আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
189 views
in ওয়াসওয়াসা by (10 points)
১. আসসালামু আলাইকুম শায়েখ কোন মেয়ে তার মাকে পছন্দ কোন ছেলে থাকলে এভাবে বললে যে আমি সেই বা ঐ ছেলেকে বিয়ে করবো বা আমি ঐ বা সেই ছেলে কে বিয়ে করতো চাই। এতে যদি মা রাজি হয় আচ্ছা বা সম্মতি সূচক কিছু বলে বা আচ্ছা বিয়ে করো যাও এমন কথায় কি মাকে বিয়ের উকিল বানানো হয় বা সে এখন ঐ ছেলের সাথে বিয়ে দিয়ে দিলে বিয়ে হয়ে যাবে? জানার জন্য প্রশ্ন এমন কিছু হয় নাই।
২. আসলে আমি একটা ছেলেকে পছন্দ করতাম সেই ছেলের কথা মাকে বলছিলাম। যে আমি একটা ছেলেকে পছন্দ করি আমি ছেলেকে বিয়ে করতে চাইতাম না তখন কারণ ঐ আমি আস্তে হেদায়েত পাচ্ছি লাম। আমি নামাজ, এবং পরিপূর্ণ পর্দা করা শুরু করি। এবং ঐ ছেলের সাথে যোগাযোগ আস্তে আস্তে অফ করে দিই। আমার মা কে ঐ ছেলের সাথে পরিচয় করায় দিছিলাম সে ছেলে বলছিল তার টাইম লাগবে এক বছর আমি বলছিলাম আমার মাকে অন্য ভাল ছেলে খুজতে আমার ডিপ্লোমা শেষ এর পর। কারণ আমি ঐ ছেলেকে বিয়ে করতে চাইতাম না। ওই ছেলের জোড়াজুড়ি তেই আমি আমার মাকে ওর সাথে  দেখা করায় দিছিলাম।  পরে ওই ছেলেও বিয়ে করতে চাইতো না। আমি মাকে কখনো বলি নাই ওই ছেলেকে বিয়ে করবো বা আমাকে ওর সাথে বিয়ে দিয়ে দাও। ঐ ছেলের সাথে দেখা করার আগে আমার মা কি কারণে এমন কথা বলতে গেছে যে তুমি আমার মেয়েকে বৌ বলে ডাকতে পারো না এটা আমার মা প্রশ্ন করছে। ছেলেটা উত্তর দিছে যখন হবে তখন দেখবো। আমি এর কিছু জানতাম না। আমার আমাকে ডেকে বলছে ওর সাথে যোগাযোগ অফ করে দাও। আমি চাইনা ওর সাথে তোমার বিয়ে হোক।  আমি নিজে ঐ ছেলেটার সাথে কথা বলছি সে বলছিল যখন হবে তখন দেখবো বলছে আর কথোপকথন কোন সাক্ষী ছিল না। এবং এই ঘটনার পর আমি কি মনে করে ওই ছেলের ফোন নাম্বার বড় জামাই লিখে মায়ের ফোনে সেভ করি। কিন্তু সেই দিনই নাম্বার ডিলিট করে দেই। কিন্তু তখন ঐ ছেলের সাথে আমার যোগাযোগ অফ ছিল।  তখনও আমি ওকে বিয়ে করতে চাই তাম না। কিন্তু আবেগে এমন কাজ করছিলাম। আমার বিয়ের পরে ওয়াসওয়াসা আসায় সব ভুলে গেলে মাকে জিজ্ঞেস করলে তিনটা উত্তর দেয় যে, যখন হবে তখন দেখবো, যখন হবে তখন বলবো, যখন হবে তখন ডাকবো এই তিনটার মধ্যে কনফিউশান হয় আমার মায়ের তবে সে শিওর ছিল কবুল বা সম্মতিসূচক কিছু বলে নাই। এবং আমারো মনে পড়ে যায় যে আমি নিজে ঐ ছেলেকে জিজ্ঞেস করায় সে বলছিল যখন হবে তখন দেখবো এটা বলছিল  আমি শিওর ১০০%।  আমার তো অনেক পুরনো কথা মনে থাকে। আর ঐ ছেলেটা বলছিল এই কথোপকথন কেউ শোনে নাই। শায়েখ আমাকে েপরামর্শ দিবেন এই ওয়াসওয়াসা থেকে বেরোতে চাই। আমার এখন অন্য জায়গায় বিয়ে হইছে আমি নিজে মানি অভিভাবক ছাড়া বিয়ে হয় না। কিন্তু আমার স্বামী সে কোন নির্দিষ্ট মাজহাব মানে না তবে সে মানে কাজী না থাকলে অভিভাবক ছাড়া বিয়ে হয় না আর কাজী থাকলে অভিভাবক ছাড়া বিয়ে হয়।  এখানে তো কোন ইজাব কবুল হয় নাই তাই তো শায়েখ? আমার এখন কার বিয়ে তো শুদ্ধ?
৩. আমার কি এগুলো নিয়ে চিন্তা করা লাগবে?  আমি নিশ্চিন্তে সংসার করতে চাই।  আর আমার ঘটনা মনে আছে আমি নিজে ঐ ছেলেকে জিজ্ঞেস করছিলাম আমার প্রথম দিকে মনে না থাকা বা আমার মায়ের উত্তরে কনফিউশান কি আমার এখন কার অন্য ছেলের সাথে বৈবাহিক জীবনে কোন সম্যসা করবে।

