেত্রে সেটিকে পেশাব ধরবেন।  

(০২)
ফরজ নামাজের এক রাকাতে বিনা ওযরে  কোনো সুরা শুরু করে সেটি বাদ দিয়ে অন্য সুরা শুরু করা বা অন্য আয়াত শুরু করা মাকরুহ।
তবে ওযর বশত হলে কোনো সমস্যা নেই।
,
নফল নামাজের ক্ষেত্রে ইচ্ছাকৃতভাবে হোক বা অনিচ্ছায় হোক,কোনো সমস্যা নেই।
,   
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত নামাজ হয়ে যাবে।
তবে ফরজ নামাজ হলে বিনা ওযরে এমনটি করলে মাকরুহ হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 143 views
0 votes
1 answer 201 views
...