আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
228 views
in ওয়াসওয়াসা by (10 points)
আসসালামু আলাইকুম  শায়েখ

(১) কেউ যদি প্রেমিকের সাথে পালায় যেতে চায় কিন্তু শেষ পর্যন্ত না পালায়। কিন্তু পালাবো বা চলো না পালায় যাই এসব বললে প্রেমিক যদি বলে আচ্ছা,ওকে চলো পালায় যাই, সবার সাথে শেষবার দেখা করে আসো তখন প্রেমিকা বলে ওকে বা আচ্ছা ( সবার সাথে শেষবার দেখা করে আসো এটা বলে নাই। এখন মনে হচ্ছে এটা ওয়াসওয়াসা। তারপরও এই কথার উত্তর দিবেন প্লিজ)।  ইজাব কবুলের শব্দ?  এতে কি ইজাব কবুল হয়?  কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা পালায় নাই। (এমন কথা বলা হইছিল কি না শিওর না। ওয়াসওয়াসা মনে হয়। তবে মেয়েটা জামা কাপড় ব্যাগে করে নিয়ে গেছিল ছেলেটা সামসামনি বলছিল সে কখনোই পালিয়ে বিয়ে করবে না। তার পক্ষে বিয়ে করা সম্ভব না। এটা শিওর।)
(2) পালিয়ে বিয়ে করবো আচ্ছা বা ওকে বললো কিছু হবে? ( এটা ওয়াসওয়াসা মনে হচ্ছে। কারণ ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করলে বিয়ে করবো শব্দটা উচ্চারণ করা হয় নাই মনে হচ্ছে।।)

(3) প্রেমিক যদি বলে অমুককে বিয়েতে সাক্ষী রাখবো। কিন্তু সেই লোকগুলো জানতো না এই কথা। প্রেমিক তাদের বলে নাই সাক্ষী হওয়ার কথা। কিন্তু ঐ লোক গুলোর সামনে প্রেমিকা যদি বলে আপনাদের বিয়েতে সাক্ষী রাখতে চাইছিল এবং প্রেমিক যদি চুপ থাকে বা হ্যা বলে বা ঐ সাক্ষী রা হ্যা বলে বা চুপ থাকে এতে কি ইজাব কবুল বা বিয়ে সাদী হয়? বিয়ে করলাম কবুল এমন কিছু বলা হয় নাই।   ( প্রথমে এমন কিছু হইছিল কিনা মনে হচ্ছিল। কিন্তু এখন পুরোপুরি শিওর  এমন কোন কিছু হয় নাই।  পুরোটাই ওয়াসওয়াসা। এমন কিছুই হয় নাই। তারপরও প্রশ্ন টা করলাম দয়া করে উত্তর দিবেন এখন আমার অন্য ছেলের সাথে বিয়ে হইছে। এমন প্রশ্ন যা ওয়াসওয়াসা এবং পরে শিওর হয় যে এমন কিছু হয় নাই। এগুলো প্রশ্নের  দ্বারা কি আমার বৈবাহিক জীবনে কোন সম্যসা হবে?)

(৩) একটা বিষয় এখন আমার মনে পড়ছে শিওর যে আমি ঐ ছেলেকে আগের থেকে পালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে কিছু বলছিলাম না। আমি নিজে থেকে জামা কাপড় নিয়ে গেছিলাম আর ঐ ছেলে বলছিল সে পালায় বিয়ে করতে চায় না। তারপরও প্রশ্নের উত্তর  দিবেন প্লিজ।  এই কমেন্ট টা এই লিংকে https://ifatwa.info/57140/ করেছিলাম তখন সম্মানিত শায়েখ উত্তর দিয়েছেন কে পালিয়ে যাওয়ার কথা বলছে আর কে বলছে না? এদ্বারা উত্তরে কোনো পরিবর্তন আসবে না।  এর মানে হচ্ছে প্রশ্নের উত্তর অনুযায়ী কোন ইজাব কবুল বা বিয়ে হয়নি তাইতো শায়েখ? আমার ওয়াসওয়াসা আসে যা আমি বুঝতে পারি না তা নিয়ে।

(৪) আমি অনেক ভাবছি এই বিষয় নিয়ে তখন আমার মনে পড়ছে যে আমি একটা ওড়না ব্যাগে করে নিছিলাম শাড়ি পড়ছিলাম তাই। তাই ঐ ছেলে ভাবছিল হয়তো পালিয়ে যেতে চাই ওর সাথে কিন্তু আমি কিছু বলি নাই। সেই ছেলে নিজে থেকে বলছিল ও কখনো পালিয়ে বিয়ে করবে না। আর উপরোক্ত প্রশ্ন গুলো ওয়াসওয়াসা থেকে করা দয়া করে উত্তর দিবেন।

1 Answer

0 votes
by (569,520 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


শরীয়তের বিধান মতে ইজাব কবুল ছাড়া বিয়ে হয় না।
বিবাহের ইজাব ও কবুলটি বলতে হয় দুইজন প্রাপ্ত বয়স্ক মসলিম পুরুষ বা একজন পুরুষ ও দুইজন মহিলার সামনে।

