আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
114 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (21 points)
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রহমাতআল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ,

আমি জানতে চাচ্ছি,

১। পাইলস এর চিকিৎসায় আংটি (সাধারন বা আড়াই প্যাঁচ এর আংটি) অনেক মুরুব্বিরা হুজুর এর কাছ থেকে পাইলস এর চিকিৎসা হিসেবে এনে ব্যবহার করছে, তারা বলছে অসুখ এ ওষুধ খাওয়া গেলে এধরনের আংটি কেন ব্যবহার করা যাবেনা? এটা কি শিরক নয়?

২। দাম্পত্য জীবনে যাদুর সমস্যার বেশকিছু লক্ষন (শারীরিক) প্রকাশ পাওয়ায়, মুরুব্বিরা কেউ কেউ পরামর্শ দেয় "নাভি খুলে যাদু নষ্ট" করার, তারা নিজেরা এসব করে উপকৃত হয়েছে (এগুলা করার সময় অনেক কিছু "যাদুর অংশ নাভি থেকে বের হতে তারা দেখেছে, বা "মায়ের নাম" জেনে তাবিজ দেয় এমন হুজুরদের কাছ থেকে তাবিজ নিতে বলে সমস্যার সমাধান করতে, এসব করে নাকি তাদের, তাদের সন্তানদের সংসার ঠিক আছে, তারা সুখে আছে, কিন্তু এগুলো কি হারাম নয়? তাদের কথা, মায়ের নাম না জানলে সমস্যা সমাধান করবে কিভস, কারন একই নাম এর কত মানুষ আছে? এগুলো না করে, আল্লাহর উপর ভরসা করস, আল্লাহর কাছে দুয়া করতে থেকে বরং সমস্যা নিয়েই দিন পার করা কি জায়েজ নয়?

৩। সুদ এ টাকা ধার নিয়ে বাড়ি করা, ধুমধাম করে ছেলেমেয়ের বিয়ে দেয়া, এবং পরবরতিতে অন্যের থেকে যাকাত নিয়ে সেই ঋণ শোধ করা কি জায়েজ? যে বাক্তি এসব জেনে ঐ বাক্তিকে যাকাত দিবে, তার যাকাত কি আদায় হবে? ঐ ঋণগ্রহীতার যদি সম্পদ থাকে, কিন্তু সে সম্পদ বিক্রি না করে এভাবে ঋন করে চলে, এবং পরে আত্মীয়দের কাছ থেকে যাকাত নিয়ে তা শোধ করে, সেক্ষেত্রে ইসলাম কি বলে?

৪। পূর্বে ছবি আকা প্রতিযোগিতা থেকে পাওয়া স্বর্ণ , রৌপ্য, পদকসমূহ কোথায় দিয়ে দেয়া জায়েজ হবে (মসজিদ নির্মাণ, না কোন  দরিদ্রদের চিকিৎসা ফান্ড এ)? পূূর্বের এই কাজ এর জন্য বাক্তি অনুতপ্ত?

জাযাকাল্লাহু খাইরান।

1 Answer

0 votes
by (573,870 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 
আব্দুল্লাহ ইবনু বুরাইদাহ (রহঃ) থেকে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত।

عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَجُلًا، جَاءَ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَعَلَيْهِ خَاتَمٌ مِنْ شَبَهٍ، فَقَالَ لَهُ: «مَا لِي أَجِدُ مِنْكَ رِيحَ الْأَصْنَامِ» فَطَرَحَهُ، ثُمَّ جَاءَ وَعَلَيْهِ خَاتَمٌ مِنْ حَدِيدٍ، فَقَالَ: «مَا لِي أَرَى عَلَيْكَ حِلْيَةَ أَهْلِ النَّارِ» فَطَرَحَهُ، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، مِنْ أَيِّ شَيْءٍ أَتَّخِذُهُ؟ قَالَ: «اتَّخِذْهُ مِنْ وَرِقٍ، وَلَا تُتِمَّهُ مِثْقَالًا»

একদা এক ব্যক্তি পিতলের আংটি পরিহিত অবস্থায় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এলে তিনি তাকে বলেনঃ আমি তোমার কাছ থেকে মূর্তির গন্ধ পাচ্ছি কেন? এ কথা শুনে লোকটি আংটি ছুঁড়ে ফেলে দিলো। অতঃপর সে একটি লোহার আংটি পরে এলে তিনি বলেনঃ আমি তোমার নিকট জাহান্নামীদের অলংকার দেখছি কেন? লোকটি এটিও ছুঁড়ে ফেলে দিলো। লোকটি বললো, হে আল্লাহর রাসূল! তাহলে কিসের আংটি ব্যবহার করবো? তিনি বলেনঃ রূপার আংটি ব্যবহার করো, তবে তা যেন এক মিসকাল এর অধিক না হয়।(সুনানে আবি-দাউদ-৪২২৩)

রুপা ব্যতিত অন্য কোন ধাতু দ্বারা পুরুষরা কি আংটি ব্যবহার করতে পারবে? 
এ সম্পর্কে ফুকাহাদের মতবিরোধ রয়েছে,

হানাফি মাযহাব অনুযায়ী পুরুষরা রুপার আংটি ব্যতীত অন্য কোনো আংটি ব্যবহার করতে পারবে না।
তাই হানাফি মাযহাবের অনুসারীগন রুপা ব্যতিত অন্য কোন ধাতুর আংটি ব্যবহার করতে পারবেনা।
,   
★তবে ভিন্ন মাযহাবের অনুসারীগন রুপা ব্যতিত অন্য কোন ধাতুর আংটি ব্যবহার করতে পারবে।
কোনো সমস্যা নেই।    

বিস্তারিত জানুনঃ 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
পাইলস এর চিকিৎসায় আংটি ব্যবহার করা নারী পুরুষ নির্বিশেষে সকলের জন্যই চিকিৎসার খাতিরে জায়েজ।
তবে আকীদা বিশুদ্ধ রাখতে হবে।

(০২)
এক্ষেত্রে শরীয়াহ বিরোধী অনেক কাজই আছে।

তাই যাদু নষ্ট করতে শরীয়াহ সম্মত পন্থা অবলম্বন করতে হবে।

এ সংক্রান্ত জানুনঃ- 

(০৩)
এ ধরনের কাজ জায়েজ হবেনা।

তবে সে যদি আসলেও যাকাত গ্রহনের উপযুক্ত হয়, সেক্ষেত্রে তাকে যাকাত দিলে যাকাত দাতার যাকাত আদায় হয়ে যাবে।

সে নেসাব পরিমান সম্পদের মালিক হলে কোনোভাবেই যাকাত গ্রহন করতে পারবেনা।
সেক্ষেত্রে যাকাত গ্রহন তার জন্য হারাম হবে।

(০৪)
দরিদ্রদের (যারা যাকাত গ্রহনের উপযুক্ত,তাদের)  চিকিৎসা ফান্ডে দিবে।
অথবা ফকির মিসকিনকে ছওয়াবের নিয়ত ছাড়া দান করে দিবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...