আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
218 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (32 points)
আসসালামু আলাইকুম।
১.গত মাসে হায়েজ ভালো হওয়ার ১৭ তম দিনে পিরিয়ড হয়েছে, তার আগের ২/১ মাসে ১৮ তম দিনে হয়েছিল।এর আগের মাসগুলোতে ১৬ তম দিনেই হত।এবার ১৫ তম দিনে চলে এসেছে।তাহলে ১৫ তম দিন অর্থাৎ আজকে দিনকে ইস্তেহাযা ধরে ১৬ তম দিন মানে কাল থেকে সালাত অফ করতে হবে?
২।হলের রুমে চার জন থাকা হয়।একজন হিন্দু আছে।তিনি বাইরে গেলে আমার আয়নাতেই দেখেন।আজ নতুন এক রুমমেট উঠেছে। সে মুসলিম কিন্তু পর্দা করে না।সেও বাইরে যাওয়ার সময় আমার আয়নাই ইউজ করলো।উনাদের  ব্যপর্দার কারণে বা আমার জিনিস ইউজ করে দেখে যাচ্ছে জন্য আমিও কি গুনাহের অংশীদার হচ্ছি?
জাযাকুমুল্লাহ খইরন

1 Answer

0 votes
by (716,120 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
(১)
https://www.ifatwa.info/8214 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
হায়েযের সর্বোচ্ছ সময়সীমা ১০দিন।এ ১০দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে।(বেহেশতী জেওর-১/২০৬)
তথা সাদা রং ব্যতীত সকলপ্রকার রং ই হায়েযের অন্তর্ভুক্ত।

কারো যদি নিয়ম থাকে যে, মাসে চার বা পাঁচ দিন হায়েয আসে।এই চার বা পাঁচ দিন অতিবাহিত হয়ে যে নামাযের ওয়াক্তে রক্ত বন্ধ হবে, সে নামাযের আখের ওয়াক্তে গোসল করে উক্ত নামায পড়বে।অতঃপর আবার হায়েয দেখা দিলে নামায ছেড়ে দিবে।(আহসানুল ফাতাওয়া;২/৬৮)
আল্লাহ-ই ভালো জানেন।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
পিরিয়ডের ডেটের এক দুইদিন আগে থেকে আপনার খয়েরি ডিসচার্জ শুরু হয়েছে।এটা পিরিয়ড হিসেবে গণ্য হবে। এমতাবস্থায় আপনি সালাত আদায় করবেন না।যখন দশ অতিবাহিত হবে বা বন্ধ হবে,তখনই আপনি সালাত আদায় করবেন। (শেষ)

সুতরাং
যদি আপনার পূর্বের হায়েয থেকে ১৫ দিন অতিবাহিত হওয়ার পর ১৫ তম দিনে এখন রক্তস্রাব দেখা যায়, তাহলে এটাকে হায়েয হিসেবেই গণ্য করা হবে।সুতরাং ১৫ তম দিন থেকেই আপনি হায়েয গণ্য করবেন।

(২)
প্রত্যেককে তার নিজ আ'মলের হিসাব দিতে হবে।সুতরাং আপনার আয়না দেখার কারণে আপনার কোনো গোনাহ হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...