আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
140 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম,আমি আমার বাবার একাউন্ট থেকে মেইল করছি।আমি খুবই পেরেশানি তে আছি,হালাল-হারামের চিন্তায় এবং তালাকের দুশ্চিন্তায় মানসিকভাবে খুবই অসুস্থ হয়ে পড়েছি। মেহেরবানি করে দ্রুত উত্তর দিবেন।

১.যদি ঘরের ফ্রিজ অর্ধেকের বেশি সুদ বা অবৈধ টাকায় এবং বাকি কম অর্ধেক হালাল টাকায় কেনা হয় তাহলে ফ্রিজে রাখা খাবার গ্রহন করা যাবে নাকি?যদি এটা গ্রহন করা হারাম হয় তাহলে তো সব খাবার ই ফ্রিজে রাখা হয়,আর ১/২ দিন না খেয়ে থাকা যায় এর বেশি তো সম্ভব নয়।আমার নিজস্ব ইনকাম নেই,আমি একজন মেয়ে, ফ্রিজ বাবা কিনলেও কথা ছিলো এটা আমার বড় ভাই ও বোনের টাকায় কেনা।এমন হয় যে,ফ্রিজের খাবার নামিয়ে রেখে তাপমাত্রা নরমাল হলে খাওয়া যাবে?

২.যেহেতু মেয়েরা বাবার কর্তৃত্বাধীন, বাবার ইনকাম হারামের সংমিশ্রণ থাকলেও তাদের জন্য জায়েজ হয়।আমাদের গ্যাস,কারেন্ট এসব বৈধ নয় আবার এগুলোর বিল বাবা দেন না,বাবা স্বল্প বেতনে চাকুরী করায় তিনি সকল খরচ সব সময় বহন করতে পারেন না,পারলেও খুব চাপ হয় ফলে বড় বোন তার টাকায় এগুলোর বিল দেন।যেহেতু আমি আমার বোনের কর্তৃত্বাধীন নই ওর টাকায় বিল দিলে আমার জন্য তা গ্রহন করা বৈধ হবে কি?আর ১টি প্রশ্ন বিল বাবা বা পরিবারের যে  দিয়ে থাকুক আমার বিয়ের পর কি আমি এই পরিবারে খাবার গ্রহন করতে পারবো?

৩.আমার বড় বোন একটা শোরুম এ সেলস গার্ল হিসেবে কাজ করে।ও শরীঈ পর্দা মেইনটেইন করে না।তবে হিজাব পড়ে। সেলস জবে কাস্টমার বিভিন্ন ভাবে হ্যান্ডেল করতে হয়,সেক্ষেত্রে হয়তো মিথ্যা ও বলে,আমি আমার বোনকে জিগ্যেস করেছি ও বলেছে ও মিথ্যা বলে না।তবুও আমার সন্দেহ লাগে।ও প্রাকটিসিং মুসলিম না,সব সময় না হলেও কিছু সময়/ ক্ষেত্রে বিশেষ বলতেও পারে।আমার প্রশ্ন পর্দা না করার কারণে এবং কিছু ক্ষেত্রে মিথ্যা বলার কারণে তার ইনকাম করা সব টাকা কি হারাম হবে?নাকি হালাল হারামের মিশ্রণ হবে? এবং বোন হিসেবে আমি তা গ্রহণ করতে পারবো কি না?

৪.বাবা জীবিত থাকা কালীনও কি অন্যান্য মাহরামদের কর্তৃত্বাধীন মেয়ে?বাবা ইনকাম হারামর সংমিশ্রণ হলে যেমন তা মেয়ে/স্ত্রীর গ্রহন করতে পারবে একই হুকুম নাকি আলাদা?বুঝিয়ে বললে ভালো হতো।

