আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
273 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (4 points)
edited by
( বেশি হয়ে গেছে অনেক দিন থেকে করবো ভাবছিলাম, আর করবো না ইনশাআল্লাহ একটু কষ্ট  করে জবাব দিয়ে শায়েখ, আপনার জন্য দোয়া করবো অনেক)

১. কাওকে যদি অন্যজন মজা করে জিগ্যেস করে তোমার কি তোমার বউ এর সাথে ব্রেকাপ হয়ে গেছে, সে।যদি মজা করে বলে, হ্যা। তবে কি তাদের সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যাবে?

২. এইটা একজনকে জিগ্যেস করেছিলাম উনি বলেছেন স্বামীর তালা* এর নিয়ত থাকলে হবে। না হলে হবেনা। সেই মানুষকে একজন এমন প্রশ্ন করে কিন্তু সে কনফিউজড হ্যা বলেছিলো না কি হেসে চুপ থেকে ছিলো পরিষ্কার মনে পরছে না আর হ্যা বললেও তার মনে এটা তো সায় দিচ্ছে না সে তালা* এর নিয়তে বলবে অযথা এই কাজে কেনো কতে যাবে। তার মন বলছে মজা করেই বলেছে।
তাদের কি বিবাহে সমস্যা হবে?

৩. কেও যদি তার বউকে এমন কোনো ছবি বা চলমান ছবি পাঠায় যেখানে রাগ বুঝানো হচ্ছে, মূলত সে রাগে আছে তা বুঝানোর জন্য সেই ছবি গুলো বা চলমান ছবিগুলো পাঠিয়েছে।
এই ছবি গুলোর দুই টি চরিত্রে নাম অনুযায়ী একদিন স্বামী তার বউকে বলেছিলো এই ছবিগুলোর ছেলেটা আমি মেয়েটার তুমি। এখন এই ছবি গুলোতো কোরিয়ান বা চাইনিজ ভাষায় কি কি লেখা, এখন ভয় হচ্ছে এগুলোতে যদি অচেনা ভাষায় "তালা*" বা " কেনায়া বাক্য" (যেমন দূর হও,বাই বাই,বিদায়") ইত্যাদি থাকে আর তা যদি সে তার বউকে না জেনে নিয়মিত দেওয়ার ফলে কি তাদের বিয়ে নষ্ট হতে পারে?,( উল্লেখ্য কেনায়া থাকলেও তার তো কখনোই নিয়ত ছিলো এগুলো দিয়ে তালা* দেওয়াড তা কোনো ভাবেই মনে হচ্ছে না)

৪. কয়েকটার ভাষায় কি লেখা তা খুজে বের করেছে, সব গুলো তো কষ্ট কর, আর এভাবে আরোও দিয়েছে কি না জানিনা, এগুলো কি সব খুজে অর্থ বের করা জরুরী?সব গুলোর অর্থ বের করতে কি করতে হবে তাওতো বুঝতেছেনা

৫. মনে মনে ইলা এর শপথ  করলে কি ইলা সংগঠিত হয়ে যায়?

৬. মুখ গোল মাথা ন্যাড়া এমন কাওকে দেখলে হাসি উটলে বা মজা করলে কি ইমান চলে যাবে,? ন্যাড়া মাথার কাওকে নিয়ে মজা করলে ইমান চলে যাবে?

৭. কেও যদি কোনো কাজের জন্য ফোন করার পর, সে যদি তসবিহ পরার কারণে ফোন রিসিভ না করে। তার এই কাজে বিরক্ত হলে,রাগ উটলে কি ইমান চলে যাবে?

