জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
আত্মীয়তা সম্পর্ক ছিন্ন করা নাজায়েজ,এক্ষেত্রে রাসুলুল্লাহ সাঃ অনেক কঠোরভাষা ব্যবহার করেছেন।
.
হাদীস শরীফে এসেছে
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، يَبْلُغُ بِهِ النَّبِيَّ صلي الله عليه وسلم قَالَ " لَا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ قَاطِعُ رَحِمٍ " . - صحيح
জুবাইর ইবনু মুত্বঈম (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী জান্নাতে প্রবেশ করবে না।
.(বুখারী ৫৯৮৪, মুসলিম ১৯-(২৫৫৫), আবূ দাঊদ ১৬৯৬, তিরমিযী ১৯০৯, সহীহুল জামি‘ ৭৬৭১, সহীহ আত্ তারগীব ওয়াত্ তারহীব ২৫৪০ সহীহ আল আদাবুল মুফরাদ ৪৫, মুসান্নাফ ‘আবদুর রাযযাক ২০২৩৪, মুসনাদুল বাযযার ৩৪০৫, আহমাদ ১৬৭৩২, মুসনাদে আবূ ইয়া‘লা ৭৩৯২, সহীহ ইবনু হিব্বান ৪৫৪, শু‘আবুল ঈমান ৭৯৫২, ‘ত্ববারানী’র আল মু‘জামুল কাবীর ১৪৯১, আর মু‘জামুল আওসাত্ব ৯২৮৭।)
.
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যদি এর দ্বারা আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন না হয়,এবং মা বাবার হক,তাদের আদেশ মানা হয়,তাহলে জায়েজ আছে।
প্রশ্নে উল্লেখিত বিষয়ের ভিত্তিতে এটি আপনার জন্য ঠিক হচ্ছে।
,
(০২)
এতে নামাজ হয়ে যাবে,নামাজের কোনো সমস্যা হবেনা।
তবে এক্ষেত্রে কিছু ইসলামী স্কলারদের ভিন্ন মত রয়েছে।
তাই এভাবে অনার্থক সেজদায়ে সাহু আদায় করা ঠিক নয়।
,
ওয়াসওয়াসে কে মন থেকে একেবাড়ে ঝেড়ে ফেলুন।
আল্লাহর কাছে পানাহ চান।
বেশি বেশি
لا حول ولا قوة إلا بالله العلي العظيم
পড়বেন।
,
ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছেঃ
وَلَوْ ظَنَّ الْإِمَامُ السَّهْوَ فَسَجَدَ لَهُ فَتَابَعَهُ فَبَانَ أَنْ لَا سَهْوَ فَالْأَشْبَهُ الْفَسَادُ لِاقْتِدَائِهِ فِي مَوْضِعِ الِانْفِرَادِ.
(قَوْلُهُ: فَالْأَشْبَهُ الْفَسَادُ) وَفِي الْفَيْضِ: وَقِيلَ لَا تَفْسُدُ وَبِهِ يُفْتِيَ. وَفِي الْبَحْرِ عَنْ الظَّهِيرِيَّةِ قَالَ الْفَقِيهُ أَبُو اللَّيْثِ: فِي زَمَانِنَا لَا تَفْسُدُ لِأَنَّ الْجَهْلَ فِي الْقُرَّاءِ غَالِبٌ. اهـ. وَاَللَّهُ أَعْلَمُ.
( كتاب الصلاة، باب الإمامة، فُرُوعٌ اقْتِدَاءُ مُتَنَفِّلٍ بِمُتَنَفِّلٍ وَمَنْ يَرَى الْوِتْرَ وَاجِبًا بِمَنْ يَرَاهُ سُنَّةً، ١ / ٥٩٩، ط: دار الفكر)
সারমর্মঃ সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব না হওয়া সত্ত্বেও কেহ যদি আদায় করে,তাহলে তার নামাজ ফাসেদ হবেনা।
(০৩)
বিবাহের আগ পর্যন্ত বাবার উপর তার ভরনপোষণ এর খরচ দেওয়া ওয়াজিব থাকবে।
আরো জানুনঃ
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে পুত্রবধূর ভরনপোষণ এর দায়ীত্ব আপনার পিতার উপর নয়,আপনার ভরনপোষণ আপনার পিতার উপর ওয়াজিব।
এটি আদায় না করলে আল্লাহর কাছে কঠিন জবাবদিহিতার সম্মুখীন হতে হবে।
,
(০৪)
প্রথমে আমরা একটি আয়াত আর একটি মাসয়ালা জেনে নেই।
★কোরআনে কারিমে মহান আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘আর আল্লাহ তোমাদের পোষ্যপুত্রদের তোমাদের পুত্র করেননি, এগুলো তোমাদের মুখের কথা মাত্র। আল্লাহ সঠিক কথা বলেন এবং সরল পথ প্রদর্শন করেন। তোমরা তাদের পিতৃপরিচয়ে ডাকো। এটাই আল্লাহর কাছে ন্যায়সংগত বিধান। যদি তোমরা তাদের পিতৃপরিচয় না জানো, তবে তারা তোমাদের ধর্মীয় ভাই ও বন্ধুরূপে গণ্য হবে।’ (সুরা আহযাব : ৪-৫)
★লালন-পালনকারীর মৃত্যুর পর ওই সন্তান উত্তরাধিকার হিসেবে তার সম্পত্তি থেকে কোনো অংশ পাবে না। লালন-পালনকারীরাও ওই সন্তানের ওয়ারিশ হবে না। হ্যাঁ, লালনকারী জীবদ্দশায়ই পালক সন্তানকে সম্পত্তি থেকে দান করতে পারবেন বা মৃত্যুর পর তাকে নির্দিষ্ট পরিমাণ সম্পদ দেওয়ার অসিয়ত করে যেতে পারবেন। শরিয়তের বিধান অনুযায়ী এই অসিয়ত কেবল এক-তৃতীয়াংশ সম্পদ থেকেই কার্যকর হবে। অনুরূপ সন্তানের আসল মা-বাবা ও আত্মীয়স্বজন থেকে অবশ্যই সে উত্তরাধিকার সম্পত্তির অধিকারী হবে। তাকে পালক দেওয়ায় তার উত্তরাধিকার সম্পত্তির অধিকার খর্ব হয়নি। (তাকমিলাতু ফাতহিল কাদির : ১০/১২২)
★সুতরাং ইসলামী বিধান অনুযায়ী প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরত ""বাবা যদি ছেলের বউকে মেয়ে হিসেবে গ্রহণ করেছি বলে ঘোষণা দেয়, তাহলে শরীয়ত অনুযায়ী সে মেয়ের অধিকার পাবেনা।
সে কোনো ভাবেই মেয়ের স্বীকৃতি পাবনা।
(০৫)
এসব প্রয়োজনের খরচ স্বামীর উপরেই ওয়াজিব।
আমাদের দেশে নিজ পিতা এসব খরচ আদায় করে।
উহা ইহসান মূলক।