ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
সামুরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত।
عَنْ سَمُرَةَ، قَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ نُسَمِّيَ رَقِيقَنَا أَرْبَعَةَ أَسْمَاءٍ أَفْلَحَ وَيَسَارًا وَنَافِعًا وَرَبَاحًا .
তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে চারটি নাম রাখতে নিষেধ করেছেন; আর তা হলোঃ আফলাহ(কামিয়াব), ইয়াসার(সহজ), নাফি(বাড়ন্ত) ও রাবাহ(মুনাফা ও লাভ)।(সুনানু ইবনি মা'জা-৪৮৭৫)
এই চারটি নাম দ্বারা কারো নাম রাখা যাবে না।কারণ নিম্নোক্ত হাদীসে বর্ণিত হয়েছে,
সামুরাহ্ ইবনু জুনদুব (রাঃ) হতে বর্ণিত।
وَعَن سَمُرَةَ بْنِ جُنْدُبٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسلم: لَا تسمين غُلَاما يسارا وَلَا رباحا ولانجيحا وَلَا أَفْلَحَ فَإِنَّكَ تَقُولُ: أَثَمَّ هُوَ؟ فَلَا يَكُونُ فَيَقُولُ لَا رَوَاهُ مُسْلِمٌ. وَفِي رِوَايَةٍ لَهُ قَالَ: «لَا تسم غُلَاما رَبَاحًا وَلَا يَسَارًا وَلَا أَفْلَحَ وَلَا نَافِعًا»
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তুমি কখনো তোমাদের ’’গোলাম’’ (সন্তান)-এর নাম ’ইয়াসার’, ’রবাহ’, ’নাজীহ’ ও ’আফলাহ’ রেখ না। কেননা যখন তুমি তার নাম ধরে ডাকবে, আর সে উপস্থিত থাকবে না, তখন কেউ বলবে ’’নেই’’।
মুসলিম-এর অপর বর্ণনায় রয়েছে, তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ তুমি তোমার গোলামের নাম ’রবাহ’, ’ইয়াসার’, ’আফলাহ’ কিংবা নাফি’ নাম রেখ না।(মিশকাত-৪৭৫৩)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
উক্ত নাম সমূহকে প্রথম নিষেধ করা হলেও পরবর্তীতে আর নিষেধ করা হয়নি।
জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত,
وَعَن جَابر قَالَ أَرَادَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يَنْهَى عَنْ أَنْ يُسَمَّى بِيَعْلَى وَبِبَرَكَةَ وَبِأَفْلَحَ وَبِيَسَارٍ وَبِنَافِعٍ وَبِنَحْوِ ذَلِكَ. ثُمَّ سَكَتَ بَعْدُ عَنْهَا ثُمَّ قُبِضَ وَلَمْ يَنْهَ عَنْ ذَلِك. رَوَاهُ مُسلم
তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইচ্ছা করলেন যে, তিনি লোকেদেরকে ইয়া’লা, বারাকাহ্, আফলাহ, ইয়াসার, নাফি’ এবং অনুরূপ নাম রাখতে নিষেধ করবেন। তারপর দেখলাম, তিনি ইচ্ছা পোষণ করার পর নিশ্চুপ থাকলেন। অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ইন্তিকাল হলো, অথচ তিনি এরূপ নাম রাখতে নিষেধ করেননি। (মিশকাত-৪৭৫৪)
মোল্লা আলী কারী রাহ লিখেন,
وَلَهُ وَجْهٌ آخَرُ مِنَ التَّأْوِيلِ، وَهُوَ أَنَّهُ أَرَادَ أَنْ يَنْهَى نَهْيَ تَحْرِيمٍ، ثُمَّ سَكَتَ بَعْدَ ذَلِكَ رَحْمَةً عَلَى الْأُمَّةِ لِعُمُومِ الْبَلْوَى، وَإِيقَاعِ الْحَرَجِ، لَا سِيَّمَا وَأَكْثَرُ النَّاسِ مَا يُفَرِّقُونَ بَيْنَ الْأَسْمَاءِ مِنَ الْقُبْحِ وَالْحُسْنِ،
ভাবার্থ
প্রথমে ঐ নাম সমূহকে নিষেধ করা হলেও পরবর্তীতে লোকদের সহজতার নিমিত্তে আর আর নিষেধ করা হয়নি।কেননা অধিকাংশ লোক শুদ্ধ ও অশুদ্ধ নামের মধ্যে পার্থক্য করতে অক্ষম।