আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
208 views
in পবিত্রতা (Purity) by (22 points)
reshown by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ সম্মানিত শাইখ!

১)মিশ্রিত পানি (সামান্য কোন তরল বা অন্য কোন এই জাতীয় জিনিস মিক্স হয়ে গেলে কিন্ত পানির ৩টি গুনাগুন অক্ষুন্ন থাকে এক্ষেত্রে এই পানি দিয়ে অজু গোসল জায়েজ হবে যদি সাধারণ পানি থাকা অবস্থায়? আর যদি সাধারণ পানি না থাকে সেক্ষেত্রে কি করা যাবে?
২)ফল নিংংড়ানো পানি আছে, সাধারণ পানি নেই,আশেপাশেও পানি পাওয়ার অবস্থায়ও নেই, এক্ষেত্রে কি অই পানি দিয়ে পবিত্র (ফরয গোসল+অজু)হওয়া যাবে?নাকি তৈয়াম্মুম লাগবে? [মাসালা বুঝার জন্য এই প্রশ্ন]
৩)কারো হায়েজ যদি সুস্থ হওয়ার (গ্যাপ ১৫দিন থাকার পর)১,২ দিন হায়েজ, এরপর বন্ধ, এরপর ১২তম দিন হায়েজ, এটা কি হায়েজ  ধরা হবে নাকি ইস্তেহাজা?

৪)বর্তমানে এলকোহল যুক্ত পারফিউম ব্যবহার করতে অনুত্তম বলা হয়,এটা কি সত্যি?কেউ যদি ব্যবহার করে সেটা কি তাকওয়ারপরিপন্থি?

৫)মুকিম আর মুসাফিরের দূরত্ব পার্থক্য যদি  বলতেন?কেউ যদি কারো বাসায় অনেকদিন থাকার নিয়তে বের হয় অন্য জেলায় সেক্ষেত্রে কি কসর আদায় করবে?

৫)একজন গোনাহগার বান্দার জন্য আল্লহ পর্যন্ত পৌছার জন্য যেকিনা কবিরা গুনাহে লিপ্ত, চেষ্টা করে পারেনা এমন ব্যক্তির জন্য আমল+  নসীহা দিবেন উস্তাদ
[অনেক প্রশ্ন একসাথে করলাম, আফওয়ান উস্তাদ]
by (695,200 points)
আমার এলাকায় বন্যা।তাই দুইদিন পর আপনাকে জবাব দিচ্ছি।জাযাকাল্লাহ। 

1 Answer

0 votes
by (695,200 points)
edited by


ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
ؤُ) لَا يَجُوزُ التَّوَضُّؤُ بِمَاءِ الْبِطِّيخِ وَالْقِثَّاءِ وَالْقَثَدِ وَلَا بِمَاءِ الْوَرْدِ وَلَا بِشَيْءٍ مِنْ الْأَشْرِبَةِ وَلَا بِغَيْرِهَا مِنْ الْمَائِعَاتِ نَحْوِ الْخَلِّ. هَكَذَا فِي فَتَاوَى قَاضِي خَانْ وَلَا بِمَاءِ الْمِلْحِ. هَكَذَا فِي الْخُلَاصَةِ وَلَا بِمَاءِ الصَّابُونِ وَالْحَرَضِ إذَا ذَهَبَتْ رِقَّتُهُ وَصَارَ ثَخِينًا فَإِنْ بَقِيَتْ رِقَّتُهُ وَلَطَافَتُهُ جَازَ كَذَا فِي فَتَاوَى قَاضِي خَانْ.
তরমুজ, শষা, কদু ইত্যাদির পানি দ্বারা অজু গোসল করা যাবে না।এবং ফুলের পানি দ্বারাও অজু করা যাবে না।এবং যেকোনো পানীয় শরবত দ্বারা অজু করা যাবে না। তাছাড়া আরো যত প্রকার পানীয় রয়েছে, যেমন সিরকা ইত্যাদি দ্বারাও অজু করা যাবে না। এবং লবনের পানি দ্বারাও অজু করা যাবে না।শাবান ইত্যাদির পানি দ্বারাও অজু গোসল করা যাবে না,যখন পানির পাতলা হওয়ার গুণ দূর হয়ে গিয়ে পানি গাঢ় হয়ে যাবে, তবে যদি সাবান মিশ্রিত পানিতে পানির পাতলা হওয়ার গুণাগুণ বাকী থাকে, তাহলে উক্ত পানি দ্বারা অজু গোসল হবে।
وَلَا بِمَاءٍ يَسِيلُ مِنْ الْكَرْمِ. كَذَا فِي الْكَافِي وَالْمُحِيطِ وَفَتَاوَى قَاضِي خَانْ وَهُوَ الْأَوْجُهُ. هَكَذَا فِي الْبَحْرِ الرَّائِقِ وَالنَّهْرِ الْفَائِقِ وَهُوَ الْأَحْوَطُ. كَذَا فِي شَرْحِ مُنْيَةِ الْمُصَلِّي لِإِبْرَاهِيمَ الْحَلَبِيِّ
আঙ্গুর থেকে যে রস বের হয়, সেই রস দ্বারাও অজু হবে না। গাছের পাতা পানিতে পড়ে যাওয়ার কারণে যদি পানির তিন গুণের (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/২১)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!

