ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
ইফতারের জন্য অযু বাধ্যতামূলক নয়।
মূলত অযু নামাজ আদায়, কুরআন স্পর্শ ইত্যাদি বিশেষ কিছু আমলের জন্য বাধ্যতামূলক।
ইফতারের জন্য বাধ্যতামূলক নয়।
সুতরাং ইফতারের আগে ওজু না থাকলে বা ভঙ্গ হয়ে গেলে পুনরায় ওজু করতে হবেনা। এটা বাধ্যতামূলক নয়।
তবে মাগরিবের নামাজের জন্য ঠিকই অযু করতে হবে।
(০২)
সুন্নাত ও নফল নামাজে একই সূরা ভেঙ্গে ভেঙ্গে পড়লে কোনো সমস্যা হবেনা।
,
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত উদাহরণ, প্রথম রাকাতে সূরা ফাতিহা, এরপর সূরা বাকারাহর ২৮৫ নং আয়াত। পরের রাকাতে সূরা ফাতিহার পর সূরা বাকারাহর ২৮৬ নং আয়াত এরকম। অথবা ফাতিহার পর ১ম রাকাতে সূরা মূলকের প্রথম ৬ আয়াত, ২য় রাকাতে সূরা মূলকের ৭-১৪ আয়াত, ৩য় রাকাতে মূলকের ১৫-২০ আয়াত এভাবে করা যাবে।
(০৩)
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন,
“তোমাদের প্রত্যেকেই দায়িত্বপ্রাপ্ত এবং তোমাদের প্রত্যেককেই তার দায়িত্বাধীনদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে, রাষ্ট্রনেতা তার প্রজাদের সম্পর্কে দায়িত্বশীল আর তাকে তাদের পরিচালনার ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। একজন পুরুষ লোক তার পরিবারের ব্যাপারে দায়িত্বশীল, তাকে তাদের পরিচালনার ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। একজন মহিলা তার স্বামীর ঘরের সার্বিক ব্যাপারে দায়িত্বশীলা, তাকে সেটার পরিচালনার ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। একজন পরিচারক তার মালিকের সম্পদের সংরক্ষক, আর তাকে সেটার ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এক কথায় তোমরা সবাই দায়িত্বশীল আর সবাই জিজ্ঞাসিত হবে সে দায়িত্ব সম্পর্কে”।[ বুখারী : ৭১৩৮; মুসলিম: ১৭০৫ ]
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
আপনি উপরোক্ত ফতোয়ার আলোকে দোয়ার পাশাপাশি হিকমতের সহিত তাদেরকে দ্বীনের পথে নিয়ে আসার জন্য ভালোভাবে বুঝানো অব্যাহত রাখুন।
★বাড়িতে প্রত্যাহ তালিমের ব্যবস্থা করুনঃ
★ফাজায়েলে আমল’
এটি তাবলিগ জামাতের লোকেদের মধ্যে অধিক পরিচিত ও ব্যাপক পঠিত একটি বই। নামাজ, রোজা , হজ, জাকাত জিকির, কুরআন তেলাওয়াতের ফজিলত ও সাহাবিদের জীবনীর সমন্বয়ে রচিত বইটি।
তাবলিগী মেহনতে অংশগ্রহণকারীদের তালিম-তরবীয়তের জন্য তাবলিগের প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা ইলিয়াস রহ. উপর্যুক্ত বিষয়গুলোর সমন্বয়ে একটি বই রচনার তীব্র প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন। ফলে তিনি ভাতিজা শায়খুল হাদিস হযরত মাওলানা যাকারিয়াকে রহ. এরকম বই লেখার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন।
আরো কিতাবের নাম জানুনঃ
,
এবং হক্কানী শায়েখদের আখেরাত,জান্নাত,জাহান্নাম ইত্যাদি সংক্রান্ত রেকর্ড কৃত বয়ান তাদেরকে শুনাতে থাকবেন,এতে আস্তে ধীরে তারা পুরোপুরি ইসলাম মেনে চলা চেষ্টা করবেন,এবং বর্তমানে তাদের যে মনমানসিকতা, সেটি পরিবর্তন হবে,ইনশাআল্লাহ।
আপনার বাবাকে তাবলিগে বা কোনো হক্কানী শায়েখের কাছে পাঠানোর চেষ্টা করবেন।
আপনার মাকে তাবলীগের মাস্তুরাত জামাতে পাঠানোর চেষ্টা করবেন।
বাসার আশে পাশে কোথাও তাবলিগের মহিলাদের তা'লিম হলে রাস্তা এবং স্থান নিরাপদ হলে আপনার মাকে সেখানে নিয়ে যাবেন।
আল্লাহ তায়ালা আপনার সহায় হোন,আমিন।