আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
137 views
in সালাত(Prayer) by (36 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ
১.নামাজে সাহু সিজদাতে সন্দেহ হলে কি করণীয়??  প্রবল ধারণার উপর আমল করতে হবে?? যদি কোনো দিকে সকল ধরনের না হয় তাহলে কি করবো?
২.আমার নামাজে ওয়াসওয়াসা হয় আমি নামাজে প্রবল ধারণার আমল করি। কিন্তু এই প্রবল ধারণা নিয়ে আমার মনে সন্দেহ তৈরি হয়। আমার মনে হচ্ছে একদিকে আমার প্রবল ধারণা তারপরেও মনের মধ্যে সন্দেহ হয় এক্ষেত্রে কি করনীয়?? আসলে প্রবল ধারণা বলতে কি বোঝায়? অর্থাৎ আমার যেদিকে মন বেশি টানে সেটাকে প্রবল ধারণা বলে?  মানে সালাতে সন্দেহ  আমাকে চিন্তা ভাবনা করতে হবে সে বিষয়টি নিয়ে। কিন্তু অনেক সময় সালাত এতক্ষণ ধরে চিন্তাভাবনা সুযোগ থাকে না বা চিন্তা ভাবনা করলেও কোন ফলাফল আসে না। কিন্তু আমি যদি আমার  মনকে  প্রশ্ন করি,, তাহলে আমার মনে হয়  ১০০% এর মধ্যে  অমুক দিকে ৬০%  আর অমুক দিকে ৪০% তাহলে ৬০% এর দিক কি প্রবল? একটু বিস্তারিত বলবেন।
৩.যে সকল স্থানে আইন এবং হামজা এর যে কোন একটি উচ্চারণ করলেই সালাতে  অর্থ পরিবর্তন হবে না,, তখন আমি যদি হরফটার উচ্চারণ এমনভাবে করি যে,, পরিপূর্ণ আইনের মত হচ্ছে না আবার হামজা এর মতও হচ্ছে না তাহলে কি নামাজ বাতিল হয়ে যাবে?? একইভাবে যেখানে জিম এবং দাল   এই দুটি হরফের যেকোনো একটি উচ্চারণ  করলেই হয় সেখানে যদি আমি উপরোক্তভাবে হরফের উচ্চারণটা করি যেন  দালের মতোও হচ্ছে না আবার পরিপূর্ণ জিমের মতও হচ্ছে না। তাহলে নামাজ হবে?  অন্যান্য হরফের বিষয়ে একই কথা। নামাজ ভেঙে যাবে? এখানে তো এক হরফের জায়গায় অন্য হরফ উচ্চারণে সমস্যা নেই।   কারণ  হরফ দুইটাই তো  এখানে প্রযোজ্য।  এক্ষেত্রে তো অর্থ পরিবর্তন হওয়ার কথা??
৪.কেউ যদি সূরা ফাতিহার কোন আয়াত ভুলে তাহলে কি সে সূরা ফাতিহা আবার  প্রথমে থেকে পড়তে পারবে??অথবা প্রথম বৈঠকে তাশাহুদে যদি কোথাও ভুল হয় তাহলে কি আমার প্রথম থেকে তেলাওয়াত করা যাবে?? এই প্রথম থেকে  তিলাওয়াত বিষয়টা বুঝতে পারছি  না। যদি  কোনো শব্দের উচ্চারণ করতে করতে যদি মনে হয় আমার আয়াত ভুল হয়েছে তাহলে কি আমি ওই শব্দটা উচ্চারণ শেষ করে ওইখান থেকে আবার নতুন করে পড়ব?? নাকি যেই  আয়াতটা পড়ছিলাম সেই আয়াতটা শেষ করে আবার প্রথম থেকে পড়ব??
৫.সালাতে আমার মাঝে মাঝে এমন হয় যে,,, আমি সাহু সিজদা   দিতে চেয়েছিলাম কি চাইনি তা মনে থাকেনা,, তখন কি করব?? এছাড়াও মাঝে মাঝে ভুলে যায় কোন কারনে সাহু সিজদা  দিতে  চেয়েছিলাম এটা মনে রাখা কি লাগবে?
৬.মাঝে মাঝে নামাজ এমন হয় যে,, আমি যখন দ্বিতীয় রাকাতের দ্বিতীয় সিজদা দিয়ে দাঁড়াচ্ছি তৃতীয় রাকাতের জন্য,, তখন ওই দ্বিতীয় সিজদা নিয়ে সন্দেহ হয় এমন সময় কি করব?? আমি তো তখন দাঁড়িয়ে যাই। এছাড়াও  যখন দ্বিতীয় সেজদা দিয়ে উঠে  শেষ বৈঠকের তাশাহুদ পাঠ করা শুরু করি তখন ওই দ্বিতীয় সিজদা নিয়ে সন্দেহ হয় তখন কি করব??  ওই  সময় তো আমি তাশাহুদ পাঠ করা শুরু করে দিয়েছি??

