ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হযরত উমর রাযি এর নিকট একজন ব্যক্তি এসে বলল,
আমার একটি মেয়ে আছে, যাকে আমি জাহিলিয়াতের যুগে জীবন্ত পুতেছিলাম।অতঃপর মৃত্যুর পূর্বেই বের করে নিয়ে এসেছিলাম।অতঃপর আমাদের নিকট ইসলামের দাওয়াত পৌছল, আমাদের সাথে সেও ইসলাম গ্রহণ করলো। ইসলাম গ্রহণের পর তার উপর আল্লাহর হদ কায়েম হল অর্থাৎ তার উপর যিনার শাস্তি বাস্তবায়ন করা হল। সে একটি দাড়ালো চুরি হাতে নিল,নিজেকে শেষ করার জন্য। আমরা তাকে প্রতিহত করলাম তবে সে তার গলার সামান্য রগ কেটে ফেলল।আমরা তাকে চিকিৎসা করালাম,অতঃপর সে সুস্থ হল।সে সুস্থ হওয়ার পর তার বিয়ের পয়গাম আসলো।ম অর্থাৎ এক জায়গা থেকে তার রিশতা আসলো। হে আমিরুল মু'মিনিন উমর রাযি!
আমি কি তার অতীত সম্পর্কে তাদেরকে অবগত করে দেবো দেবো। হযরত উমর প্রতিউত্তরে তখন বললেন, তুমি এমন জিনিষ প্রকাশ করতে যাচ্ছো, যার উপর আল্লাহ পর্দা ঢেলে দিয়েছেন।
"আল্লাহর কসম করে বলতেছি, যদি তুমি তোমার মেয়ে সম্পর্কে কাউকে কিছু বলো, তাহলে তোমাকে শহরবাসীর জন্য ইবরতের নিশানা বানাবো। তুমি তাকে পূতঃপবিত্র মুসলিম রমনির মত বিয়ে দাও।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার বিয়েতে যদি দুইজন সাক্ষী উপস্থিত থাকে, তাহলে আপনার বিয়ে শুদ্ধ-ই ছিলো। এই বিয়েকে লুকানোর কোনো প্রয়োজনিয়তা নেই, এবং জায়েযও হবে না। সুতরাং আপনি বর্তমান পাত্রকে সবকিছু অবগত করবেন।
তবে যদি পূর্বে বিয়েতে সাক্ষী না থাকে, তাহলে সেই বিয়ে শরীয়ত সম্মত ছিলনা, সুতরাং শারিরিক যেই সম্পর্ক হয়েছিলো, সেগুলো যিনা-ব্যভিচার ছিলো, আর যিনা ব্যভিচারকে লুকানো ওয়াজিব।কেননা গোনাহকে প্রকাশ করা আরেকটি গোনাহ। তাই আপনি লুকাতে পারবেন।হ্যা, ভবিষ্যতে স্বামী জেনে যাবে, এমনটা হলে প্রকাশ করার রুখসত থাকবে।