৪. যেহেতু অতীতের পাপ আমি আমার স্বামী কে এই ঘটনা জানাই নি।  তাকে কি জানানো লাগবে? যেখানে ইজাব কবুল হয় নাই।
আপনাদের জন্য অনেক দুয়া আল্লাহ আমার মতো গুনাহগার  মানুষদের পাগলামি কর প্রশ্নে উত্তর  দিয়ে সাহায্য করার উসিলায় যেন আপনাদের দুনিয়া এবং আখিরাত যেন বরকত ময় হয় আমিন শায়েখ।

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


শরীয়তের বিধান মতে ইজাব কবুল ছাড়া বিয়ে হয় না।
বিবাহের ইজাব ও কবুলটি বলতে হয় দুইজন প্রাপ্ত বয়স্ক মসলিম পুরুষ বা একজন পুরুষ ও দুইজন মহিলার সামনে।

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ- 

وَ اسۡتَشۡہِدُوۡا شَہِیۡدَیۡنِ مِنۡ رِّجَالِکُمۡ ۚ فَاِنۡ لَّمۡ یَکُوۡنَا رَجُلَیۡنِ فَرَجُلٌ وَّ امۡرَاَتٰنِ مِمَّنۡ تَرۡضَوۡنَ مِنَ الشُّہَدَآءِ اَنۡ تَضِلَّ اِحۡدٰىہُمَا فَتُذَکِّرَ اِحۡدٰىہُمَا الۡاُخۡرٰی

আর তোমরা তোমাদের পুরুষদের মধ্য হতে দু’জন সাক্ষী রাখ, অতঃপর যদি দু’জন পুরুষ না হয় তবে একজন পুরুষ ও দু’জন স্ত্রীলোক যাদেরকে তোমরা সাক্ষী হিসেবে পছন্দ কর, যাতে স্ত্রীলোকদের মধ্যে একজন ভুলে গেলে তাদের একজন অপরজনকে স্মরণ করিয়ে দেয়।
(সুরা বাকারা ২৮২)

হাদিস শরিফে এসেছে, 

قوله صلى الله عليه وسلم : ( لا نكاح إلا بولي وشاهدي عدل ) رواه البيهقي من حديث عمران وعائشة ، وصححه الألباني في صحيح الجامع (7557) 

