আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
88 views
in পবিত্রতা (Purity) by (15 points)
আসসালামু আলাইকুম । আমার হরমোনাল সমস্যা।  অনিয়মিত প্রিয়ড। ইস্তেহাযার সমস্যা।  মার্চ ১৮ তারিখে আমার প্রিয়ড হয় এর পরে আমি এপ্রিল ১৫/১৬ তারিখ সাদাস্রাবের সাথে একদম ই চিকন ফ্যাকাসে/ লাল বর্ন দেখি।  যাকে প্রিয়ড ভাবিনি।  এর পর আমি ১৭ এপ্রিল আসরের নামাজের পরে ভালো এমাউন্টের স্রাবের সাথে ব্লাড দেখি। যেহেতু ১৫ দিনের বেশি হয়েছে তাই ধারনা করি প্রিয়ড।  ইফতারির পরে রোজা ভাংগি।  এশা + বাকী সালাত পরিনা।
১৮ এপ্রিল খুবই অল্প পরিনামে কয়েক ফোটার মত ব্লাড দেখি যা অনবরত  না।  তাই সেদিন আর রোজা ছিলাম না।  ১৮ এপ্রিল রাতে ব্লাড ছিল না এর পর আমি ১৯ তারিখ সাহুর করে রোজা রাখার নিয়ত করি কারন ধারনা করি যদি ভালো হয়।  আমি ১৯ তারিখ সন্ধ্যা পর্যন্ত কোন ব্লাড দেখিনি। আমি একজন ডক্টরকে জিজ্ঞাসা করলে সে জানাই এটা অস্বাভাবিক ব্লিডিং ধারনা করে ওষুধের সাইড ইফেক্ট।   একজন আলেমাকে বললে, উনি  বললো ৩ দিন অপেক্ষা করুন।  ১৯ তারিখ রাতে কয়েকড্রপস ব্লাড দেখি।  ২০ তারিখ ও আমি সাহরী খাই রোজার নিয়তে।  এখন আমার কোন ব্লাড নেই।  তাহলে এখানে প্রিয়ড / ব্লিডিং ৩ দিনের কম হলো।  তাহলে এটাকে কি আমি  কি ধরব?  ইস্তেহাযা?
এক্ষেত্রে আমার কত ওয়াক্তের কাযা নামাজ পড়তে হবে?
আর আমি যে রোজা রেখেছি সেটা কি হবে নাকি কাযা আদায় করতে হবে ?
এমন কনফিউশান আমি প্রতিমাসেই পরি আমার জন্যে কি সমাধান? এতে আমার মানসিক প্রেশার হয়।
অনেক সময় কয়েক ওয়াক্ত ব্লাড না দেখে নামাজ শুরু করলে আবার ব্লাড দেখি।  তখন অনূসূচনা তে পরে যায়।

1 Answer

0 votes
by (677,160 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


শরীয়তের বিধান অনুযায়ী হায়েযের সর্বনিম্ন সময়সীমা হলো ৩ তিন,আর সর্বোচ্ছ সময়সীমা ১০দিন।
এ ১০দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে। (বেহেশতী জেওর-১/২০৬)  

হাদীস শরীফে এসেছে   
أقل الحیض للجاریۃ البکر والثیب ثلاثۃ أیام ولیالیہا وأکثرہ عشرۃ أیام
دار قطني، السنن، 1: 219، رقم: 61
রাসুল সাঃ বলেন  মহিলাদের হায়েজের সর্বনিম্ন সীমা হলো ৩ দিন ৩ রাত,সর্বোচ্চ সীমা হলো ১০ দিন ১০ রাত।

হায়েজের দিন গুলোতে যেই কালারেরই রক্ত হোক,সেটি হায়েজের রক্ত বলেই গন্য হবে। 
উক্ত সময় নামাজ রোযা ইত্যাদি আদায় করা যাবেনা।
(কিতাবুল ফাতওয়া ২/৭৬)

তবে স্পষ্ট সাদা কালারের কিছু বের হলে সেটাকে হায়েজ বলা যাবেনা।
(ফাতাওয়ায়ে হক্কানিয়াহ ২/৮৩৩)

