আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
106 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (17 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম
আমি ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত একজন মানুষ

১) আমি কাজের জন্য দেশের বাহিরে থাকি। আমার স্ত্রী প্রেগন্যান্ট ।স্ত্রী ফোন করে আমাকে জানায় সে আজকে খুব বেশী কাজ করেছে যার জন্য অনেক অসুস্থ সে। আমার বাসায় থাকলে কাজ করতে হয় বেশী কারন আমার বাসায় মানুষ বেশী। যার কারনে বিদেশে আসার আগে স্ত্রীকে বলছিলাম যেখানে থাকলে আমার বাচ্চা সুস্থ থাকে আমার স্ত্রী সুস্থ থাকবে সেখানেই থাকতে ।কোন বাধ্যবাধকতা নেই। মানে চাইলে সে আমার বাড়িতেও থাকতে পারবে অথবা যদি মনে করে বাবার বাড়ি থাকলে একটু সেবা বেশী পাবে তাহলে সেখানেও থাকতে পারবে এই নিয়ে আমার আপত্তি নেই। আমার স্ত্রী আজকে ফোন করে জানায় খুব বেশী অসুস্থ কাজ করতে হয় বেশী তাই আমাকে জানায় সে বাবার বাড়ি বেড়াতে আসতে চায় এবং সে আমাকে আরো জানায় যে সে আমার বাবাকেও নাকি বলেছে

  " আমি আমার সামীকে  বলেছি বিদেশ যাওয়ার আগে যে আমাকে বাপের বাড়িতে রাখতে।এই বিষয়ে যদি সেও ( আমি) দ্বিমত করে তাহলে ( এই কথাটা মনে  নেই কি যেন একটা বলেছিল)।
এই কথাটা শুনে আমি চুপ থাকি ।আমি ওয়াসওয়াসার রোগী আগেই বলেছিলাম। আমার মাথায় মনে হচ্ছিল এইটা তো কেনায়া শব্দের মধ্যে পড়ে।এই কথা শুনে আমি নিজেই মনে মনে বলি যে ,

" এখানে তা**** কথা বলা হয়নাই" মানে নিজেকে বুঝাচ্ছিলাম যে এখানে অন্য কোন কারনে একথা সে বলেনি।

আমার স্ত্রী লাইনে ছিলো আমি শুনছিলাম তার কথা আর মনে মনে উপরের বাক্যটি বলছিলাম।আমার মুখ বন্ধ ছিল। তখন আমি নিজের শ্বাস নেওয়ার মত একটা সাউন্ডের মত শুনতে পাই। ভয় পেয়ে যাই আমি কি উচ্চারণ করে ফেললাম কিনা কথাটি
" এখানে তা**** কথা বলা হয়নাই"

। আমার মুখ বন্ধ ছিলো স্পষ্ট মনে আছে। আমার একথা মনে মনেই চিন্তা করেছি মোটামুটি আমি অনেকটা নিশ্চিত। উচ্চারণ করে ফেললাম কিনা এটা নিয়ে সন্দেহ হচ্ছে। এর দারা কোন সমস্যা হবে ?

২) ১ নাম্বার প্রশ্নের কথাটি
" এখানে তালাকের কথা বলা হয়নাই"
এই কথাটি যদি উচ্চারণ ও করতাম তারপরেও কোন সমস্যা হতো কিনা ? জানার জন্যে প্রশ্ন করলাম।

৩) ঘটনার অনেক পর আমার স্ত্রী জানায় সে তাদের বাড়িতে আসছে আমার মায়ের সাথে রাগ করে। তখন আমাকে মেসেজে জানায় । তার কিছুক্ষন পর আমার সাথে ফোনে কথা হয় , আমাকে জানায় বাসায় কি পরিমান কাজ করেছে তারপরেও অনেক কথা শুনতে হয়েছে আমার মায়ের কাছ থেকে। তার রাগ করায় অনেকটা যুক্তি আছে এটা বুঝতে পেরে আমি কিছুই বলিনি।তারপর সে আবারো বলে আমাকে
" তুমি আমাকে বলেছো আমাকে আমাদের বাসায় রাখবা ( বিদেশ যাওয়ার আগে আমি কথা দিয়েছিলাম সেটার কথা আমাকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে ।আমি এক নাম্বার প্রশ্নে কারনটা লিখেছিলাম কেনো অন্য কোন নিয়তে বলিনি)। এখন যদি তোমার কথা না রাখো তাহলে তোমার সংসার করবো না ।"
আরো অনেক কথা বলে সে ।আমি চুপচাপ শুনি কোন কথার উত্তর দেইনি। আমি শুধু তাকে বলি"হ্যালো, হুম ,শুনতেছি" তাও ফোনে কথা বলার কারনে এতটুকু উত্তর দিতাম ।এর মাঝে অন্যদের সাথেও কথা বলি , যেমন আমার ভাতিজা আমার সামনে সাইকেল চালাচ্ছিলো আমি ফোন কথা বলছিলাম আর ভাতিজা বলছিলাম ,"আস্তে আস্তে, নয়তো এক্সিডেন্ট করবা "। স্ত্রীকে বলিনি ওসব কথা।

