আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
173 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (9 points)
১. আসসালামু আলাইকুম শায়েখ https://ifatwa.info/76543/ এই লিংকে র প্রশ্ন গুলোর উত্তরে বলেছেন বিয়ে শুদ্ধ।  তাও আমার একটা প্রশ্ন আসছে যে মেয়েটার বিয়ের আগে যদি তার খালা খালু জানতো যে মেয়ে টা নিজেকে ছোট খালা পরিচয় দিয়েছে তখন খালু যদি বলতো দুজন সাক্ষী র সামনে  আমি ও ওর স্বামী তাহলে কি ইজাব কবুল বা বিয়ে হতো? মেয়েটা তখন এক জেলায় থাকতো আর খালু থাকতো ঢাকায় ফোনেও খালু র সাথে কথা হয় নাই আর সামনাসামনি ও ওই সময় দেখা সাক্ষাৎ কথা হয় নাই।জানার জন্য প্রশ্ন?


২. ছোট খালা বলে নিজেকে মিথ্যা পরিচয় দেয়া মানে তো ছোট খালাকে বিয়েতে উকিল করা হয় না বা মেয়েটার মা তার বোনকে মেয়ের জন্য ভাল ছেলে পেলে জানাতে বলছিল ছোট খালা বলছিল সে ভাল ছেলে কোথায় পাবে তখন তার মা বলছিল ও আচ্ছা এটুকু কথায় কি ছোট খালা কে উকিল নিয়োগ করা হয় না?
৩. মেয়েট মনে পড়ছে যে সে আসলে আমার স্বামী, আমার ছেলে এসব কিছু বলছিল না। তার বর সেই সময়ে এগুলো জানতে চেয়েছিলেন না। কালকো প্রশ্ন লেখার পর পর মনে পড়ছে শিওর হওয়ার জন্য স্বামীর ফোন চেক করতে চাইছে আগের ম্যাসেজ আছে কি না স্বামী র কাছে আগের ম্যাসেজ ছিল না। কিন্তু আগের কিছু ইমেইল ছিলো সেগুলো দুইদিন আগে চেক করে সে কিছুই পায়নি এ রকম কাল চেক করতে চাইলে স্বামী বলছে তার ইমেইল ডিলিট হয়ে গেছে। তার এখনকার বিয়ে তো শুদ্ধ তাই তো শায়েখ?

৪. ওয়াসওয়াসার কারণে এখন কি স্বামী কে জিজ্ঞেস করতে হবে যেখানে এখন ও শিওর ুরকম কিছু হয় নাই?

৫. এগুলো নিয়ে কি আর ভাবতে হবে ও নিশ্চিন্তে সংসার করতে চায়?এই

৬.https://ifatwa.info/40283/ এই লিংক এর কমেন্ট আর
https://ifatwa.info/40336/ এই লিংক এ শায়েখের উত্তর অনুযায়ী তো ওর বিয়ে শুদ্ধ তাই তো শায়েখ?

1 Answer

0 votes
by (559,140 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


ইসলামী শরীয়তে বিবাহ শুদ্ধ হবার জন্য কয়েকটি শর্ত রয়েছে। যথা-
বর ও কনেকে কিংবা তাদের প্রতিনিধিকে ইজাব তথা প্রস্তাবনা ও কবুল বলতে হয়।

উক্ত ইজাব ও কবুলটি বলতে হয় দুইজন প্রাপ্ত বয়স্ক মসলিম পুরুষ বা একজন পুরুষ ও দুইজন মহিলার সামনে।

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ- 

وَ اسۡتَشۡہِدُوۡا شَہِیۡدَیۡنِ مِنۡ رِّجَالِکُمۡ ۚ فَاِنۡ لَّمۡ یَکُوۡنَا رَجُلَیۡنِ فَرَجُلٌ وَّ امۡرَاَتٰنِ مِمَّنۡ تَرۡضَوۡنَ مِنَ الشُّہَدَآءِ اَنۡ تَضِلَّ اِحۡدٰىہُمَا فَتُذَکِّرَ اِحۡدٰىہُمَا الۡاُخۡرٰی

আর তোমরা তোমাদের পুরুষদের মধ্য হতে দু’জন সাক্ষী রাখ, অতঃপর যদি দু’জন পুরুষ না হয় তবে একজন পুরুষ ও দু’জন স্ত্রীলোক যাদেরকে তোমরা সাক্ষী হিসেবে পছন্দ কর, যাতে স্ত্রীলোকদের মধ্যে একজন ভুলে গেলে তাদের একজন অপরজনকে স্মরণ করিয়ে দেয়।
(সুরা বাকারা ২৮২)

হাদিস শরিফে এসেছে, 

لَا يَجُوزُ نِكَاحٌ، وَلَا طَلَاقٌ، وَلَا ارْتِجَاعٌ إِلَّا بِشَاهِدَيْنِ

‘রাসূল (সা.) বলেছেন, দুইজন সাক্ষী ছাড়া বিবাহ, তালাক ও ফিরিয়ে আনা বৈধ হবে না।’ [মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক, হাদিস: ১০২৫৪]

قوله صلى الله عليه وسلم : ( لا نكاح إلا بولي وشاهدي عدل ) رواه البيهقي من حديث عمران وعائشة ، وصححه الألباني في صحيح الجامع (7557) 

রাসুলুল্লাহ  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “অভিভাবক ও দুইজন সাক্ষী ছাড়া কোন বিবাহ নেই।” [তাবারানী কর্তৃক সংকলিত, সহীহ জামে (৭৫৫৮)]।

 নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাণী- “তোমরা বিয়ের বিষয়টি ঘোষণা কর।”[মুসনাদে আহমাদ এবং সহীহ জামে গ্রন্থে হাদিসটিকে ‘হাসান’ বলা হয়েছে (১০৭২)]
۔
ইজাব ও কবুলটি উভয় সাক্ষ্যি স্বকর্ণে শুনতে হবে।

উক্ত তিনটির কোন একটি শর্ত না পাওয়া গেলে ইসলামী শরীয়তে বিবাহ শুদ্ধ হয় না।

উপরোক্ত তিনটি শর্ত  পাওয়া গেলে বিবাহ হবে,অন্যথায় বিবাহ হবেনা।

আরো জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,    
(০১)
তখন খালু যদি বলতো দুজন সাক্ষী র সামনে আমি ও ওর স্বামী, তাহলে ইজাব কবুল বা বিয়ে হতোনা।

(০২)
এতটুকু কথায় ছোট খালা কে উকিল নিয়োগ করা হয় না।

(০৩)
হ্যাঁ,তার এখনকার বিয়ে শুদ্ধ।

(০৪)
এখন স্বামীকে জিজ্ঞাসা করতে হবেনা।

(০৫)
এগুলো নিয়ে আর ভাবতে হবেনা।

(০৬)
হ্যাঁ, ওর বিয়ে শুদ্ধ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...