আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
230 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (9 points)
আসসালামু আলাইকুম মুফতি সাহেব।
আমার হাজবেন্ড এর সাথে ফোনে কঅথা বলার সময় একটু ঝগড়া হয়েছিল। তো আমি তাকে বলেছিলাম তুমি  তোমার মত সীদ্ধান্ত নিতে পার। ও উত্তর দিয়েছিল, তাহলে আনুষ্ঠানিক ভাবে আমাকে বিদায় দাও। সাথে সাথে আমি ফোনটা কেটে অকে মেসেজ দিয়েছি দুইটা। দুইটা তেই লিখেছি তুমি বিয়ে করে ফেল।  তারপর প্রায় ১০ মিনিট আমাদের আর কোন কথা হয়নি। এই কথা জিজ্ঞেস করার কারন, আমি কোন জায় গায় পডেছি, হাজবেন্ড যদি স্ত্রীকে বলে, আমাকে ছেডে দা,, আর স্ত্রী যদি সাথে সাথে উত্তর দেয়, দিলাম, এতে নাকি তালাক হয়ে যায়। তো আমার হাজবেন্ড, "বিদায় দিয়ে দাও" একথা বলার পর যাতে আমি কোন উল্টা পাল্টা কথা না বলি সে জন্যই ফোনটা কেটে দিয়েছি। কারন আমি তাকে কখনো ছাডতে চাই না। বিয়ে করে ফেল এ কথাটা বলেছি রাগ করে। এখানে আমার দুটো প্রশ্ন

১. ও যখন এ কথা বলেছে আমি ফোন কেটে মেসেজ দিয়েছি তুমি বিয়ে করে ফেল, এতে কি তালাক হবার কোন সসম্ভাবনা আছে?

২. ফোন কাটার ১০ মিনিটের মধ্যে, উপরের মেসেজটি দেবার পর আর কোন কথা হয় নি। এর পরে ও যখন ফোন দিয়েছে আমি তখন ওকে দুইবার বলেছি, তুমি তোমার মত সিদ্ধান্ত নাও।এর দ্বারা কি কোন তালাক হতে পারে?  তবে এই কথাটা আমি, "আনুষ্ঠানিক ভাবে বিদায় দাও" ও এই কথাটা বলার আগে বলেছি নাকি পরে বলেছি এটা আমার মনে নেই,। আগে বল্লে কিছু হবে না তা আমার জানা আছে কিন্তু পরে বল্লে কি তালাক হবার সম্ভাবনা আছে? যদি পরে বলে থাকি অন্তত ও কথাটা বলার ১০ মিনিট পরে বলেছি।

আমি কোন ভাবেই তালাকের অধিকার প্রাপ্ত নয়। নিকাহনামা  বা মৌখিক কোনভাবেই আমার হাজবেন্ড আমাকে কখনো তালাকের অধিকার দেন নি।

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-

তালাক হচ্ছে স্বামীর অধিকার। স্বামী তালাক দিলেই তালাক সংঘটিত হবে। 
তালাক তারই অধিকার যার রয়েছে সহবাস করার অধিকার” অর্থাৎ শুধুমাত্র স্বামীর। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ بُكَيْرٍ حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ عَنْ مُوسَى بْنِ أَيُّوبَ الْغَافِقِيِّ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَجُلٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّ سَيِّدِي زَوَّجَنِي أَمَتَهُ وَهُوَ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنِي وَبَيْنَهَا قَالَ فَصَعِدَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم الْمِنْبَرَ فَقَالَ يَا أَيُّهَا النَّاسُ مَا بَالُ أَحَدِكُمْ يُزَوِّجُ عَبْدَهُ أَمَتَهُ ثُمَّ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنَهُمَا إِنَّمَا الطَّلَاقُ لِمَنْ أَخَذَ بِالسَّاقِ

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট এসে বললো, হে আল্লাহর রসূল! আমার মনিব তার বাঁদীকে আমার সাথে বিবাহ দিয়েছে। এখন সে আমার ও আমার স্ত্রীর মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়। রাবী বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্বারে আরোহণ করলেন, অতঃপর বলেনঃ হে লোকসকল! তোমাদের কারো এরূপ আচরণ কেন যে, সে তার গোলামের সাথে তার বাঁদীর বিবাহ দেয়, অতঃপর তাদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়? নারীর ঊরু স্পর্শ করা যার জন্য বৈধ, তালাকের অধিকার তার।
(ইবনে মাজাহ ২০৮১,বায়হাকী ৯/১৫৭, ইরওয়াহ ২০৪১।)

★★শরীয়তের বিধান অনুযায়ী  মহিলা নিজের উপর কেবল তখনি তালাক পতিত করতে পারবে, যদি স্বামী তাকে তালাক দেবার অধিকার দিয়ে থাকে।
এটি নিকাহ নামার ১৮ নং ধারাতে হ্যাঁ লেখার মাধ্যমেই হোক,বা পরবর্তীতে মৌখিক বা লিখিত ভাবেই হোক।
,  
সুতরাং স্বামী যদি স্ত্রীকে তালাকের ক্ষমতা প্রদান করে,আর স্ত্রী স্বামী কর্তৃক তালাকে তাভবিজের ক্ষমতাবলে লিখিত বা মৌখিকভাবে নিজের নফসের উপর তালাক দিয়ে দিলে সেটি পতিত হয়ে যাবে।

আরো জানুনঃ 

★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে কোনো ভাবেই তালাক পতিত হবেনা।
আপনার শরীয়তের দৃষ্টিতে আগের মতোই স্বামী স্ত্রী হিসেবে আছেন।
প্রশ্নে উল্লেখিত কাজের কারনে আপনাদের বৈবাহিক সম্পর্কে কোনো সমস্যা হয়নি।   


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...