بسم
الله الرحمن الرحيم
জবাব,
তাহাজ্জুদের পূর্বে
ঘুমানো উত্তম হলেও তাহাজ্জুদের পূর্বে ঘুমানো জরুরী নয়। এবং তাহাজ্জুদের পরে ঘুমানোও জরুরী নয় বরং উত্তম।
(আহসানুল ফাতাওয়া ৩/৪৯৩)
কেননা আল্লাহ পাক
দিনকে বানিয়েছেন কাজ করার জন্য এবং রাত্রকে বানিয়েছেন বিশ্রাম গ্রহণের জন্য। তাই রাত্রে
আমাদেরকে ঘুমাতে হবে এবং শেষরাত্রে
ফজরের ওয়াক্ত শুরুর পূর্ব পর্যন্ত যে কোনো এক মুহুর্তে ২-১২ রা'কাত নামায পড়তে হবে এবং পড়াটা সুন্নাত।
পবিত্র কুরআনে
মুত্তাকীদের জন্য জান্নাতের ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
اِنَّ
الْمُتَّقِیْنَ فِیْ جَنّٰتٍ وَّ عُیُوْنٍ.
সেদিন নিশ্চয়ই
মুত্তাকীরা থাকবে প্রস্রবণবিশিষ্ট জান্নাতে। -সূরা যারিয়াত (৫১) : ১৫
সাথে তাদের
কিছু গুণাবলী ও বৈশিষ্ট্যের বিবরণও এসেছে। তন্মধ্যে অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল-
وَ
بِالْاَسْحَارِ هُمْ یَسْتَغْفِرُوْنَ.
রাতের শেষ
প্রহরে তারা ক্ষমা প্রার্থনা করত। -সূরা যারিয়াত (৫১): ১৮
ইবাদুর রহমান-রহমানের
বান্দাদের কতিপয় বৈশিষ্ট বর্ণনা করা হয়েছে কুরআনে কারীমের সূরা ফুরকানে। সেখানেও উপরোল্লিখিত
বৈশিষ্ট্যটি বিবৃত হয়েছে-
وَ
الَّذِیْنَ یَبِیْتُوْنَ لِرَبِّهِمْ سُجَّدًا وَّ قِیَامًا.
আর তাঁরা রাত
অতিবাহিত করে তাঁদের প্রতিপালকের উদ্দেশ্যে সিজদারত হয়ে এবং দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে। -সূরা
ফুরকান (২৫) : ৬৪
হাদীস শরীফে
এসেছেঃ-
يَنْزِلُ
رَبّنَا تَبَارَكَ وَتَعَالَى كُلّ لَيْلَةٍ إِلَى السّمَاءِ الدّنْيَا حِينَ
يَبْقَى ثُلُثُ اللّيْلِ الآخِرُ يَقُولُ: مَنْ يَدْعُونِي، فَأَسْتَجِيبَ لَهُ
مَنْ يَسْأَلُنِي فَأُعْطِيَهُ، مَنْ يَسْتَغْفِرُنِي فَأَغْفِرَ لَهُ.
আমাদের রব
প্রতি রাতের শেষ তৃতীয়াংশে নিকটবর্তী আসমানে অবতরণ করেন এবং বলেন,
কে আছো,
দুআ করবে আমি তার দুআ কবুল করব। কে
আছো, আমার কাছে (তার প্রয়োজন) চাইবে আমি তাকে দান করব। কে আছো,
আমার কাছে ক্ষমা চাইবে আমি তাকে ক্ষমা
করব। -সহীহ বুখারী, হাদীস ১১৪৫; সহীহ মুসলিম, হাদীস ৭৫৮
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত
ছুরতে আপনি চেষ্টা করবেন তাহাজ্জুদের
ওয়াক্ত শেষ হওয়ার কিছু সময় (আনুমানিক ৩০মিনিট) পূর্বে ঘুম থেকে জাগ্রত হতে , যেন তাহাজ্জুদ
নামাজ ও দুআ শেষ করার পরই ফজরের ওয়াক্ত শুরু হয়। ফজরের ওয়াক্ত শুরু হওয়ার পরেই ফজরের
নামাজ আদায় করে নিবেন ইনশাআল্লাহ। তাহলে আপনি ফজর ও তাহাজ্জুদ উভয়টিই আদায় করতে পারবেন
ইনশআল্লাহ। উল্লেখ্য যে, তাহাজ্জুদের কারণে কোন ভাবেই ফজর কাযা করা যাবে না। আপনার
বাচ্চাকে রাত্রি বেলায় দ্রুত ঘুমানোর চেষ্টা করুন, প্রয়োজনে চিকৎসকের পরামর্শ গ্রহণ
করুন। কারণ, একজন সাস্থ্য সচেতন ব্যক্তির জন্য বিনা ওজরে রাত ১২টার পর ঘুমানো কোন ভাবেই
উচিত নয়।