ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
একটি উট বা গরু মহিষে সাতজন পর্যন্ত শরীক হওয়া যায়। সাহাবায়ে কেরাম হাদী-তে শরীক হয়েছিলেন।
হযরত জাবের রাযি থেকে বর্ণিত,
عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ رضي الله عنهما قَالَ : نَحَرْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَامَ الْحُدَيْبِيَةِ الْبَدَنَةَ عَنْ سَبْعَةٍ ، وَالْبَقَرَةَ عَنْ سَبْعَةٍ-
وفي رواية : عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ : حَجَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَنَحَرْنَا الْبَعِيرَ عَنْ سَبْعَةٍ ، وَالْبَقَرَةَ عَنْ سَبْعَةٍ .
তিনি বলেন, হুদাইবিয়ার বছর (৬ষ্ঠ হিজরী) আমরা রসূলুল্লাহ সাঃ এর সাথে প্রতি সাতজনের পক্ষ থেকে একটি উট এবং প্রতি সাতজনের পক্ষ থেকে একটি গরু কুরবানী করেছি।(সহীহ মুসলিম-১৩১৮)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) যেহেতু ছেলের উপর কুরবানি ওয়াজিব নয় তাই ছেলের অনুমতির কোনো প্রয়োজনিয়তা নাই। সুতরাং মা যা করেছেন তা ইসলামের আলোকে সঠিক আছে।
(২) উক্ত ছেলে সম্মতি দেউক বা না দেউক সর্বাবস্থায়ই কুরবানী আদায় হবে।
(৩) উক্ত ছেলে সম্মতি না দিলেও কোনো সমস্যা নেই। হ্যা, ছেলের উপর কুরবানি ওয়াজিব থাকলে তখন কিন্তু ছেলের অনুমতির প্রয়োজন হতো।
(৪) কোনো সমস্যা নেই।
৫) ছেলে সম্মতি দেউক বা না দেউক, ছেলের পক্ষ থেকে নফল কুরবানি আদায় হয়ে যাবে।