আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
221 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (3 points)
closed by
আমি ভার্সিটির ১ম বর্ষের CSE এর একজন শিক্ষার্থী। ক্লাসে একজন লেবাস ধারী মেয়ে, দেখে দ্বীনদার মনে হয় এবং সাধারণ ভাবে ছেলেদের সাথে আড্ডা দিতে দেখা যায় না। সব মিলিয়ে ভালোই, তবে কিছুদিন আগে জানতে পারি সে কোন এক পীরের ভক্ত এবং সেটা শির্ক পর্যায়ের। তার ফেসবুক বায়োতে লেখা "বাবা দেওয়ান বাগীর গোলাম"। ব্যাপারটা দেখে থমকে গিয়েছিলাম। শুনেছি তার বংশের সে ছাড়াও অনেকে এমন। আমি কখনোই মেয়েদের সাথে কথা বলি না ভার্সিটিতে কারণ ইসলাম তার অনুমতি আমাকে দেয় না তাই। প্রশ্নটা হল আমার কি তার সাথে সরাসরি এই ব্যাপারে কথা বলা উচিত অর্থাৎ বুঝানো উচিত যে এট ভ্রান্ত পথ? নাকি আমার সে দিকে কোন ফোকাস করার ই দরকার নেই। ইসলাম আমাকে এই ব্যাপারে কি বলে? আমার শির্ক, বিদ'আত, আকিদা, বিভিন্ন ভ্রান্ত ফেরকা ও মুসলিম উম্মাহর ইতিহাস নিয়ে জ্ঞান আছে আলহামদুলিল্লাহ। যে কারো সাথে এই ব্যাপারে রেফারেন্স সহ আলোচনা করতে পারবো। ক্লাসে এমন কোন মেয়ে মানুষ নেই যে তার কাছে এই ব্যাপারে বললে সে ঐ মেয়েকে বুঝাতে পারবে। অন্য দিকে আমার স্ত্রীও এটা পছন্দ করবে না যে আমি ভার্সিটিতে অন্য কোন মেয়ের সাথে কথা বলবো। এই মূহুর্তে আমার কি করা উচিত?
closed

1 Answer

+1 vote
by (589,140 points)
selected by
 
Best answer
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
وَلَا تَقْرَبُوا الزِّنَىٰ ۖ إِنَّهُ كَانَ فَاحِشَةً وَسَاءَ سَبِيلًا
আর ব্যভিচারের কাছেও যেয়ো না। নিশ্চয় এটা অশ্লীল কাজ এবং মন্দ পথ।(সূরা বনি ইসরাঈল-৩২)

পর্দা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন-

বেগানা নারী-পুরুষ খালওয়াত তথা নির্জনে একাকী অবস্থান করতে পারবে না। হাদীসে একে নিষিদ্ধ ঘোষনা করা হয়েছে.......
ﻻَ ﻳَﺨْﻠﻮﻥَّ ﺭَﺟُﻞٌ ﺑِﺎﻣْﺮَﺃﺓٍ ﺇِﻻَّ ﻭَﻣَﻌَﻬﺎ ﺫُﻭ ﻣَﺤْﺮَﻡ ) 
কোনো পুরুষ কোনো মহিলার সাথে মহিলার মাহরাম না থাকা অবস্থায় নির্জনে একাকী বসবাস করতে পারবে না।(সহীহ বুখারী-৫২৩৩;সহীহ মুসলিম-১৩৪১)


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রথমে আপনি নিজের কোনো মাহরাম মহিলাকে পাঠিয়ে দাওয়াত দেওয়ার চেষ্টা করবেন। যদি সম্ভব না হয়, এবং আপনি মনে করেন যে, আপনার দাওয়াতের দ্বারা কাজ হতে পারে তাছাড়া আপনার নিজের প্রতি বিশ্বাস থাকে যে, আপনি কোনো প্রকার ফিতনাতে জড়াবেন না, তাহলে আপনি নির্জনতাকে পরিহার করে জনসমাগম স্থানে তাকে দাওয়াত দিতে পারবেন। নিজ চক্ষুকে হেফাজতে রেখে আপনি দাওয়াত দিতে পারবেন।যখনই দেখবেন যে, শয়তান ধোকা দিতে যাচ্ছে, তখনই আপনি দাওয়াতকে পরিহার করে নিবেন।কখনই একা বা নির্জনময় স্থানে দাওয়াত দিতে যাবেন না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,140 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 224 views
...