আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ শায়খ,
আমার নানা স্ট্রোক করে মারা যান ৭ বছর আগে।
জীবিত অবস্থায় তিনি ৫ সন্তানের ( ৩ মেয়ে ও ২ ছেলে) জন্য দুই তালার একটি বাসা এবং বাসার সামনে ৬টি দোকান রেখে গেছেন।
জীবিত অবস্থায় উনি মেয়েজামাইদের বারবার বলেছেন, বিশেষ করে বড় মেয়েকে যেই মেয়েই দেশে থাকেন (২ভাই ও দেশে থাকেন এই বাসাতে) যেন উপরে ৩বোন একটি করে তালা করে নেয়।
বিল্ডিংটি ৫তালা ফাউন্ডেশনের, উনি চেয়েছিলেন ৩মেয়ে উপরে একেক তালা করে নিবে, নিচের দুই তালায় ছেলেরা থাকবে।
কিন্তু উনি সম্পত্তি বন্টন নিয়ে কোনো লিখিত অসিয়্যতনামা, উইল কিছু করে যান নি। হুট করে মারা যান।
তার বড় মেয়ে তার মৃত্যুর পর তার স্বামীর টাকায় ৩তালা করে নিয়েছে এবং সেই ভাড়া দিয়ে নিজেরা চলছে। এই বাসায় কোনো বোনেরাই থাকেন না। দুই ভাই-ই শুধু থাকেন।
দুই তালা বাসার এক ফ্ল্যাটে দুই ভাই একসাথে থাকেন, আর বাকি বাসার ভাড়া+দোকানভাড়া মিলিয়ে যেই টাকাটা মাসিক আসে সেটা এতদিন দুই ভাই একাই নিয়ে এসেছে বোনেদের সম্মতিক্রমে।
এখন দুই ভাই চায় আলাদা হতে, সমান সমান টাকা নিতে, (এতদিন ছোট ভাই বড় ভাইয়ের থেকে ভাড়া/হাতখরচ বড় ভাইয়ের অর্ধেক পেত)
এ নিয়ে দুজনের মধ্যে টাকা নিয়ে ঝামেলা লেগেই থাকে, মারামারিও হয়ে যায়।
বোনেরা চায় তারা যেন প্রতিষ্ঠিত হয়, এজন্য মোট বাসাভাড়াটা (বড় বোনের ৩তালা বাদে, ওটা তো উনারই, উনার বাবাই উনাকে অনুমতি দিয়েছিলেন বাসা করে নিতে, আমার বুঝায় কোনো ভুল থাকলে বলবেন দয়া করে শায়খ) ৫ ভাগ করে ৫ ভাই-বোন নিবেন।
আমার মা বড় বোন সবার। আমি জানি বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী এখন মেয়েরা সমান সমান ভাগ পেলেও আমাদের দ্বীন হচ্ছে ইসলাম। তাই আমি চাই আমার মা অর্ধেক ভাগ নিক বাড়িভাড়ার। আর তারা যা করে করুক। তাদেরকে তো আমি বুঝিয়েছিই।
এখন কোনো ভুল করেছি কিনা আমি এটা একটু জানতে চাই শায়খ।