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)

ওয়া আলাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
নামাযে সন্দেহ হলে দেখতে হবে যে, ঐ ব্যক্তির কি এটা প্রথম হয়েছে না মাঝেমধ্যে এমন হয়।যদি প্রথমবার বা কদাচিৎ হয়ে তাহলে উনি আবার প্রথম থেকে শুরু করে নতুনভাবে পড়ে নিবেন।কিন্তু যদি কারো প্রায় এরকম সন্দেহ হয়,তাহলে উনার বিধান হলো,
"وإن كثر الشك" تحرى و "عمل" أي أخذ "بغالب ظنه" لقوله صلى الله عليه وسلم: "إذا شك أحدكم فليتحر الصواب فليتم عليه" وحمل على ما إذا كثر الشك للرواية السابقة "فإن لم يغلب له ظن أخذ بالأقل" لقوله صلى الله عليه وسلم: "إذا سها أحدكم في صلاته فلم يدر واحدة صلى أو اثنتين فليبن على واحدة فإن لم يدر اثنتين صلى أو ثلاثا فليبن على اثنتين فإن لم يدر ثلاثا صلى أو أربعا فليبن على ثلاث ويسجد سجدتين قبل أن يسلم"
যদি কারো নামাযে সংখ্যা নিয়ে প্রায় সন্দেহ হয়,তাহলে উনি তাহাররি(সঠিক বিষয়ে পৌছার জন্য চিন্তাভাবনা করা) করে গালিবে যান্ন(প্রবল ধারণা) এর উপর আ'মল করবেন।কেননা রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,যদি কেউ নামাযে সংখ্যা নিয়ে সন্দেহ করে,তাহলে সে যেন সঠিক বিষয়ে পৌছার চেষ্টা করে সে হিসেবে নামাযকে সম্পন্ন করে।তবে যদি চিন্তাভাবনার পরও কোনো সংখ্যার দিকে মনে প্রবল ধারণা না জন্মে, তাহলে সে যেন,কম সংখ্যাকে ধরে নিয়ে সেই হিসেবে নামাযকে সম্পন্ন করে।কেননা রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,যদি কেউ নামাযে সন্দেহ করে,এক রা'কাত পড়েছে না দুই রা'কাত পড়েছে? তাহলে সে যেন এক রা'কাত ধরে নিয়ে সেই হিসেবে নামাযকে সম্পন্ন করে।এভাবে দুই/তিন বা তিন/চার নিয়ে সন্দেহ হলে কম সংখ্যাকে ধরে নিয়ে সে নামাযকে সম্পন্ন করবে।এবং শেষে যেন সে সেজদায়ে সাহু দেয়।(মারাকিল ফালাহ-১/৪৭৭) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1797

প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)নামাজে সাহু সিজদাতে সন্দেহ হলে প্রবল ধারণার উপর আমল করতে হবে। যদি সকল দিক সমান হয়,কোনো দিকে প্রবল ধারণা না হয়, তাহলে নামাযকে ভেঙ্গে দিয়ে নতুন করে শুরু করতে হবে।

(২)  ১০০% এর মধ্যে যেই দিকে ৬০% ধারণা থাকবে, সেই অনুযায়ী আ'মল করবেন।

(৩)যে সকল স্থানে আইন এবং হামজা এর যে কোন একটি উচ্চারণ করলেই সালাতে অর্থ পরিবর্তন হবে না,তখন নামাযে কোনো সমস্যা হবে না।

(৪)কেউ যদি সূরা ফাতিহার কোন আয়াত ভুলে যায়, তাহলে সে সূরা ফাতিহাকে আবার প্রথম থেকে পড়বে এবং সাহু সিজদা দিবে।

(৫) তখনও গভীর চিন্তাভাবনা করে প্রবল ধারণার উপর আমল করবেন।কোনো দিকে প্রবল ধারণা না হলে, তখন নতুন করে নামাযকে পড়ে নিবেন।

(৬)
তখনও গভীর চিন্তাভাবনা করে প্রবল ধারণার উপর আমল করবেন।কোনো দিকে প্রবল ধারণা না হলে, তখন নতুন করে নামাযকে পড়ে নিবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,140 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...