আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
93 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (9 points)
السلام عليكم ورحمة الله وبركاته يا شيخ

এক ভাইয়ের কিছু প্রশ্ন

১) পাক কাপড় না থাকলে নাপাক কাপড় দিয়ে কি জামাআতে সলাত আদায় করা যাবে যদি নাজাসাত দুর করার কোনো সুযোগ না থাকে?

২) রমাদ্বানের সময় সাহরীর শেষে হঠাৎ ঢেকুর(কেমন যেন পেটে চাপ পড়ায়) আসায় পেট থেকে খাদ্য-পানি সব যেন আলা জিহ্বায় এসে লাগলো,(সন্দেহ, তবে লেগেছে এমন মনেও হচ্ছে আবার হচ্ছে না) এর বেশি অতিক্রম করেনি-এবং আমি তা পুনরায় সাথে সাথে গিলে ফেলি unexpectedly,  এতে আমার রোজা কি ফাসেদ হয়ে গেলো? হলে কাজা বা কাফফরা উভয়টা না শুধু কাযা করতে হবে?

৩) রমাদ্বানের আগ থেকে আমি আমার নাকে নিজের চামড়ার অংশকে ময়লা ভেবে খোঁচাই খোঁচাই ময়লা বের করার চেষ্টা করতাম, কিন্তু রক্ত বের হতো-পরবর্তীতে আমার আম্মু আমাকে জানালো যে এটা আমার চামড়ার অংশ,  কোনো এক রমাদ্বানের তারাবীতে এরকম নামাজরত, এমতাবস্থায় নাক চুল্কাচ্ছিলো এবং খোঁচাচ্ছিলাম(জানতাম যে extreme করলে রক্ত বের হবে, তবে একটু শক্ত করে এবং তার উপরে উপরে হাল্কা করে নাক চুল্কাতে লাগলাম, কিছুক্ষণ পর নামিয়ে সন্দেহ আসায় আবার নাকে কনিষ্ঠা আঙ্গুল দিয়ে check করে দেখলাম পানি মিশ্রিত রক্ত(একখানে গাড় রক্ত-বাকিগুলো হাল্কা মিশ্রিত পানি এমন) এই পরিমাণটি খুবই খুবই অল্প ছিলো,যেমন- এক ফোঁটা পানির অর্ধেক কনিষ্ঠা আঙ্গুলের অগ্রভাগে, পরে সেই অল্প পরিমাণ রক্তটি আমার প্যান্টের একপাশে মুঁছে ফেলি, এই ভয়ে আর হাত দেই না...পরবর্তীতে বাসায় এসে নাক চুল্কাতে/check করতে গিয়ে দেখি রক্তের জমাট এবং রক্ত কনিষ্ঠা আঙ্গুলে বের হচ্ছিলো-পরবর্তীতে প্রতিটা আঙ্গুল দিয়ে চেক করছিলাম আর প্রতিটা আঙ্গুলের মাথা ভরাট হয়ে যাচ্ছিলো রক্তে....এমনটা কি বাসায় এসে আবার চেক করার ফলে ক্ষতস্থান নড়ে গেছে বিধায় রক্ত বের হচ্ছিলো এমন?- না নামাজের সেই শুরু থেকে রক্ত বের হয়েছিলো?-যেমনটা জমাট বাঁধার কথাও উল্লেখ করলাম...এতে কি আমার জামাতে তারাবী-বিতর নামাজ ফাসেদ হয়ে গেলো

উত্তর গুলো জানাবেন দয়া করে

جزاك الله خيرا يا شيخ

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


(০১)
নামাজের অন্যতম একটি শর্ত হলো কাপড় পাক হওয়া।

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

وَ ثِیَابَکَ فَطَہِّرۡ ۪﴿ۙ۴﴾ 
আর আপনার পরিচ্ছদ পবিত্র করুন।
(সুরা মুদ্দাচ্ছির ০৪)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যদি এক মাইলের মধ্যে পানি পাওয়া যায়,সেক্ষেত্রে পানি দিয়ে ধুয়ে কাপড় পাক করে নামাজ আদায় করতে হবে।
এক্ষেত্রে ওয়াক্ত চলেও গেলেও সেই নাপাক কাপড়ে নামাজ আদায় করা যাবেনা।

আর যদি এক মাইলের মধ্যে পানি পাওয়া না যায়,আর ঐ নাপাক কাপড় ব্যাতিত তার আর কোনো কাপড় না থাকে,সেক্ষেত্রে ঐ নাপাক কাপড়ে নামাজ আদায় করা যাবে।
(বেহেশতি যেওর ২/১৩)

(০২)
অবস্থা যদি এমন হয় যে,একেবারে মুখের ভিতরে চলে আসে,যাহা বের করে ফেলে দেয়া সম্ভব ছিলো,সেক্ষেত্রে রোযা ভেঙ্গে যাবে।
শুধু কাজা আবশ্যক হবে।

আর যদি মুখের ভিতরে চলে না আসে,সেক্ষেত্রে তো বের করে ফেলে দেয়া কষ্টকর,তাই এক্ষেত্রে রোযা ভেঙ্গে যাবেনা।

বিস্তারিত জানুনঃ- 

(০৩)
এক্ষেত্রে আপনি উক্ত বিতর নামাজের কাজা আদায় করে নিবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 146 views
...