বিয়ের আকদের সময় সাক্ষী রাখতে হবে। রাসুলুল্লাহ  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “অভিভাবক ও দুইজন সাক্ষী ছাড়া কোন বিবাহ নেই।” [তাবারানী কর্তৃক সংকলিত, সহীহ জামে (৭৫৫৮)]।

★বাহরুর রায়েক গ্রন্থে আছেঃ-

وَتَمَامُهُ فِي الْفَصْلِ السَّابِعَ عَشَرَ فِي النِّكَاحِ بِالْكِتَابَةِ مِنْ الْخُلَاصَةِ، وَقَيَّدَ بِالْإِيجَابِ وَالْقَبُولِ؛ لِأَنَّهُ لَا يَنْعَقِدُ بِالْإِقْرَارِ فَلَوْ قَالَ بِحَضْرَةِ الشُّهُودِ: هِيَ امْرَأَتِي، وَأَنَا زَوْجُهَا، وَقَالَتْ: هُوَ زَوْجِي، وَأَنَا امْرَأَتُهُ لَمْ يَنْعَقِدْ النِّكَاحُ؛ لِأَنَّ الْإِقْرَارَ إظْهَارٌ لِمَا هُوَ ثَابِتٌ، وَلَيْسَ بِإِنْشَاءٍ 
সারমর্মঃ
ইজাব কবুলের সাথে বিবাহকে মুকায়্যাদ করা হয়েছে।কেননা ইজাব কবুল ব্যাতিত বিবাহ শুদ্ধ হয়না।
সুতরাং কেহ যদি সাক্ষীদের সামনে বলে যে সে আমার স্ত্রী আর আমি তার স্বামী,আর মহিলাটিও বলে যে সে আমার স্বামী আর আমি তার স্ত্রী,তাহলে বিবাহ শুদ্ধ হবেনা।
কেননা স্বীকারোক্তি বলা হয় যাহা আগে থেকে প্রমানিত, সেটি প্রকাশ করা,নতুন ভাবে কোনো কিছু হওয়া নয়।
(বাহরুর রায়েক-৩/৯০)

হেদায়া গ্রন্থে আছেঃ

النكاح ينعقد بالإيجاب والقبول بلفظين يعبر بهما عن الماضي لأن الصيغة وإن كانت للإخبار وضعا فقد جعلت للإنشاء شرعا دفعا للحاجة وينعقد بلفظين يعبر بأحدهما عن الماضي وبالآخر عن المستقبل مثل أن يقول زوجني فيقول زوجتك لأن هذا توكيل بالنكاح والواحد يتولى طرفي النكاح الھدایۃ، ج:1، ص:185، ط:دار احياء التراث العربي - بيروت - لبنان
সারমর্মঃ
বিবাহ ইজাব কবুল দ্বারা সম্পন্ন হয়,দুটির একটি অতিতকাকাল সূচক বাক্য হবে,আরেকটি বর্তমান কাল বুঝায় এমন বাক্য হতে হবে।

হেদায়া গ্রন্থে আছেঃ 
وینعقد بلفظ النکاح والتزویج والہبة والتملیک والصدقة )
সারমর্মঃ  
বিবাহ,তাযয়িজ,হিবা,তামলিক,সদকাহ এই জাতীয় বাক্য গুলি দ্বারা বিবাহ সম্পন্ন হয়।

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
(০১)
এমন কথায় মাকে বিয়ের উকিল বানানো হয়।
তার মা এখন ঐ ছেলের সাথে ইজাব কবুলের মাধ্যমে বিয়ে দিয়ে দিলে বিয়ে হয়ে যাবে।

(০২)
এখানে কোন ইজাব কবুল হয়নি।
আপনার এখন কার বিয়ে শুদ্ধ।

(০৩)
আপনার এগুলো নিয়ে চিন্তা করা লাগবেনা।

(০৪)
তাকে জানাতে হবেনা।
হ্যাঁ, আপনার জন্য দোয়া করবো,ইনশাআল্লাহ। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...