আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
141 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (10 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়াবারকাতুহু।
ওস্তাদ মেহেরবানি করে সব গুলো প্রশ্নের আলাদা আলাদা উওর দিয়েন।
১। বেবি কনসেভ করার চেষ্টা করায় অনেককে বলতে শুনা যায় মরিয়ম ফুল ভিজিয়ে রাতে খেলে কনসিভ হয়? এটার সত্যতা কত টুকু??
2.অাবার অনেকে বলে বেবি ডেলিভারিতে মরিয়ম ফুল ভিজিয়ে রাখলে বাচ্চা হতে কষ্ট কম লাগে এটা পদ্ধতি ব্যবহার করা যাবে কি??  এই পদ্ধতি ব্যবহার করলে কি কোন গুনাহ হবে?
৩। ওস্তাদ বিক্রির উদ্দেশ্য সৌদি থেকে কিছু মরিয়ম ফুল এনেছিলাম একজনের মাধ্যমে বিক্রি উদ্দেশ্য এখন এইটা বিক্রি করা যাবে কি??
***বিক্রি করলে কি কোন গুনাহ হবে? বিক্রি করলে এই টাকা হালাল হবে কি
৪। ওস্তাদ উপরোক্ত বর্ণনা বলে বিক্রি করা যাবে কি এইটা???  উপরোক্ত বর্ণনা বলে বিক্রি করলে কি কোন গুনাহ হবে?

৫। যদি বিক্রি করা যায় তাহলে কি বলে বিক্রি করা যাবে?
৬। যতটুকু জানি ডেলিভারি হওয়ার সময় ওই রুমে এইটা ভিজিয়ে রাখলে মায়ের কষ্ট কম হয় বাচ্চা ডেলিভারি করাতে বাকিটা আল্লাহ ভালো জানে। এইটা বলে একজনের কাছে বিক্রি করেছিলাম এখন এই টাকা  কি হালাল হবে ওস্তাদ???

এইটা বলে বিক্রি করা যাবে কি ওস্তাদ???
৭। ওস্তাদ আমি একটা টিউশনি করাই। যাকে পড়াই তার বাবা সম্ভবত ব্যাংক এ চাকরি করে এবং তার মা একটা ইউনিভার্সিটির শিক্ষিকা, আমি পড়াতে গেলে আমাকে নাস্ত  দেয় খেতে, এখন খাবার খাওয়া কি যাবে??  যেহেতু তার বাবার টাকা সম্ভবত হারাম, তার মার টাকা টা সম্ভবত হালাল।।

1 Answer

0 votes
by (682,440 points)
edited by
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


(০১)
কুরআন হাদীসে এমন কোনো তথ্য নেই।  
এটি মানুষের বানানো কথা।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
সন্তান লাভের জন্য আল্লাহর কাছে চাওয়ার কোন বিকল্প নেই । এর জন্য  নিবিষ্ট মনে নিজের মত করে নিজের ভাষায় তাঁরই কাছে নেক সুস্থ ও সুন্দর সন্তান কামনা করে দোয়া করতে থাকতে হবে। তিনি ডাকে সাড়া দিলে অবশ্যই  সন্তান লাভ করবে।

★কুরআনে বর্ণিত নিম্নোক্ত দোয়াগুলি করলে অনেক উপকার হবে,ইনশাআল্লাহ  

رَبِّ هَبْ لِي مِن لَّدُنْكَ ذُرِّيَّةً طَيِّبَةً إِنَّكَ سَمِيعُ الدُّعَاء
হে, আমার পালনকর্তা! আপনার নিকট থেকে আমাকে পুত-পবিত্র সন্তান দান করুন। নিশ্চয়ই আপনি প্রার্থনা শ্রবণকারী। (সূরা আল-ইমরান ৩৮)

رَبِّ هَبْ لِي مِنَ الصَّالِحِينَ
‘হে আমার পরওয়ারদেগার! আমাকে এক সৎপুত্র দান করুন।’ (সূরা সাফফাত ১০০)

رَبَّنَا هَبْ لَنَا مِنْ أَزْوَاجِنَا وَذُرِّيَّاتِنَا قُرَّةَ أَعْيُنٍ وَاجْعَلْنَا لِلْمُتَّقِينَ إِمَامًا
‘হে আমাদের পালনকর্তা, আমাদের জীবনসঙ্গীর পক্ষ থেকে এবং আমাদের সন্তানের পক্ষ থেকে আমাদের জন্যে চোখের শীতলতা দান দান করুন এবং আমাদেরকে মুত্তাকীদের জন্যে আদর্শস্বরূপ দান করুন।’ (সূরা ফুরকান ৭৪)