তারপর স্ত্রীর কথা শুনে তাকে বলি
" শুনো আমার বাচ্চার সুস্থতার জন্য , আমার স্ত্রীর সুস্থতার জন্য তুমি যেখানেই থাকতে চাও সেটা নিয়ে আমার কোন সমস্যা নেই। আমার বাসায় থেকে এত কাজ করেও যখন এত কথা শুনতে হয় ,তুমি কয়েকটা দিন তোমাদের বাসায় বেড়াও। আবার যখন মন চাইবে তখন আবার আমাদের বাসায় আসবে " আমি স্বাভাবিক কথা হিসেবে স্ত্রীকে এতটুকু কথা বলি আরো কিছু পারিবারিক আলোচনা করি। আমার মনে অন্য কোন নিয়ত ছিলোনা।
আমার আজকের উক্ত আলোচনায় কোন সমস্যা হবে কিনা?

৪) "তোমার যদি  ভালো লাগে তাকে বিয়ে করতে পারো"

এটা কি কেনায়া বাক্য?
এমন কথায় যদি নিয়ত না থাকে তাহলে অথবা নিয়ত যদি ভূলে যায় তাহলে। নিয়ত না থাকার প্রবল সম্ভাবনা । অনেক আগের কথা ।

৫) স্ত্রী সামীকে বুঝায় কোন কারনে যদি তার কথা না শুনে তাহলে ব্রেকাপ । ( মানে ব্রেকাপ করবে আর ব্রেকাপ শব্দটা সাধারণত প্রেমিক প্রেমিকারা ব্যবহার করে থাকে)
সামী স্ত্রীর কথার ভুল শুধরাতে গিয়ে বলে যে বিয়ের পর মানুষের তো ব্রেকাপ হয় না ,বিয়ের পর মানুষের হয় ডিভোর্স । প্রেম করলে সেখানে হয় ব্রেকাপ।যদি হয় ডিভোর্স হবে ,ব্রেকাপ তো হবে না।

সামী বুঝাতে চেয়েছে স্ত্রীর কথাটা ভূল বিবাহিতদের ক্ষেত্রে কোন কথাটা সঠিক সেটা বুঝাতে বলেছে। তাও অনেক পুরোনো কথা কথাটা ঠিক কিভাবে বলা হয়েছে মনে নেই। এই কথার কারনে কোন সমস্যা হবে কিনা?

1 Answer

0 votes
by (682,440 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


(০১)
এর দ্বারা কোনো সমস্যা হবেনা।

(০২)
" এখানে তালাকের কথা বলা হয়নাই"
এই কথাটি যদি উচ্চারণ ও করতেন, তারপরেও কোন সমস্যা হতোনা।

(০৩)
আপনার আজকের উক্ত আলোচনায় কোন সমস্যা হবেনা।

(০৪)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ سَمِعَ ابْنَ شِهَابٍ يَقُولُ فِي الرَّجُلِ يَقُولُ لِامْرَأَتِهِ بَرِئْتِ مِنِّي وَبَرِئْتُ مِنْكِ إِنَّهَا ثَلَاثُ تَطْلِيقَاتٍ بِمَنْزِلَةِ الْبَتَّةِ قَالَ مَالِك فِي الرَّجُلِ يَقُولُ لِامْرَأَتِهِ أَنْتِ خَلِيَّةٌ أَوْ بَرِيَّةٌ أَوْ بَائِنَةٌ إِنَّهَا ثَلَاثُ تَطْلِيقَاتٍ لِلْمَرْأَةِ الَّتِي قَدْ دَخَلَ بِهَا وَيُدَيَّنُ فِي الَّتِي لَمْ يَدْخُلْ بِهَا أَوَاحِدَةً أَرَادَ أَمْ ثَلَاثًا فَإِنْ قَالَ وَاحِدَةً أُحْلِفَ عَلَى ذَلِكَ وَكَانَ خَاطِبًا مِنْ الْخُطَّابِ لِأَنَّهُ لَا يُخْلِي الْمَرْأَةَ الَّتِي قَدْ دَخَلَ بِهَا زَوْجُهَا وَلَا يُبِينُهَا وَلَا يُبْرِيهَا إِلَّا ثَلَاثُ تَطْلِيقَاتٍ وَالَّتِي لَمْ يَدْخُلْ بِهَا تُخْلِيهَا وَتُبْرِيهَا وَتُبِينُهَا الْوَاحِدَةُ قَالَ مَالِك وَهَذَا أَحْسَنُ مَا سَمِعْتُ فِي ذَلِكَ

