ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
(وَأَمَّا رُكْنُ الْيَمِينِ بِاَللَّهِ) فَذِكْرُ اسْمِ اللَّهِ، أَوْ صِفَتِهِ، وَأَمَّا رُكْنُ الْيَمِينِ بِغَيْرِهِ فَذِكْرُ شَرْطٍ صَالِحٍ، وَجَزَاءٍ صَالِحٍ كَذَا فِي الْكَافِي
«الفتاوى الهندية» (2/ 51)
কসমের রুকুন হল, আল্লাহ শব্দ বা আল্লাহর কোনো সিফাত তাতে উল্লেখ থাকা। আর বিশুদ্ধ ও উপযোক্ত শর্ত এবং জাযা উপস্থিত থাকা। ( ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-২/৫১)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/3101
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি যদি আল্লাহর নাম না নিয়ে শুধুমাত্র আল্লাহর কাছে ওয়াদা করে থাকেন, তাহলে এজন্য আপনার কসমও হবে না, এবং কাফফারাও আসবে না।
(২)
নামাজে ভুল হলে শেষ বৈঠকে তাশাহুদ পড়ার পর দুই দিকে সালাম ফিরানোর পর সাহু সিজদা দিয়ে তারপর আবার তাশাহুদ, দরুদ পড়ে তবেই সালাম ফিরাতে হবে।
(৩)
ফজর এ ২ রাকাত নামাজে ৩ রাকাত পড়লে, এবং ২রাকাতের মাথায় শেষ বৈঠক করলে, তাছাড়া মাগরীবে ৩ রাকাতের জায়গায় ৪ রাকাত ভুলে পড়লে,এবং ৩ রাকাতের মাথায় শেষ বৈঠক করলে,অতপরপর সাহু সিজদা দিলে নামাজ শুদ্ধ হবে।তবে এক্ষেত্রে ফজরের সময় ২ রাকাতের জায়গায় ৪রাকাত এবং মাগরিবের সময় ৩ রাকাতের জায়গায় ৫ রাকাত পড়ে নিতে হবে।যাতেকরে শেষ ২ রাকাত নফল হিসেবে বিবেচিত হয়।হ্যা, না করলে ফরয হয়ে যাবে।তবে শেষ দু'রাকাত নফল হবে না।
(৪)
অজু করে হাতমুখ মোছা যাবে না, হ্যা নেকাব পড়া যাবে।হাতমুখ মোছা জরুরী কোনো কাজ নয়, সুতরাং করলে উক্ত নামাযই ফাসিদ হয়ে যাবে।
(৫)
কা'যা নামাযের বিশেষ কোনো ওয়াক্ত নাই। তিন হারাম সময় ব্যতিত যে কোনো সময় কাযা নামায পড়া যাবে।