৫.সবশেষ প্রশ্ন: আমার বাবার একটি বাজে অভ্যাস তিনি প্রচন্ড গালি দেন।শুধু গালি নয় গালি জাতীয় যত বিশ্রি ভাষা আছে সবই বলেন,পান থেকে চুন খসলেই তার মুখে অকথ্য ভাষায় গালি শুরু হয়।আর এই গালি গুলো তিনি আমার দিয়ে থাকেন।আমি অনেক বার বুঝিয়েছি এসব গালি না দিতে বলার পড়ে তিনি চেষ্টা করেন না দিতে কিন্তু এতো বছরের অভ্যাস তাই পারেন না কন্ট্রোল করতে পড়ে যেই কে সেই,এখন তাকে বুঝানো ও ছেড়ে দিয়েছি।তিনি এমন বকা দেন যাতে করে আমার মনে সন্দেহ আসে তাদের মধ্যে তালাক হয়ে গেলো নাকি।যেমন: mother fucking, Bain ch*** এমন মা রিলেটেড আরো অনেক গালি।আমাকে মাফ করবেন, উল্লেখ না করলে আমার খুঁতখুত লাগবে এজন্য না চাইতেও লিখতে হচ্ছে।এছাড়াও রাগ করে এবং মজা করেও মাকে বলে থাকে গ্রামে গিয়ে কয়েকদিন বেড়িয়ে আয়,বা গ্রামে যা তুই আমি খরচ দিচ্ছি আর আসবি না এসব।আমার প্রশ্ন তাদের মধ্যে কি তালাক হয়ে গিয়েছে?হলে থাকলে এটা কোন পর্যায়ে?

আমার এবং আমার পরিবারের  জন্য খাস করে দোয়া করিয়ে দিয়েন।আল্লাহ যাতে আমাদের হিদায়েত দেন।

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ- 
বাবার ইনকাম হারাম হলে,
সাবালক ছেলে বাবার ইনকাম থেকে কিছুই গ্রহণ করতে পারবেনা।
তবে যদি সে অপারগ থাকে,তাহলে পরবর্তীতে ঐ টাকা সদকাহ করার নিয়তে হিসেব করে করে বাবার কাছ থেকে আপাতত নিতে পারবে।

মেয়ের বাবার ইনকাম যদি হারাম হয়,এবং ঐ বাবার মেয়ে যদি দ্বীনদ্বার হয়,তাহলে এমন মেয়েকে বিয়ে করতে কোনো অসুবিধে নাই।
কেননা বাবার ইনকাম হারাম হলেও বাবার উপর শরীয়ত কর্তৃক মেয়েকে লালন পালন করা ওয়াজিব।হারাম খাওয়ানোর দরুণ বাবাকে জবাবদিহি করতে হবে।তবে মেয়ে নিরাপরাধ হিসেবেই থাকবে।
নাবালক ছেলে সন্তান এবং সকল বয়সের মেয়ে সন্তানের লালনপালনের দায়িত্ব নিকটাত্মীয় মাহরাম পুরুষের উপর।পিতা,ভাই,চাচা ইত্যাদি মাহরাম পুরুষরা ধারাবাহিক মেয়ে সন্তানদের লালন-পালনের দায়িত্ব গ্রহণ করবে। এটা তাদের উপর ওয়াজিব।তারা এ দায়িত্ব পালন না করলে গোনাহগার হবে।
ونفقة البنت بالغة والابن بالغا زمنا أو أعمى على الأب خاصة به يفتى 
বালেগ মেয়ে এবং বালেগ পঙ্গু বা অন্ধ ছেলের ভরণপোষণের দায়িত্ব পিতার উপর।এটার উপরই ফাতাওয়া।(আল-উকুদুদ-দুররিয়া-১/৮২) বিস্তারিত জানুন-https://www.ifatwa.info/2362


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)
আপনি আপনার প্রয়োজন মত বাবার ইনকাম থেকে খেতে পারবেন এবং গ্রহণ করতে পারবেন।

(২)
বিয়ের পর বাবার হারাম ইনকাম থেকে গ্রহণ করতে পারবেন না।

(৩)
যদি বড় বোনের ইনকাম নিয়ে সন্দেহ থাকে, তাহলে এড়িয়ে চলবেন।

(৪)
বাবা উপার্জন সক্ষম হলে অন্যান্য আত্মীয়দের হারাম ইনকাম আপনি গ্রহণ করতে পারবেন না।

(৫)
এসব গালাগালির কারণে তালাক হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (574,050 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...