(১)
মিশ্রিত পানি (সামান্য কোন তরল বা অন্য কোন এই জাতীয় জিনিস মিক্স হয়ে গেলে কিন্ত পানির ৩টি গুনাগুন অক্ষুন্ন থাকে, এক্ষেত্রে ঐ পানি দিয়ে অজু গোসল জায়েজ হবে। তবে সাধারণ পানি মওজুদ থাকলে,সেই পানি দ্বারাই অজু গোসল উত্তম।

(২)
ফল নিংংড়ানো পানি আছে, সাধারণ পানি নেই,আশেপাশেও পানি পাওয়ার অবস্থায়ও নেই, এক্ষেত্রে ঐ পানি দিয়ে পবিত্র (ফরয গোসল+অজু)হওয়া যাবে না।বরং তায়াম্মুম করতে হবে।

(৩)
তিন দিনের কম হায়েয হয় না।সুতরাং প্রশ্নে বর্ণিত বিষয়টা ইস্তেহাযা।

(৪)
বর্তমান সময়ে বাজারে পাওয়া যাওয়া এলকোহল কি হালাল না হারাম? এ সম্পর্কে বিশিষ্ট ফকিহ শাইখুল ইসলাম তাক্বী উসমানী (দাঃবা) লিখেন,
وان معظم الكحول التي تستعمل اليوم في الادوية والعطور وغيرها لا تتخذ من العنب او التمر انما تتخذ من الحبوب او القشور او البترول وغيره
ভাবার্থঃএলকোহল যা আজ বিভিন্ন ঔষধ বা আতর/সেন্টে ব্যবহৃত হয়ে আসছে তার অধিকাংশই আঙ্গুর বা খেজুর থেকে তৈরী হচ্ছে না।বরং তা বিভিন্ন প্রকার শস্যদানা,খোসা,এবং খনিজ পদার্থ ইত্যাদি থেকেই তৈরী করা হচ্ছে।(বিধায় সেগুলো হারাম হবে না যতক্ষণ না মদ হওয়ার পূর্ণবিশ্বাস হচ্ছে)(তাকমিলাতু ফাতহুল মুসলিম 3/608) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/165

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
ব্যবহার না করাই উত্তম।

(৫)
ঘরে বসে কোনো কাজই হয়না। সফর করতে হবে। দ্বীনের রাস্তায় মেহনত করতে হবে। দ্বীনদ্বার আল্লাহ ওয়ালা কোনো বুজুর্গের সাথে দীর্ঘ সময় অতিবাহিত করতে হবে। অথবা তাবলীগে একসাথে তিন চিল্লা দিতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (695,200 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...