ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন,
يَأْتِي الشَّيْطَانُ أَحَدَكُمْ ، فَيَقُولَ : مَنْ خَلَقَ كَذَا وَكَذَا ؟ حَتَّى يَقُولَ لَهُ : مَنْ خَلَقَ رَبَّكَ ؟ فَإِذَا بَلَغَ ذَلِكَ ، فَلْيَسْتَعِذْ بِاللَّهِ وَلْيَنْتَهِ
শয়তান তোমাদের কারো নিকট আসে এবং বলে, এটা কে সৃষ্টি করেছে, ওটা কে সৃষ্টি করেছে? পরিশেষে এ প্রশ্নও করে, তোমার রবকে কে সৃষ্টি করেছে? এ পর্যায়ে পৌঁছলে তোমরা আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা কর এবং এ ধরণের ভাবনা থেকে বিরত হও। ( বুখারী ৩২৭ )
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: جَاءَ نَاسٌ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَسَأَلُوهُ: إِنَّا نَجِدُ فِي أَنْفُسِنَا مَا يَتَعَاظَمُ أَحَدُنَا أَنْ يَتَكَلَّمَ بِهِ، قَالَ: وَقَدْ وَجَدْتُمُوهُ؟ قَالُوا: نَعَمْ، قَالَ: ذَاكَ صَرِيحُ الْإِيمَانِ.
সারমর্মঃ
একবার সাহাবায়ে কেরমের একদল রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর কাছে এসে জিজ্ঞাসা করলেন, আমরা আমাদের অন্তরে কখনো কখনো এমন বিষয় অনুভব করি, যা মুখ দিয়ে উচ্চারণ করা আমাদের কাছে খুব কঠিন মনে হয়। রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন, সত্যিই কি তোমরা এরকম পেয়ে থাক? তাঁরা বললেন হ্যাঁ, আমরা এরকম অনুভব করে থাকি। রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন, ذَاكَ صَرِيحُ الْإِيمَانِ এটি তোমাদের ঈমানের স্পষ্ট প্রমাণ। (মুসলিম, কিতাবুল ঈমান, অনুচ্ছেদ: অন্তরের ওয়াসওয়াসা)
,
আরো জানুনঃ-
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
(০১)
মনে মনে ভুল বলা বা ভুল ভাবার কারনে আপনার ঈমানের কোন সমস্যা হবেনা।
(০২)
আপনার এই না জানার কারনে আপনার ঈমানের সমস্যা হবেনা।
(০৩)
আস্তাগফিরুল্লাহ লেখা আবশ্যক ছিলোনা। না লেখার কারনে আপনার ঈমানের কোন সমস্যা হবেনা।
(০৪)
বাহক অর্থঃ-
বহনকারী,সারথি,চালক ইত্যাদি।
সব কিছুর বাহক মানে সব কিছুর বহনকারী।
এই প্রশ্ন করার কারনে আপনার ঈমানের কোন সমস্যা হবেনা।
(০৫)
উপরের বর্ননাতে সন্দেহের কারনে অনুবাদ দেখার কারনে আপনার ঈমানের সমস্যা হবেনা।
(০৬)
এই কথা বলাটা ঠিক আছে।
তবে নবি ছাড়া অন্যের উপর আসা কোনো অলৌকিক কাজকে মুজিযা বলা যাবেনা।,কারামাত বলতে হবে।
এই প্রশ্ন করার কারনে আপনার ঈমানের কোন সমস্যা হবেনা।