জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী তুহর তথা দুই হায়েজের মাঝে পবিত্রতার সর্বনিম্ন সীমা পনেরো দিন।
এই পনেরো দিনের মধ্যে কোনো রক্ত আসলে সেটি হায়েজ নয়,বরং সেটি ইস্তেহাজা তথা অসুস্থতা।
এই সময়ে নামাজ রোযা আদায় করতে হবে।
হজরত হান্নাদ [রহ] আম্মাজান আয়েশা [রা]-এর হাদিস বর্ণনা করেছেন যে, ফাতিমা বিনতে হুবাইশ নামক এক নারী একবার রাসুল [সা]-এর সমীপে এসে বললো, হে আল্লাহর রাসুল, আমি একজন ইস্তেহাযাগ্রস্ত মেয়ে। আমি তো পাক হই না। তাই আমি কি নামাজ পড়া ছেড়ে দেবো? রাসুল [সা] বললেন, না, কারণ এ রক্ত হায়েযের নয়; বরং এ হলো শিরা থেকে বেরিয়ে আসা রক্ত। সুতরাং যখন তোমার হায়েযের নির্ধারিত দিনগুলি আসে তখন সে দিনগুলি নামাজ ছেড়ে দেবে। আর হায়েযের দিন চলে গেলে তোমার রক্ত ধুয়ে নেবে এবং নামাজ আদায় করবে। [তিরমিজি, হাদিস-১২৫]
لما قال الحصکفیؒ: واقل الطہر بین الحیضتین او النفاس والحیض خمسۃ عشر یومًا ولیالیھا اجماعًا۔ (الدرالمختارعلی صدر ردّالمحتار:ج؍۱،ص؍۲۸۵، باب الحیض)
সারমর্মঃ দুই হায়েজ বা নিফাস ও হায়েজের মধ্যে
পবিত্রতার সর্বনিম্ন সীমা সর্বসম্মতিক্রমে পনেরো দিন পনেরো রাত।
قال العلامۃعالم بن العلاء الانصاریؒ:ومن جملۃذٰلک الدم المتخلل فی اقل مدۃ الطھرولا یمکن معرفقہ ذٰلک الّا بعد معرفۃ اقل الطھرواقلہ خمسۃ عشر یوماً عندنا۔(الفتاوٰی التاتارخانیۃ: ج؍۱،ص؍۳۲۴،کتاب الحیض)(فتاویٰ حقانیہ :ج؍۲،ص؍۵۶۵)
সারমর্মঃ পবিত্রতার সর্বনিম্ন সীমার মধ্যে
দমে মুতাখাল্লিল এর বিধানের সারাংশ হলো পবিত্রতার সর্বনিম্ন সীমা পনেরো দিন হিসেবে ধরে তার পরিচয় জানা যাবে।
,
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নের বিবরন মতে ১৯ শে জুলাই পর্যন্ত আপনার হায়েজ ছিলো।
২০ শে জুলাই থেকে আপনার পবিত্রতা শুরু হয়েছে।
সুতরাং ২৮ তারিখ হতে আপনি যাহা দেখছেন,তাহা স্পষ্ট ইস্তেহাজা তথা অসুস্থতা।
এসময়ে নামাজ চালিয়ে যেতে হবে।
আগষ্ট মাসের চার তারিখের আগে আপনার কোনো স্রাবকে হায়েজ বলার সুযোগ নেই।
এখন আপনি নামাজ পড়বেন কিভাবে,তাহা ডিপেন্ড করবে আপনি মা'যুর কিনা,তার উপর যদি মা'যুর হয়ে থাকেন,সেক্ষেত্রে প্রতি ওয়াক্তের জন্য একবার ওযু করতে হবে।
আর যদি মা'যুর না হোন,সেক্ষেত্রে পবিত্র শরীর ও পবিত্র কাপড়ে নামাজ আদায় করতে হবে।
★সুতরাং আপনি মা'যুর কিনা,তাহা আগে নির্ণয় করতে হবে।
এ সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ-