আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
127 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (7 points)
সম্মানিত মুফতী সাহেব,

আসসালামু আলাইকুম। আমার খুব নিকট একজন আত্মীয় ঝগড়ার সময় তার স্ত্রীকে বলেছে, 'আমি তোমাকে এক তালাকে বায়েন দিলাম।' তার ভাষ্যমতে এর বেশি কিছু বলে নাই। এখন আমরা যেটা জানি, এক তালাকে বায়েন বলে দিলে আবার মোহরানা ধার্য করে বিয়ে পড়াতে হবে। স্বামী স্ত্রী নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে আবার বিয়ে করে নিতে চায়। দুইজন সন্তান আছে এদের। কিন্তু অবস্থা এমন, যে আমি ছাড়া অন্য কাউকে এই বিষয় জানাতে পারছে না। বিয়ের সময় তো সাক্ষী লাগবে দুইজন পুরুষ। আমি যদি নিম্নোক্ত সূরতে অন্য কাউকে সাক্ষী হবার জন্য ঠিক করে বিয়ে পড়িয়ে দেই, তাহলে কি বিয়ে হবে?
সূরতঃ আমি যদি অন্য একজনকে বলি যে, এই দুইজন সন্দেহ করছে যে, হয়তো তাদের বিয়ে কোন কথার দ্বারা ভেঙ্গে গিয়েছে, কিন্তু তারা নিশ্চিত নয়। তাই মনের শান্তির জন্য আবার বিয়ে মোহরানা সহকারে দোহরায়ে নিতে চায়। আপনি যদি এদের এই বিয়েতে সাক্ষী থাকেন তাহলে বেচারাদের খুব উপকার হয় এবং মনের অনেক বড় সন্দেহ দূর হয়ে যায়।

সম্মানিত মুফতী সাহেব, এইভাবে বলে যদি আর একজন সাক্ষী ম্যানেজ করা হয়, তাহলে কি বিয়ে হয়ে যাবে? আমি তো আসল ঘটনা জানি,  কিন্তু উনি তো জানেন না। এতে কি কোন সমস্যা হবে?

1 Answer

0 votes
by (684,760 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


ইজাব ও কবুলটি বলতে হয় দুইজন প্রাপ্ত বয়স্ক মসলিম পুরুষ বা একজন পুরুষ ও দুইজন মহিলার সামনে।

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ- 

وَ اسۡتَشۡہِدُوۡا شَہِیۡدَیۡنِ مِنۡ رِّجَالِکُمۡ ۚ فَاِنۡ لَّمۡ یَکُوۡنَا رَجُلَیۡنِ فَرَجُلٌ وَّ امۡرَاَتٰنِ مِمَّنۡ تَرۡضَوۡنَ مِنَ الشُّہَدَآءِ اَنۡ تَضِلَّ اِحۡدٰىہُمَا فَتُذَکِّرَ اِحۡدٰىہُمَا الۡاُخۡرٰی

আর তোমরা তোমাদের পুরুষদের মধ্য হতে দু’জন সাক্ষী রাখ, অতঃপর যদি দু’জন পুরুষ না হয় তবে একজন পুরুষ ও দু’জন স্ত্রীলোক যাদেরকে তোমরা সাক্ষী হিসেবে পছন্দ কর, যাতে স্ত্রীলোকদের মধ্যে একজন ভুলে গেলে তাদের একজন অপরজনকে স্মরণ করিয়ে দেয়।
(সুরা বাকারা ২৮২)

হাদিস শরিফে এসেছে, 

لَا يَجُوزُ نِكَاحٌ، وَلَا طَلَاقٌ، وَلَا ارْتِجَاعٌ إِلَّا بِشَاهِدَيْنِ

‘রাসূল (সা.) বলেছেন, দুইজন সাক্ষী ছাড়া বিবাহ, তালাক ও ফিরিয়ে আনা বৈধ হবে না।’ [মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক, হাদিস: ১০২৫৪]

قوله صلى الله عليه وسلم : ( لا نكاح إلا بولي وشاهدي عدل ) رواه البيهقي من حديث عمران وعائشة ، وصححه الألباني في صحيح الجامع (7557) 

রাসুলুল্লাহ  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “অভিভাবক ও দুইজন সাক্ষী ছাড়া কোন বিবাহ নেই।” [তাবারানী কর্তৃক সংকলিত, সহীহ জামে (৭৫৫৮)]।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে এইভাবে বলে যদি আর একজন প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষ সাক্ষী ম্যানেজ করা হয়, তাহলেও বিয়ে হয়ে যাবে।
এক্ষেত্রে কোনো সমস্যা নেই।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...