আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
68 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (76 points)
আসসালামু ওরাহমাতুল্লাহ।
কারো ধরেন প্রচুর দেনা ১২ লাখ ।  আগে যখন ব্যাবসা করত তখন নিয়েছিল।কিন্তু ব্যবসা চলে গেছে।একটা সামান্য চাকরী করে।সেখানে এত বেতন না। যারা দেনা পাচ্ছে প্রতিনিয়ত থানায় অভিযোগ আর মামলা দেয়।সে বাড়িতেও যেতে পারে না কিছুতেই।সে চায় টাকা গুলো যে কোন প্রকারে শোধ করে ফেলতে।বিদেশে ও যেতে চেয়েছিল শুধু টাকা গুলো শোধ করার জন্য।কিন্তু পাসপোর্ট পায় নি যারা পাওনাদার তারা অভিযোগ করার কারনে।খুব বিপদে তিনি।

 বিয়ে করেছে কিন্ত স্ত্রীকেও বাসায় নিয়ে আসতে পারতেছে না এসব কারনে।এমতাবস্থায় তার মাথায় এল ইউটিওব এ টাকা ইনকাম করে হলেও টাকা গুলো শোধ করে ফেলবে।সে চায় এ টাকা গুলো শোধ করে ছোট খাটো চাকরি করে বউ নিয়ে থাকবে তখন আর করবে না ইউটিউব এর কাজ।তহ টাকা শোধ করার উদ্দেশ্য ইউটিউব এর ইনকাম করা যাবে?

1 Answer

0 votes
by (683,480 points)
edited by
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 
আবু যুরআ রাহ বলেন-

دخلت مع أبي هريرة في دار مروان، فرأى فيها التصاوير، فقال : سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول : قال الله عز وجل : ومن أظلم ممن ذهب يخلق خلقا كخلقي فليخلقوا ذرة، وليخلقوا حبة، أو ليخلقوا شعيرة.

আমি আবু হুরায়রা রা.-এর সঙ্গে মারওয়ানের গৃহে প্রবেশ করলাম। সেখানে কিছু চিত্র তাঁর দৃষ্টিগোচর হল। তিনি তখন বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, আল্লাহ তাআলা বলেন-

ومن أظلم ممن ذهب يخلق خلقا كخلقي

ওই লোকের চেয়ে বড় জালেম আর কে যে আমার সৃষ্টির মতো কোনো কিছু সৃষ্টি করতে চায়। (তাদের যদি সামর্থ্য থাকে তবে) সৃষ্টি করুক একটি কণা, একটি শষ্য কিংবা একটি যব! (সহীহ মুসলিম হা. ২১১১; সহীহ বুখারী হা. ৫৯৫৩)

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর(রা.) থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
عَنْ نَافِعٍ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا أَخْبَرَهُ: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: " إِنَّ الَّذِينَ يَصْنَعُونَ هَذِهِ الصُّوَرَ يُعَذَّبُونَ يَوْمَ القِيَامَةِ، يُقَالُ لَهُمْ: أَحْيُوا مَا خَلَقْتُمْ "
রাসূলুল্লাহ ﷺ ইরশাদ করেছেন,যারা ফটো বানায়, কিয়ামতের দিন তাদের শাস্তি দেয়া হবে এবং তাদের উদ্দেশ্যে বলা হবে,যা তোমরা বানিয়েছ তাতে জীবন দাও।[সহীহ বুখারী-৫৯৫১]

শরয়ী বিশেষ জরুরত ব্যতীত ছবি ভিডিও সম্পূর্ণই হারাম ও নাজায়েয৷

★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যেহেতু ইউটিউবের এ্যাডগুলো সাধারণত হারাম ও নাজায়েজ এ্যাড হয়ে থাকে৷ তাই ইউটিউবে ভিডিও আপলোডের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করা জায়েজ হবে না৷ 

কেননা সর্বপরি সেই ভিডিও দেখার দরুন দর্শক অবশ্যই হারাম এড দেখবে।

তবে যদি কখনো এমন ব্যবস্থা করা যায় যে, জায়েজ এ্যাড ছাড়া হারাম এ্যাড আসবে না, সেই ক্ষেত্রে প্রশ্নে উল্লেখিত ভিডিও আপলোড করে টাকা ইনকাম করা জায়েজ হবে৷

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে উক্ত ভাইয়ের জন্য পরামর্শ থাকবে, তিনি বৈধ ও শিক্ষনীয় ভিডিও বানাবেন,কোনো বাদ্য-বাজনা ব্যবহার করবেননা,কোনো নারীর ছবি ও কন্ঠ ব্যবহার করবেননা।

এবং তার ভিডিও দেখতে গেলে হারাম এ্যাড আসবে না,এমনটা করতে পারলে,আসলে হালাল এ্যাড আসবে,সেই ভিত্তিতে তার ইনকাম জায়েজ হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...