বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
হিজরা সাধারণত দু প্রকারঃ-
(১)মুশকিল
(২)গায়রে মুশকিল
মুশকিলঃযার প্রস্রাবের রাস্তা দুটি, যথা পুঃলিঙ্গ(যকর/penis) স্ত্রীঃলিঙ্গ(ফরয/pussy)এবং যাকে বালেগ হওয়ার পরও কোনো ভাবেই (অর্থাৎ উপরোক্ত আলামতসমূহ থেকে কোনো আলামতের মাধ্যমে)পুরুষ বা মহিলা কোনোটার আওতাভুক্ত করা যায় না।
এমন ব্যক্তি খুনছা মুশকিল বা বাস্তবিক অর্থে হিজড়া।এরকম ব্যক্তি পৃথিবীতে খুবই কম।এসব ব্যক্তি নামাযে পুরুষ-মহিলার মধ্যবর্তী স্থানে অর্থাৎ বাচ্চাদের পিছনে মহিলাদের সামনে দাড়াবে(যেখানে নারী-পুরুষের জামাতের সাথে নামায বৈধ হবে)।
এবং এরুপ ব্যক্তি কখনো বিবাহ করতে পারবে না।কেননা কোনোভাবেই বুঝা যাচ্ছেনা সে পুরুষ নাকি মহিলা।এখন যদি তার বিবাহ পুরুষের সাথে হয়,অন্যদিকে সেও এক হিসাবে পুরুষ তাহলে পুরুষে পরুষে বিবাহ হয়ে যাবে। আর যদি মহিলার সাথে বিবাহ হয় অন্যদিকে সেও এক হিসাবে মহিলা তাহলে মহিলায় মহিলায় বিবাহ হয়ে যাবে।যা কখনো বৈধ হবে না। হিজড়া সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/6414
বিয়েতে দু'জন পুরুষ সাক্ষী অথবা একজন পুরুষ ও দুইজন মহিলা সাক্ষী থাকতে হবে,নতুবা বিয়েই হবে না।পুরুষ ব্যতীত শুধামাত্র মহিলাদের সাক্ষ্য দ্বারা বিয়ে সংগঠিত হবে না।হিজড়া সাক্ষী হিসেবে থাকতে পারবে।তবে তারা মহিলাদের মত দু'জন একজন পুরুষের সমকক্ষ হবে।
لما في الفتاوى الهندية -ج:١،ص:٢٦٧(نسخة شاملة)
كَذَا فِي الْخُلَاصَةِ وَيُشْتَرَطُ الْعَدَدُ فَلَا يَنْعَقِدُ النِّكَاحُ بِشَاهِدٍ وَاحِدٍ هَكَذَا فِي الْبَدَائِعِ وَلَا يُشْتَرَطُ وَصْفُ الذُّكُورَةِ حَتَّى يَنْعَقِدُ بِحُضُورِ رَجُلٍ وَامْرَأَتَيْنِ، كَذَا فِي الْهِدَايَةِ وَلَا يَنْعَقِدُ بِشَهَادَةِ الْمَرْأَتَيْنِ بِغَيْرِ رَجُلٍ وَكَذَا الْخُنْثَيَيْنِ إذَا لَمْ يَكُنْ مَعَهُمَا رَجُلٌ هَكَذَا فِي فَتَاوَى قَاضِي خَانْ.