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ- 

وَ اسۡتَشۡہِدُوۡا شَہِیۡدَیۡنِ مِنۡ رِّجَالِکُمۡ ۚ فَاِنۡ لَّمۡ یَکُوۡنَا رَجُلَیۡنِ فَرَجُلٌ وَّ امۡرَاَتٰنِ مِمَّنۡ تَرۡضَوۡنَ مِنَ الشُّہَدَآءِ اَنۡ تَضِلَّ اِحۡدٰىہُمَا فَتُذَکِّرَ اِحۡدٰىہُمَا الۡاُخۡرٰی

আর তোমরা তোমাদের পুরুষদের মধ্য হতে দু’জন সাক্ষী রাখ, অতঃপর যদি দু’জন পুরুষ না হয় তবে একজন পুরুষ ও দু’জন স্ত্রীলোক যাদেরকে তোমরা সাক্ষী হিসেবে পছন্দ কর, যাতে স্ত্রীলোকদের মধ্যে একজন ভুলে গেলে তাদের একজন অপরজনকে স্মরণ করিয়ে দেয়।
(সুরা বাকারা ২৮২)

হাদিস শরিফে এসেছে, 

قوله صلى الله عليه وسلم : ( لا نكاح إلا بولي وشاهدي عدل ) رواه البيهقي من حديث عمران وعائشة ، وصححه الألباني في صحيح الجامع (7557) 

বিয়ের আকদের সময় সাক্ষী রাখতে হবে। রাসুলুল্লাহ  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “অভিভাবক ও দুইজন সাক্ষী ছাড়া কোন বিবাহ নেই।” [তাবারানী কর্তৃক সংকলিত, সহীহ জামে (৭৫৫৮)]।

★বাহরুর রায়েক গ্রন্থে আছেঃ-

وَتَمَامُهُ فِي الْفَصْلِ السَّابِعَ عَشَرَ فِي النِّكَاحِ بِالْكِتَابَةِ مِنْ الْخُلَاصَةِ، وَقَيَّدَ بِالْإِيجَابِ وَالْقَبُولِ؛ لِأَنَّهُ لَا يَنْعَقِدُ بِالْإِقْرَارِ فَلَوْ قَالَ بِحَضْرَةِ الشُّهُودِ: هِيَ امْرَأَتِي، وَأَنَا زَوْجُهَا، وَقَالَتْ: هُوَ زَوْجِي، وَأَنَا امْرَأَتُهُ لَمْ يَنْعَقِدْ النِّكَاحُ؛ لِأَنَّ الْإِقْرَارَ إظْهَارٌ لِمَا هُوَ ثَابِتٌ، وَلَيْسَ بِإِنْشَاءٍ 
সারমর্মঃ
ইজাব কবুলের সাথে বিবাহকে মুকায়্যাদ করা হয়েছে।কেননা ইজাব কবুল ব্যাতিত বিবাহ শুদ্ধ হয়না।
সুতরাং কেহ যদি সাক্ষীদের সামনে বলে যে সে আমার স্ত্রী আর আমি তার স্বামী,আর মহিলাটিও বলে যে সে আমার স্বামী আর আমি তার স্ত্রী,তাহলে বিবাহ শুদ্ধ হবেনা।
কেননা স্বীকারোক্তি বলা হয় যাহা আগে থেকে প্রমানিত, সেটি প্রকাশ করা,নতুন ভাবে কোনো কিছু হওয়া নয়।
(বাহরুর রায়েক-৩/৯০)

হেদায়া গ্রন্থে আছেঃ

النكاح ينعقد بالإيجاب والقبول بلفظين يعبر بهما عن الماضي لأن الصيغة وإن كانت للإخبار وضعا فقد جعلت للإنشاء شرعا دفعا للحاجة وينعقد بلفظين يعبر بأحدهما عن الماضي وبالآخر عن المستقبل مثل أن يقول زوجني فيقول زوجتك لأن هذا توكيل بالنكاح والواحد يتولى طرفي النكاح الھدایۃ، ج:1، ص:185، ط:دار احياء التراث العربي - بيروت - لبنان
সারমর্মঃ
বিবাহ ইজাব কবুল দ্বারা সম্পন্ন হয়,দুটির একটি অতিতকাকাল সূচক বাক্য হবে,আরেকটি বর্তমান কাল বুঝায় এমন বাক্য হতে হবে।

হেদায়া গ্রন্থে আছেঃ 
وینعقد بلفظ النکاح والتزویج والہبة والتملیک والصدقة )
সারমর্মঃ  
বিবাহ,তাযয়িজ,হিবা,তামলিক,সদকাহ এই জাতীয় বাক্য গুলি দ্বারা বিবাহ সম্পন্ন হয়।

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
এটা ইজাব কবুলের শব্দ নয়।  এতে ইজাব কবুল হয়না।

(০২)
"পালিয়ে বিয়ে করবো আচ্ছা বা ওকে বললো" 

এতে বিবাহ সংক্রান্ত কিছু হবেনা।

(০৩)
হ্যাঁ, প্রশ্নের উত্তর অনুযায়ী কোন ইজাব কবুল বা বিয়ে হয়নি।

(০৪)
কোনো সমস্যা নেই।
এক্ষেত্রে ইজাব কবুল হয়নি।

তাই এটি নিয়ে অহেতুক টেনশন না করার পরামর্শ থাকবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...