আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
55 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (2 points)
আসসালামু আলাইকুম
ওস্তাজ , আমি একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩য় বর্ষে পড়াশোনা করি । আমার ব্যাচ এ প্রায় ১৫ জন মেয়ে আছে । পোশাক আশাক, free mixing, হারাম relation  ইত্যাদি সব মিলিয়ে তাদের অদিকাংশের অবস্থা অতি নাজুক । এমনিতে  তাদের সাথে  আমরা ( ব্যাচের যারা দ্বীন practise করে ) যথা সম্ভব পর্দা বজায় রাখি ।
সামনে যেহেতু রমজান মাস আসছে তাই আমরা ওই মেয়েদের কে পর্দা সম্প্রর্কীত বই হাদিয়া দিতে চাচ্ছিলাম ।
১। এখন এটা করা জায়েজ হবে কিনা ?
২। জায়েজ হলে আমরা তাদের কিভাবে বা কি বলে বই গুলো হাদিয়া দিতে পারি ?

1 Answer

0 votes
by (63,560 points)

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাব

https://ifatwa.info/70631/ নং ফাতওয়াতে উল্লেখ রয়েছে যে,

হাদীস শরীফে ইরশাদ হয়েছেঃ হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত।

فَالْعَيْنَانِ زِنَاهُمَا النَّظَرُ، وَالْأُذُنَانِ زِنَاهُمَا الِاسْتِمَاعُ، وَاللِّسَانُ زِنَاهُ الْكَلَامُ، وَالْيَدُزِنَاهَا الْبَطْشُ، وَالرِّجْلُ زِنَاهَا الْخُطَا، وَالْقَلْبُ يَهْوَى وَيَتَمَنَّى، وَيُصَدِّقُ ذَلِكَ الْفَرْجُ وَيُكَذِّبُهُ

রাসূল সাঃ ইরশাদ করেন, চোখের জিনা হল [হারাম] দৃষ্টিপাত। কর্ণদ্বয়ের জিনা হল, [গায়রে মাহরামের যৌন উদ্দীপক] কথাবার্তা মনযোগ দিয়ে শোনা। জিহবার জিনা হল, [গায়রে মাহরামের সাথে সুড়সুড়িমূলক] কথোপকথন। হাতের জিনা হল, [গায়রে মাহরামকে] ধরা বা স্পর্শকরণ। পায়ের জিনা হল, [খারাপ উদ্দেশ্যে] চলা। অন্তর চায় এবং কামনা করে আর লজ্জাস্থান তাকে বাস্তবে রূপ দেয় [যদি জিনা করে] এবং মিথ্যা পরিণত করে [যদি অন্তরের চাওয়া অনুপাতে জিনা না করে]। {সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-২৬৫৭, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-৮৯৩২}


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই!

সওয়াবের আশায় ও দ্বীনের দাওয়াতের জন্য কাউকে বই হাদিয়া দেয়া জায়েজ আছে।

তবে নন মাহরামকে সরাসরি হাদিয়া দিলে ফিতনার আশংকা থাকে। তাই ফিতনার আশংকা থাকলে জায়েজ হবে না।

সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি যদি নন মাহরামকে বই হাদিয়া দিতে চান, সেক্ষেত্রে আপনার বা আপনার কোনো বন্ধুর মাহরাম কোনো মহিলার মাধ্যমে দিবেন।


যদি এমনটা সম্ভব না হয়, আর যদি অগত্যা আপনাকেই তা দিতে হয়, সেক্ষেত্রে আপনি পূর্ণ পর্দা মেইনটেইন করে নন মাহরাম কাউকে বই হাদিয়া দেন, বা অন্যের মাধ্যমে দিতে পারবেন। বা এমন ভাবে তাদের কাছে পৌছে দিবেন যাতে ফিতনার আশংকা না থাকে।

এই ক্ষেত্রে শর্ত হলো, উভয় পক্ষ থেকেই ফিতনার কোনো আশংকা না থাকতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 170 views
...