বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
সুবহে সাদিক বলতে আমরা সেহরীর শেষ সময় বলতে যা বুঝে থাকি, সেটিকেই বুঝানো হয়েছে। তাই আপনি কখন খানা শেষ করলেন, সেটির উপর নির্ভরশীল আপনার রোযা হল? নাকি ভেঙ্গে গেল?
যদি সেহরীর সময় শেষ হবার আগে সেহরী শেষ করে থাকেন, তাহলে আপনার রোযা হয়েছে। আর যদি সময় শেষ হবার পরেও খেয়ে থাকেন, তাহলে রোযা হয়নি। পরে কাযা করতে হবে।
আর আজান সেহরীর সময় শেষ হবার পরই দেয়া হয়। কারণ আজান দেবার সময় সেহরীর শেষ হলেই হয়ে থাকে। সেই হিসেবে বলা যায়, ফজরের আজানের সময় খানা সেহরী খেলে রোযা হবে না।
বাকি কথা মনে রাখতে হবে। আজানের সাথে রোযা হওয়া ও না হওয়ার সম্পর্ক নেই। সম্পর্ক হল, সুবহে সাদিকের সাথে। সুবহে সাদিক তথা সেহরীর সময় শেষ হবার আগে খেলে রোযা হয়েছে। পরে খেলে হয়নি।
وَكُلُوا وَاشْرَبُوا حَتَّىٰ يَتَبَيَّنَ لَكُمُ الْخَيْطُ الْأَبْيَضُ مِنَ الْخَيْطِ الْأَسْوَدِ مِنَ الْفَجْرِ ۖ [٢:١٨٧]
আর পানাহার কর যতক্ষণ না কাল রেখা থেকে ভোরের শুভ্র রেখা পরিষ্কার দেখা যায়। [সূরা বাকারা-১৮৭]
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আজান দিতে দিতে (অর্থাৎ আজানের মুহূর্তে) সাহরি করা যাবে না। পানি পান করা যাবে না।