 সূরা আম্বিয়ার ৮৯ নং আয়াতের এ অংশ বেশি করে পড়তে হবে; ইনশা-আল্লাহ সন্তান হবে-

 رَبِّ لَا تَذَرْنِي فَرْدًا وَأَنتَ خَيْرُ الْوَارِثِينَ
‘হে আমার পালনকর্তা আমাকে সন্তানহীন ছেড়ে দিবেন না। আর আপনিই তো সর্বোত্তম ওয়ারিস।’

বুযুর্গানে দ্বীন নিজ অভিজ্ঞতার আলোকে আরো কিছু আমলের কথা বলেছেনঃ-

বাকের রহ.-এর কাছে এক বৃদ্ধ এসে বললেন, আমার বয়স ষাট বছর; কিন্তু এখনও নিঃসন্তান। তখন তিনি তাকে বললেন, ‘প্রত্যেক ফরয-নামাজের পর سبحان الله (সুবহানাল্লাহ) ৭০ বার এবং أستغفر الله ( আস্তাগফিরুল্লাহ) ৭০ বার পড়বেন। তারপর তেলাওয়াত করবেন সূরা নূহ-এর ১০,১১, ১২ নং আয়াত অর্থাৎ, 
اسْتَغْفِرُوا رَبَّكُمْ إِنَّهُ كَانَ غَفَّارًا يُرْسِلِ السَّمَاء عَلَيْكُم مِّدْرَارًا  وَيُمْدِدْكُمْ بِأَمْوَالٍ وَبَنِينَ وَيَجْعَل لَّكُمْ جَنَّاتٍ وَيَجْعَل لَّكُمْ أَنْهَارًا
‘তোমরা তোমাদের পালনকর্তার ক্ষমা প্রার্থনা কর। তিনি অত্যন্ত ক্ষমাশীল। তিনি তোমাদের উপর অজস্র বৃষ্টিধারা ছেড়ে দিবেন, তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ত তি বাড়িয়ে দিবেন, তোমাদের জন্যে উদ্যান স্থাপন করবেন এবং তোমাদের জন্যে নদীনালা প্রবাহিত করবেন।’
এ আয়াতগুলো তেলাওয়াত করবেন। আমলটি তিন দিন করবেন। তৃতীয় দিনে স্ত্রী-সহবাস করবেন। ইনশা-আল্লাহ আল্লাহ আপনাকে নেক সন্তান দান করবেন।’
লোকটি বলেন, আমি এই আমল করলাম, ফলে  এক বছর পূর্ণ না হতেই আল্লাহ আমাকে আমার চোখের শীতলতা পুত্র সন্তান দান করেছেন। (তিব্বুল আইম্মাহ ১৩০)

আলেমদের অনেকে বলেছেন, যে ব্যক্তি স্ত্রী সহবাসের পূর্বে আল্লাহ তাআলার পবিত্র গুণবাচক নাম (اَلْمُتَكَبِّرُ) ‘আল-মুতাকাব্বিরু’- ১০ বার পাঠ করবে; আল্লাহ তাআলা তাকে সৎ সন্তান দান করবেন।
আর যে ব্যক্তি স্ত্রী সহবাসের পূর্বে এ পবিত্র গুণবাচক নাম ১০০ বার পাঠ করবে; আল্লাহ তাআলা তাকে ভাগ্যবান সুসন্তান দান করবেন।
আর যে ব্যক্তির ছেলে-মেয়ে না থাকে ওই ব্যক্তি ৪০দিন পর্যন্ত একাধারে ৪০ বার আল্লাহ তাআলার পবিত্র গুণবাচক নাম (اَلْاَوَّلُ) ‘আল-আউয়ালু’ পাঠ করলে তার সন্তান লাভের মনোবাসনা পূর্ণ হবে।

(০২)
এ কথাটির মূলত কোনো সত্যতা নেই।
এ সংক্রান্ত বিস্তারিত  জানুনঃ  

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
তারপরেও কেহ যদি আবশ্যকীয় মনে না করে এই 
এটা পদ্ধতি ব্যবহার করে,সেক্ষেত্রে কোন গুনাহ হবেনা।

(৩.৪)
এইটা বিক্রি করা যাবে।
তবে উপরোক্ত ফজিলত বলে বিক্রয় করা ঠিক হবেনা।
বিক্রি করলে কোন গুনাহ হবেনা।
বিক্রি করলে এই টাকা হালাল হবে।

(০৫)
এমনিতেই শুধু মরিয়ার ফুল বলা যাবে।
উপরে উল্লেখিত গুন বলা যাবেনা।

(০৬)
টাকা হালাল হবে।

(০৭)
তা বাবা আসলেই কি ব্যাংকে চাকরি করে?
বিষয় সম্পর্কে আপনি নিশ্চিন্ত হলে আর নাস্তাটি তার বাবার টাকা হতেই ক্রয়কৃত হলে নাস্তা খাওয়া যাবেনা।

তবে বেতন নেয়া যাবে।

বিস্তারিত জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...