আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
225 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (54 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ্
১.উস্তায আমি গতকাল বাদ আসর ইতিকাফ শুরু করি আলহামদুলিল্লাহ, কিন্তু সেহেরির সময় রুমের বাইরে ওযু করতে গিয়ে বাথরুমে থাকা অবস্থায় একদম ভুলে কথা বলে ফেলি৷ মনে পড়ার পর আর কোনো কথা বলিনি। আমার ইতিকাফ কি নষ্ট হয়ে গেছে? নষ্ট হয় গেলে কি আমি আজকে থেকে আবার ইতিকাফের নিয়্যাত করলে পূর্ণ সওয়া পাবো ইনশাআল্লাহ?
২.আমার বোনের এই মাসেই ইনশাআল্লাহ এসএসসি পরীক্ষা। আমি কি ইতিকাফে থাকা অবস্থায় ইতিকাফের রুমে বসে ওকে দুনিয়াবী পড়া পড়াতে পারবো?

২. আমার ইতিকাফের রুমে এসে কি আমার পরিবারের সদস্যরা আমার সাথে ইফতার করতে পারবে?

৩. আমি ইতিকাফের রুমে থেকে কি বাইরের কাউকে ডেকে কিছু চাইতে পারবো ইনশাআল্লাহ?  সেহেরিতে ডেকে দিতে পারবো?

৪. ইতিকাফে থাকা অবস্থায় গোসল এবং অবাঞ্চিত লোম কাটা যাবে?

৫.ইতিকাফে থাকা অবস্থায় আমার নানু কল দিয়েছেন, দুআ চায় এবং খুবই সংক্ষিপ্ত কথা হয় যার ৯০ ভাগই আখিরাত মুখী। এতে করে কি আমি পূর্ণ সওয়াব থেকে বঞ্চিত হওয়ার সম্ভাবনা আছে?

৬. ইতিকাফের রুমেই আমার সাথে কেউ থাকলে আমি যদি তাকে কম্বল বা কিছু এগিয়ে দিই তাতে কি ইতিকাফ ভঙ্গ হয়ে যাবে?

৭. ইতিকাফে থাকা অবস্থায় ইস্তিহাঞ্জায় গিয়ে প্রয়োজনীয় দুই একটা  কাপড় জাস্ট দ্রুত ধোয়া যাবে?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
 দুনিয়াবী সবকিছুকে পরিত্যাগ করে আখেরাতের বিষয় নিয়ে ব্যস্ত থাকাই ইতিকাফের মূল কাজ। তবে দুনিয়াবী কাজে মগ্ন হলে ইতিকাফ ফাসিদ হবে না। 

যদি আপনার পরীক্ষা সন্নিকটে হয়, তাহলে আপনি ইতিকাফে বসে দুনিয়াবী পড়াশোনা করতে পারবেন।এতেকরে ইতিকাফ নষ্ট হবে না।
الھندیۃ: (212/1، ط رشیدیہ)
ویلازم التلاوۃ والحدیث والعلم وتدریسہ وسیر النبی ﷺ والانبیاء علیھم السلام وأخبار الصالحین وکتابۃ امور الدین کذا فی فتح القدیر ولا بأس أن یتحدث بمالا إثم فیہ۔
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/16346

(২)
আপনার ইতিকাফ রুমে এসে আপনার পরিবারের সদস্যরা আপনার সাথে ইফতার করতে পারবে।

(৩)
আপনি ইতিকাফের রুমে বসে বাইরের কাউকে ডেকে কিছু চাইতে পারলেও না ডাকাই উত্তম। সেহেরিতে ডেকে দিতে পারবেন। ইতিকাফ স্থল থেকে বিনা জরুরতে বের হলেই কেবল ইতিকাফ ফাসিদ হবে।

(৪)
ইতিকাফে থাকা অবস্থায় ফরয গোসল করতে পারবেন।তবে সাধারণত ঠান্ডার জন্য যে গোসল করা হয়ে থাকে, সেরকম গোসল করতে পারবেন না। অবাঞ্চিত লোম কাটা যাবে।কেননা এটা শরয়ী জরুরত।

(৫)
ইতিকাফে থাকা অবস্থায় নানুর সাথে কথা বলার দ্বারা যদিও ইতিকাফ ফাসিদ হচ্ছে না, তথাপি এভাবে কথা না বলাই সর্বোত্তম।যেহেতু আখেরাতমুখী কথাবার্তা বলেছেন, তাই এদ্বারা আপনার সওয়াবে কোনো ঘাটতি হবে না, ইনশা'আল্লাহ।

(৬)
ইতিকাফের রুমে আপনার সাথে কেউ থাকলে, আপনি যদি তাকে কম্বল বা কিছু এগিয়ে দেনন, তাহলে এতেকরে ইতিকাফ ভঙ্গ হবে না।

(৭)
না, ধৌত করা যাবে না।তবে যদি ইতিকাফ স্থলে এনে ধৌত করেন, তাহলে ইতিকাফ ফাসিদ হবে না।নতুবা ইতিকাফ ফাসিদ হয়ে যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (54 points)
আসসালামু আলাইকুম উস্তায। 
উত্তর জানা খুব জরুরি। মেহেরবানি করে জানাবেন ইনশাআল্লাহ। 
by (597,330 points)
উত্তর দেয়া হয়েছে।
by (54 points)
উস্তায আমার পড়াশোনার কথা বলিনি, আমার বোনকে পড়ানোর কথা বলেছি। আমার বোনকে কি পড়াতে পারবো ইনশাআল্লাহ? 

আর উস্তায প্রথম পয়েন্টে ইস্তেহাঞ্জায় গিয়ে বাথরুমে থাকা অবস্থায়ই কথা বলে ফেলি একদম ভুলে এতে কি ইতেকাফ ফাসিদ হয়ে গেছে?
by (597,330 points)
ইতিকাফ থাকাকালিন সময়ে পড়াতে পারবেন ।

ইস্তেঞ্জায় গিয়ে ভুলে বাথরুমে থাকা অবস্থায়ই কথা বলে ফেললে ইতিকাফ ফাসিদ হয়ে যাবে। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

+3 votes
1 answer 297 views
0 votes
1 answer 181 views
0 votes
1 answer 139 views
0 votes
1 answer 163 views
...