আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
206 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (30 points)
আসসালামু আলাইকুম।
১-ইতিকাফ অবস্থায় মোবাইল টাইম & এলার্মের জন্য অবশ্যই লাগবে।মুসহাফ থেকে তিলাওয়াত করলেও মোবাইল থেকেও তিলাওয়াত করি। কিংবা অন্য কোন কারনে,তাফসির দেখার জন্য মোবাইল দেখি,এতে কি ইতিকাফের সমস্যা হবে?
২-ইতিকাফের রুমেই ৪-৫ কদম হেটে মোবাইল চার্জে দিতে হবে এতে কি ইতিকাফ নষ্ট হয়ে যাবে?
৩-কথা বলার উদ্দেশ্য না,আম্মুকে সেহেরিতে ডেকে দেওয়ার উদ্দেশ্য কি কল দিতে পারবো এই অবস্থায়?

৪-যেহেতু ঘরেই ইতিকাফ,রুমে আম্মুদের আসা যাওয়া থাকবে,উনারা যদি টুকটাক কোন কথা বলেন আমার সাথে এতে কি আমার ইতিকাফ নষ্ট হয়ে যাবে?
৫-ইতিকাফ অবস্থায় বিকাশে গিয়ে সাদাকা করা যাবে?যাতে প্রতিদিনের সাদাকা থেকে বঞ্চিত না হয়।

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


ইতিকাফের সময়কালে মসজিদের সীমানার ভিতরে থাকবে, শরয়ী জরুরত ব্যতীত এক মুহুর্তের জন্য মসজিদের বাহিরে অবস্থান করবে না। কেননা ইতিকাফকারী যদি এক মুহুর্তের জন্য মসজিদের সীমানার বাহিরে চলে যায়, তাহলে তার ইতিকাফ ফাসিদ হয়ে যাবে।  

ইতিকাফ অবস্থায় ইতেকাফের স্থানে থেকে লোকদের সাথে প্রয়োজনে কথা বলা যায়, যেমন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কথা বলেছেন। 

নবী-সহধর্মিণী সফীয়্যাহ (রাযি.) বর্ণনা করেন যে,

حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ عَنْ الزُّهْرِيِّ قَالَ أَخْبَرَنِي عَلِيُّ بْنُ الْحُسَيْنِ أَنَّ صَفِيَّةَ زَوْجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَخْبَرَتْهُ أَنَّهَا جَاءَتْ إِلَى رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم تَزُورُهُ فِي اعْتِكَافِهِ فِي الْمَسْجِدِ فِي الْعَشْرِ الأَوَاخِرِ مِنْ رَمَضَانَ فَتَحَدَّثَتْ عِنْدَهُ سَاعَةً ثُمَّ قَامَتْ تَنْقَلِبُ فَقَامَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مَعَهَا يَقْلِبُهَا حَتَّى إِذَا بَلَغَتْ بَابَ الْمَسْجِدِ عِنْدَ بَابِ أُمِّ سَلَمَةَ مَرَّ رَجُلاَنِ مِنْ الأَنْصَارِ فَسَلَّمَا عَلَى رَسُولِ اللهِ فَقَالَ لَهُمَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَلَى رِسْلِكُمَا إِنَّمَا هِيَ صَفِيَّةُ بِنْتُ حُيَيٍّ فَقَالاَ سُبْحَانَ اللهِ يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَكَبُرَ عَلَيْهِمَا فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِنَّ الشَّيْطَانَ يَبْلُغُ مِنْ الإِنْسَانِ مَبْلَغَ الدَّمِ وَإِنِّي خَشِيتُ أَنْ يَقْذِفَ فِي قُلُوبِكُمَا شَيْئًا

একদা তিনি রমাযানের শেষ দশকে মসজিদে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর খিদমতে উপস্থিত হন। তখন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ই‘তিকাফরত ছিলেন। সাফিয়্যাহ তাঁর সঙ্গে কিছুক্ষণ কথাবার্তা বলেন। অতঃপর ফিরে যাবার জন্য উঠে দাঁড়ান। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে পৌঁছে দেয়ার উদ্দেশে উঠে দাঁড়ালেন। যখন তিনি (উম্মুল মু’মিনীন) উম্মু সালামাহ (রাযি.)-এর গৃহ সংলগ্ন মসজিদের দরজা পর্যন্ত পৌঁছলেন, তখন দু’জন আনসারী সেখান দিয়ে যাচ্ছিলেন। তাঁরা উভয়ে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে সালাম করলেন। তাঁদের দু’জনকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমরা দু’জন থাম। ইনি তো (আমার স্ত্রী সাফিয়্যাহ বিনতু হুয়ায়্যী (রাযি.)। এতে তাঁরা দু’জনে ‘সুবহানাল্লাহ হে আল্লাহর রাসূল’ বলে উঠলেন এবং তাঁরা বিব্রত বোধ করলেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ শয়তান মানুষের রক্তের শিরায় চলাচল করে। আমি ভয় করলাম যে, সে তোমাদের মনে সন্দেহের সৃষ্টি করতে পারে।( সহীহ বোখারী-২০৩৫)

আরো জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
(০১)
এতে ইতিকাফের কোনো সমস্যা হবেনা। 

(০২)
এক্ষেত্রেও ইতিকাফের কোনো সমস্যা হবেনা। 

(০৩)
হ্যাঁ, ইতিকাফের স্থানে থেকে আপনি আপনার আম্মুকে ফোন দিতে পারবেন।

(০৪)
এতে আপনার ইতিকাফ নষ্ট হয়ে যাবেনা।
তবে কথা বলার জন্য আপনি আপনার রুম হতে বের হবেননা।

(০৫)
ইতিকাফ অবস্থায় ইতিকাফের রুম থেকে বিকাশ এর মাধ্যমে সাদাকা করা যাবে।
সমস্যা নেই।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 293 views
...