উম্মে আলক্বামাহ তথা মার্জনা (مَوْلاَةِ عَائِشَةَ) হইতে বর্ণিত,

عن أم علقمة أَنَّهَا قَالَتْ : " كَانَ النِّسَاءُ يَبْعَثْنَ إِلَى عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ بِالدُّرْجَةِ فِيهَا الْكُرْسُفُ فِيهِ الصُّفْرَةُ مِنْ دَمِ الْحَيْضَةِ يَسْأَلْنَهَا عَنْ الصَّلَاةِ فَتَقُولُ لَهُنَّ لَا تَعْجَلْنَ حَتَّى تَرَيْنَ الْقَصَّةَ الْبَيْضَاءَ تُرِيدُ بِذَلِكَ الطُّهْرَ مِنْ الْحَيْضَةِ "

তিনি বলেনঃ (ঋতুমতী) স্ত্রীলোকেরা আয়েশা (রাঃ)-এর নিকট ঝোলা বা ডিবা (دُرْجَة) পাঠাইতেন, যাহাতে নেকড়া বা তুলা (كُرْسُفْ) থাকিত। উহাতে পাণ্ডুবৰ্ণ ঋতুর রক্ত লাগিয়া থাকিত। তাহারা এই অবস্থায় নামায পড়া সম্পর্কে তাহার নিকট জানিতে চাহিতেন। তিনি [আয়েশা (রাঃ)] তাহাদিগকে বলিতেনঃ তাড়াহুড়া করিও না, যতক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণ সাদা (বর্ণ) দেখিতে না পাও। তিনি ইহা দ্বারা ঋতু হইতে পবিত্রতা (طُهْر) বুঝাইতেন।(মুয়াত্তা মালিক-১২৭)
,

أن النساء کن یبعثن بالکرسف إلی عائشۃ رضی اللہ تعالیٰ عنھا فکانت تقول : لا حتی ترین القصۃ البیضاء‘‘ ( المؤطأ للإمام مالک : ۱/۵۹۱ ،  : مصنف ابن عبد الرزاق، حدیث نمبر : ۱۱۵۹ )
সারমর্মঃ আয়েশা সিদ্দিকা রাঃ সেই সমস্ত মহিলাদের বলিতেনঃ তাড়াহুড়া করিও না, যতক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণ সাদা দেখিতে না পাও। 

বিস্তারিত জানুনঃ   

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখ রয়েছেঃ-
"আমি এপ্রিল ১৫/১৬ তারিখ সাদাস্রাবের সাথে একদম ই চিকন ফ্যাকাসে/ লাল বর্ন দেখি"

এক্ষেত্রে কোনটা সঠিক? ১৫ তারিখ? নাকি ১৬ তারিখ?

দুটোর যেটিই হবে,সেদিন হতে ১৯ তারিখ রাত পর্যন্ত হায়েজ ধরতে হবে।

এ দিনগুলো মধ্য রোযা রেখে থাকলে সেগুলোর কাজা আদায় করতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (15 points)
প্রতি মাসেই আমি কাউন্টিং এ সমস্যাতে পড়ছি।  এবার মে ৩ তারিখে আমি যোহর এবং এশার আগে ব্লাড দেখেছি।  সেক্ষেত্রে এটা কে কি প্রিয়ড ধরবো যেহেতু ১৫ দিনের বেশি হয়ছে?  ধরলে কতদিন ধরবো?  কবে থেকে নামাজ পড়বো।  গত ৪-৫ মাসের হিসাব অনুযায়ী এটা কনফার্ম যে আমার প্রিয়ড অস্বাভাবিক । কিন্তু আমি ইস্তেহাযা এবং প্রিয়ড কাউন্ট করবো কিভাবে?
by (677,160 points)
এটা কমপক্ষে তিন দিন তিন রাত ধরে অব্যাহত থাকলে হায়েজ বলে গন্য হবে।

এর আগেই বন্ধ হয়ে গেলে সেটি হায়েজ নয়,তাই এ সময়ে নামাজ আদায় করতে হবে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...