আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
377 views
in কুরবানী (Slaughtering) by (25 points)
edited by
আসসালামুআলাইকুম

একজন আলেমকে বলতে শুনেছি কুরবানির যে পরিমাণ অর্থ দিয়ে কেউ কুরবানী দেই সেই পরিমাণ অর্থের উপর নাকি যাকাত দিতে হয়।অর্থাৎ কেউ যদি ৫০০০০ টাকা দিয়ে কোরবানি করে তার ২.৫% টাকা যাকাত হিসাবে দিয়ে দিতে হবে।এই রকম কোন নিয়ম আছে না কি দলিল সহ জানতে চাই। দয়া করে যদি জানাতেন।

1 Answer

0 votes
by (709,320 points)
edited by
ওয়া আলাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ- 
https://www.ifatwa.info/1642 নং প্রশ্নে আমরা বলেছি যে, 
কুরবানি দেওয়া ওয়াজিব।কার উপর ওয়াজিব?এ সম্পর্কে ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
مِنْهَا الْيَسَارُ وَهُوَ مَا يَتَعَلَّقُ بِهِ وُجُوبِ صَدَقَةِ الْفِطْرِ دُونَ مَا يَتَعَلَّقُ بِهِ وُجُوبُ الزَّكَاةِ،
এই পরিমাণ ধনবান ব্যক্তির উপর কুরবানি ওয়াজিব,যে পরিমাণ ধনসম্পত্তি থাকার কারণে কারো উপর সদকায়ে ফিতর ওয়াজিব হয়।যাকাত ওয়াজিব হওয়ার নেসাব পরিমাণ সম্পত্তির মালিক হওয়া শর্ত নয়।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-৫/২৯২, কিতাবুল-ফাতাওয়া-৪/১৩১)

বিস্তারিত জানুন-১৬৮৮,মালে নামী(ক্রমবর্ধমান)মালের ব্যখ্যা জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/1434

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
নিত্যপ্রয়োজনীয় ব্যয়ভার ব্যতীত প্রত্যেক  নেসাব (৭.৫ ভড়ি স্বর্ণ/৫২.৫ ভড়ি রূপা বা রূপার সমমূল্য) পরিমাণ মালের মালিক স্বাধীন মুসলমানের উপর কুরবানি করা ওয়াজিব।এক্ষেত্রে বাড়ন্ত মাল হওয়া শর্ত নয় এবং এক বৎসর অতিবাহিত হওয়াও শর্ত নয়।যেভাবে সদকাতুল ফিতরের নেসাব ঠিক এভাবে কুবানিরও নেসাব। বিস্তারিত জানুন-


কুরবানির নেসাব পৃথক।এবং যাকাতের নেসাব পৃথক।কুরবানি ওয়াজিব হলেই যে যাকাত দিতে হবে,বিষয়টা মূলত এমন নয়।বরং যাকাত ওয়াজিব হলেই কুরবানিও ওয়াজিব হবে। কেননা যাকাতের জন্য ক্রমবর্ধমান মাল হওয়া শর্ত।কিন্তু কুরবানি ওয়াজিব হওয়ার জন্য ক্রমবর্ধমান মাল হওয়া শর্ত নয়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (709,320 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...