আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
232 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (54 points)
আসসালামু আলাইকুম।
১.পেট ভরার পর ও অতিরিক্ত খেলে কি গুনাহ হবে?
২.খাওয়ার পর আমি আলহামদুলিল্লাহ বলি। কিন্তু তারপর আবার আস্তাগফিরুল্লাহ    পরি। কারণ আমি পেট ভরার পর ও অতিরিক্ত খাই এজন্য। এভাবে আলহামদুলিল্লাহ বলার পর আবার বেশি খাওয়ার কারনে আস্তাগফিরুল্লাহ পরলে কি গুনাহ হবে?
৩.জাবারিয়া আকিদা পোষণকারি কি মুসলিম? এ-ই প্রশ্ন করার কারনে কি আমার ঈমানের কোন সমস্যা হবে?
৪.খারেজি মুতাজিলা  আকিদা পোষণকারি কি মুসলিম?     এই প্রশ্ন করার কারনে কি আমার ঈমানের কোন সমস্যা হবে?

1 Answer

0 votes
by (636,510 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


(০১)
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী পেট ভরে ভাত/খাবার খাওয়া জায়েয আছে। 
,
তবে পেট ভরে যাওয়ার পর আরো বেশি খাওয়া মূলত মাকরুহে তাহরিমি তথা নাজায়েজ ।

হ্যাঁ যদি পেট ভরা থেকে বেশি খাওয়ার উদ্দেশ্য যদি এটা হয় যে  পরিপূর্ণ শক্তি অর্জন করে আগামীকাল রোযা রাখবে,বা মেহমান হয়ে কাহারো কাছে দাওয়াত খাওয়ার সময় অবস্থা যদি এমন হয় যে কম খেলে মেজবান রাগ করবে,তাহলে পেট ভরা থেকে আরো বেশি খাওয়া জায়েয আছে।

অন্যথায় এটা মাকরুহে তাহরিমি।      
ওলামায়ে কেরাম এটাকে মাকরুহে তাহরিমি এই জন্য   বলেছেন যে, যেহেতু আল্লাহর রাসূল (সা.) বলেছেন যে, আমরা খাই, একেবারে পরিপূর্ণ তৃপ্তি পর্যন্ত আমরা খাই না এবং নবী (সা.) মূলত তাঁর খাবারের পদ্ধতি যখন বলেছেন, মুমিন ব্যক্তি এক ভুঁড়িতেই খায়, একদম সাত ভুঁড়ি পরিপূর্ণ করে খায় না।

রাসূল (সা.) বলেছেন, মুমিন ব্যক্তি যখন খাবে, তখন তিন ভাগের এক ভাগ রাখবে তাঁর খাবারের জন্য, এক ভাগ রাখবে পানীয়র জন্য, এক ভাগ সে খালি রেখে দেবে, যাতে করে পেটের মধ্যে অন্তত জায়গা থাকে। আর এটা অনেক দিক থেকে স্বাস্থ্যকর। 

চিকিৎসাবিজ্ঞান কিন্তু অধিক আহার সমর্থন করে না। তাই নবী (সা.) মূলত এভাবে নির্দেশনা দিয়েছেন এবং বলেছেন, ইমানদার ব্যক্তির জন্য এটাই যথেষ্ট। এর মাধ্যমে নিজের মেরুদণ্ড সোজা রাখতে পারবে। এটাই তাঁর জন্য যথেষ্ট। তাই এর চেয়ে বেশি পরিতৃপ্ত হয়ে একেবারে গলা পর্যন্ত খাওয়া মূলত ইসলামী পদ্ধতি নয়।
,
নবী (সা.) বলেছেন, আল্লাহকে যে অস্বীকার করেছে, আল্লাহর বিধানকে যে অস্বীকার করেছে, সেই কাফের ব্যক্তিই মূলত একেবারে আকণ্ঠ ভর্তি করে খায়। এটা মূলত ইমানদার ব্যক্তিদের কাজ নয়, ইমানদার ব্যক্তিরা খাবারের ক্ষেত্রে কম খাবে এবং আল্লাহর বিধানটুকু অনুসরণ করবে। আল্লাহর সেই বিধানটা হচ্ছে, ‘তোমরা খাও, পান করো। অপচয় করো না।’

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " الْكَافِرُ يَأْكُلُ فِي سَبْعَةِ أَمْعَاءٍ وَالْمُؤْمِنُ يَأْكُلُ فِي مِعًى وَاحِدٍ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَأَبِي سَعِيدٍ وَأَبِي بَصْرَةَ الْغِفَارِيِّ وَأَبِي مُوسَى وَجَهْجَاهٍ الْغِفَارِيِّ وَمَيْمُونَةَ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو .

ইবনু উমর (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সাত পাকস্থলী ভর্তি করে কাফির খাদ্যদ্রব্য গ্রহণ করে, আর একটিমাত্র পাকস্থলী ভর্তি করে মুমিন খাদ্যদ্রব্য গ্রহণ করে।
(তিরমিজি ১৮১৮) 

বিস্তারিত জানুনঃ- 

(০২)
এভাবে আলহামদুলিল্লাহ বলার পর আবার বেশি খাওয়ার কারনে আস্তাগফিরুল্লাহ পড়লে গুনাহ হবেনা।

(৩.৪)
তারা কাফের নয়।

তবে তারা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের অন্তর্ভুক্ত নয়।

এদুটি প্রশ্ন করার কারনে আপনার ঈমানের কোন সমস্যা হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (54 points)
edited by
1. নামাজে রুকুতে  হাটুর উপর হাত না রেখে এক্টু নিচে হাত রাখলে রুকু হবে কি। এর কারনে নামাজ ভংগ হবে কি? 

2. শিয়ারা কি মুসলিম? এই প্রশ্ন করার কারনে কি আমার ঈমানের কোন সমস্যা হবে?   

3.স্ত্রী যদি ভালোবেসে বলে যে তোমার জন্য মরতে পারি তাহলে কি গুনাহ হবে?        
 
৪.হারাম  কোন কাজে সে লাকী বা   ভাগ্যবান বলা যাবে কি? যে কাজ জায়েজ নয় আর কি। (যেহেতু হারাম কাজে ইনশাআল্লাহ বলা যাবে না  সেজন্য প্রশ্ন করলাম)   

৫.জ্বীনেরা কি কান আকাশে কান পেতে ফেরেশতাদের কথা শুনতে পায় বা শোনে। আমি একটি ভিডিও তে দেখেছিলাম যে জ্বীনেরা আকাশে কান পেতে ফেরেশতাদের কথা শুনে এসে মানুষকে বলে।

৬.আমার এই রকম প্রশ্ন করার কারনে কি আমার ঈমানের কোন সমস্যা হবে?                                                    

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 175 views
0 votes
1 answer 273 views
0 votes
1 answer 270 views
asked Jan 2, 2023 in সালাত(Prayer) by Bakar (27 points)
+1 vote
1 answer 188 views
0 votes
1 answer 161 views
0 votes
1 answer 166 views
0 votes
1 answer 214 views
0 votes
1 answer 229 views
...