মালিক (রহঃ) বলেনঃ তিনি ইবন শিহাব (রহঃ)-কে বলিতে শুনিয়াছেন, যে ব্যক্তি তাহার স্ত্রীকে বলিলঃ “আমার তোমা হইতে দায়িত্বমুক্ত হইয়াছি। তুমিও আমা হইতে দায়িত্বমুক্ত।” ইহা দ্বারা তালাকাই আল-বাত্তা-এর মতো তিন তালাক প্রযোজ্য হইবে।

যে ব্যক্তি নিজের স্ত্রীকে বলিলঃ (أَنْتِ خَلِيَّةٌ أَوْ بَرِيَّةٌ) “তুমি দায়মুক্ত” (أَنْتِ بَائِنَةٌ) “তুমি আমা হইতে পৃথক।” মালিক (রহঃ) বলেনঃ সে স্ত্রী যাহার সঙ্গে সহবাস করা হইয়াছে এইরূপ হইলে তবে তাহার স্বামীর উপরিউক্ত বাক্যগুলির দ্বারা তাহার উপর তিন তালাক বর্তাইবে। আর যদি সেই স্ত্রী এমন হয় যাহার সহিত সহবাস করা হয়নি, তবে ধর্মত স্বামীকে বিশ্বাস করা হইবে এবং তাহার নিকট জিজ্ঞাসা করা হইবে-সে উপরিউক্ত বাক্যগুলি দ্বারা এক তালাক উদ্দেশ্য করিয়াছে, না তিন তালাক। যদি সে এক তালাক উদ্দেশ্য করিয়াছে বলিয়া প্রকাশ করে তাহা হইলে এই বিষয়ে সেই ব্যক্তিকে হলফ দেওয়া হইবে। (যেহেতু স্বামীর উক্তির দ্বারা স্ত্রীর প্রতি এক তালাক বায়েন প্রযোজ্য হইয়াছে, তাই পুনর্বিবাহ ছাড়া স্বামী সেই স্ত্রীকে গ্রহণ করিতে পারবে না) তাই সে বিবাহের প্রস্তাবকারী হিসাবে অন্য লোকদের মতো একজন বলিয়া পণ্য হইবে। ইহার কারণ এই যে, যে স্ত্রীর সহিত সঙ্গম করা হইয়াছে সেই স্ত্রী তিন তালাক ছাড়া দায়িত্বমুক্ত বা স্বামী হইতে পৃথক হইবে না। আর যাহার সহিত সঙ্গম হয় নাই সেই স্ত্রী এক তালাক দ্বারা দায়িত্বমুক্ত ও পৃথক হইয়া যায়।

মালিক (রহঃ) বলিয়াছেনঃ এ বিষয়ে যাহা আমি শুনিয়াছি তন্মধ্যে ইহাই আমার নিকট উত্তম।
(মুয়াত্তা মালিক ১১৬৫)

ফাতওয়ার কিতাবে আছেঃ 

وَالضَّرْبُ الثَّانِي: الْکِنَايَاتُ، وَلاَيَقَعُ بهَا الطلاَقُ إلاَّبِنِيَةٍ، اَوْ دَلالَةٍ حَالٍ. وَهِيَ عَلَی ضَرْبَيْنِ: مَنْها ثَلاَثَةُ اَلْفَاظٍ يَقَعُ بهَا الطّلاقُ الرَّجْعِيُّ،وَلاَيَقَعُ بهَا إِلا وَاحَدَةٌ، وَهِيَ قَوْلُهُ: اعْتَدِّي، وَاسْتَبْرِئِي رَحِمَکِ، وَاَنْتِ وَاحِدَةٌ، وَبَقِيَةُ الْکِنَايَاتِ إِذا نَوَی بهَا الطلاَقَ کَانَتْ وَاحِدَةً بَائِنَةً، وَإِنْ نَوَی بِهَا ثَلاَثاً کَانَتْ ثَلاَثاً، وَإِنْ نَوَی اثْنَتَيْنِ کَانَتْ وَاحِدَةً، وَهَذَا مِثْلُ قَوْلِهِ: اَنْتِ بَائِنٌ، وَبَتَّةٌ، وَبَتْلَةٌ، وَحَرَامٌ، وَحَبْلُکِ عَلَی غَارِبِکِ، وَالْحَقی بِاَهْلِک، وَخَلِيَةٌ، وَبَرِيّةٌ، وَوَهَبْتُکِ لاهْلِکِ، وَسَرَّحْتُکِ، وَاخْتَارِيْ، وَفارَقْتُکِ، وَاَنْتِ حُرَّةٌ، وَتَقَنَّعِي، وَتَخَمَّرِي، وَاسْتَتِرِيْ، وَاغْرُبِيْ، وَابْتَغِي الاَزْوَاجَ، فَإِنْ لَمْ يَکُنْ لَهُ نِيَةٌ لَمْ يَقَعْ بِهٰذِهِ الاَلْفَاظِ طَلاَقٌ؛ إِلا اَنْ يَکُوْنَا فِيْ مُذَاکَرَةِ الطّلاَقِ؛ فَيَقَعُ بِهَا الطّلاَقُ فِيْ الْقَضَاءِ، وَلاَيَقَعُ فِيْمَابَيْنَةُ وَبَيْنَ اﷲِ تَعَالَی إِلاَّ اَنْ يَنْوِيَهُ، وَإِنْ لَمْ يَکُوْنَا فِيْ مَذَاکَرَةِ الطّلاَقِ، وَکَانافِيْ غَضَبٍ اَوْ خُصُوْمَةٍ، وَقَعَ الطّلاَقُ بِکُلِّ لَفْظٍ لاَ يُقْصَدُ بِهِ السَّبُّ وَالشَّتِيْمَةُ، وَلَمْ يَقَعْ بِمَا يُقْصَدُبِهِ السَّبُّ وَالشَّتِيْمَةُ إِلاَّ اَنْ يَنْوِيَةُ.
احمد بن محمد البغدادي المعروف بالقدوري، مختصر القدوري: 363. 364، موسسة الريان للطباعة والنشر والتوزيع، بيروت
برهان الدين علي المرغيناني، الهداية شرح البداية، 1: 241، المکتبة الاسلامية

সারমর্মঃ  
২য় প্রকার,কেনায়া বাক্য।
এর দ্বারা তালাক হবেনা,কিন্তু তালাকের নিয়ত অথবা অবস্থার ভিত্তিতে তালাক হবে। কেনায়া বাক্য দুই প্রকার। এর মধ্যে তিনটি শব্দ এমন আছে, যার দ্বারা  তালাকে রজয়ী পতিত হয়। 
সেগুলো হলোঃ- তুমি ইদ্দত পালন করো,তুমি তোমার গর্ভাশয় মুক্ত করো,তুমি এক।

আর কেনায়া তালাকের অন্যান্য শব্দ,যেক্ষেত্রে তালাকের নিয়ত করলে বায়েন তালাক হয়। তিন তালাকের নিয়ত করলে তিন তালাক পতিত হয়। 
যদি দুই তালাকের নিয়ত করে,সেক্ষেত্রে এক তালাক পতিত হয়।
যেমনঃ- তুমি বিচ্ছিন্ন, তুমি সম্পর্ক মুক্ত,তুমি ভিন্ন,তুমি হারাম,তুমি শুণ্য,তুমি মুক্ত,তোমার রশি তোমার কাঁধে,তুমি তোমার পরিবারবর্গের সাথে মিলিত হও,আমি তোমাকে তোমার পরিবারের জন্য হেবা-দান করলাম,আমি তোমাকে মুক্ত করে দিলাম,আমি তোমাকে বিচ্ছিন্ন করে দিলাম,তোমার বিষয় তোমার হাতে,তুমি আযাদ,তুমি ঘোমটা পড়,তুমি ওড়না দ্বারা নিজেকে আবৃত করো,তুমি আড়াল হও (পর্দা করো), তুমি বিদূরিত হও, তুমি বের হয়ে যাও,তুমি চলে যাও,তুমি দন্ডায়মান হও (দাঁড়িয়ে যাও), তুমি অন্য স্বামী খুজো।
স্বামীর যদি এখানে নিয়ত না থাকে,তাহলে এ সব বাক্য দ্বারা তালাক হবেনা। তবে মুযাকারায়ে তালাকের ক্ষেত্রে হলে কাযা'আন তালাক হবে। দিয়ানাতান তালাক হবেনা।
(কুদুরী ৩৬৩.৩৬৪. হেদায়া শরহুল বিদায়াহ ১/২৪১,শরহে বিকায়াহ ২/৭৭)

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
এক্ষেত্রে কেনায়া বাক্য ব্যবহার করা হয়েছে।
এক্ষেত্রে আপনার তালাকের নিয়ত না থাকলে তালাক পতিত হবেনা। 

প্রশ্নের বিবরন মতে যেহেতু নিয়ত না থাকার প্রবল সম্ভাবনা,তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে তালাক হবেনা।

(০৫)
তালাকের নিয়তে না বলায় এক্ষেত্রে তালাক হবেনা। কোনো সমস্যা হবেনা। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...