৮. আজকে একজনকে একটা কাজে ফোন দেই কয়েকবার না পেয়ে তার কাছে গেলে দেখি সে তসবীহ পরার ফলে ফোন ধরছে না,তখন একটা হাসি উঠে ঠোটে এটা তার এই কাজের প্রতি বিদ্রুপের ফলে হলো কিনা বুঝতেছিনা,  এমনিতেতো কোনো ধর্মীয় কাজের প্রতি কোনো বিদ্বেশ বিদ্রুপের প্রশ্নই আস না, আমি সবসময় কাওকে এবাদত করতে দেখলে খুশি হই নিজে ইন্সপায়ার হই। তাও এই হাসিটার জন্য মনে মনে সন্দেহ হচ্ছে কুফর হলো কি না, সে অপেক্ষা করতে বলায় তাকে শেষ শেষ নি বলে কিছু তাগাদাও দিয়েছিলাম,পরে একজন এসে বললো এখনো এই কাজ হয় নি, তখন বলেছিলাম" ভাই তাসবী পরতেছিলেন" বা "ভাই এর কতো।কাজ " এরুপ একটা কথা মনপও পরছে না, মনে মনে বিরক্ত বোধের উদয় হলেও প্রকাশ করিনি, চেষ্টা করেছি ধারনা পজেটিভ রাখতে যে উনার হয়তো মনযোগ নষ্ট হয় ইত্যাদি,  এই হাসির ফলে কি কুফর হবে? (ধর্মীয় কাজ করছে এর ফলে হাসছি এটা তো নিজেই বিশ্বাস  করছি না না, ধর্মীয় কাজ আমার কাছে মূল্যবান)

৯.আমার নামাজে শুরুর সময় ও তাশাহুদের আগে  আল্লাহ আকবার বলার পরপর প্রায়শই বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম বলার স্বভাব,  এটা জামাতে নামাজের সময় ও হয়ে যায়,, তাকবিরে তাহরিমার সময়, "আল্লাহ আকবার,বিসমিল্লাহির রাহমানির রহিম" পরে দাড়িয়ে থাকি এর ফলে কি নামাজে সমস্যা হতে পারে?

১০. কেও যদি ভাবে যে কোরআন হাতে নিয়ে বলছে এটা আল্লাহর কালাম,এটার পর আবার ভাবলো এটা তো প্রিন্ট কপি এটাকে কি কালাম বলা ঠিক হলো, পরে ভাবলো এভাবে বলা যায় কি না জেনে নিবে,এটা বলে মন থেকে বাদ দিলো এর ফলে কি কুফর হবে?

১১.কেও যদি তার ভাবনায় এমন কোনো কথা ভেবে ফেলে যা কুফর কিনা সে কনফিউজড,  পরে যদি তার মন থেকে এই ভাবনা স্বরানের জন্য ভাবে পরে জেনে নিবো,(মূলত লক্ষ্য মন থেকে গেলে আর এটা নিয়ে ভাববে না) এর ফলে কি তার কুফর হবে?

১২. কোনো হিন্দু কে কেও একটা বিষয়ে প্রসংসা করতে  গিয়ে বলে, "অমুক ঠিক আছে" এতে কি কুফর হবে.?

১৩. অমুসলিমদের যাকাত দেওয়া যায় কিনা এটা গুগলে খোজার পর একটা লেখা সামনে আসে যাতে একটা যুক্তি দিয়ে বলা ছিলো অমুসলিমদে ও যাকাত দেওয়া যাবে, এটা দেখে কেও যদি ক্ষনিকের জন্য বিশ্বাস করে, এর পরপরেই, হক পন্থী আলেমদের  ভিডিও এবং লেখা দেখে তার প্রথম জানা ভুল ছিলো এর ফলে কি তার কুফর হবে?

১৪. বউকে, " গার্লফন্ড" "বন্ধু" এগুলো বলে পরিচয় দেওয়া বা মজা করে জড় পদার্থের নামে ডাকা যেমন তুমি আমার__ এভাবে বললে কি সমস্যা হয়?

1 Answer

0 votes
by (559,350 points)
edited by
জবাবঃ- 
بسم الله الرحمن الرحيم 


তালাক এটি খুবই মারাত্মক একটি শব্দ। নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।

(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।) 

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” ثَلَاثٌ جِدُّهُنَّ جِدٌّ وَهَزْلُهُنَّ جِدٌّ: الطَّلَاقُ، وَالنِّكَاحُ، وَالرَّجْعَةُ “

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, তিনি বিষয় এমন যে, ইচ্ছেকৃত করলে ইচ্ছেকৃত এবং ঠাট্টা করে করলেও ইচ্ছেকৃত বলে ধর্তব্য হয়। তা হল, তালাক, বিবাহ এবং তালাকে রেজয়ীপ্রাপ্তা স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা। {সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২০৩৯, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২১৯৪}

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
প্রশ্নের বিবরণ মতে তালাক হবেনা। 

(০২)
তাদের বিবাহে সমস্যা হবেনা। 

(০৩)
এগুলোতে যদি অচেনা ভাষায় "তালাক" বা " কেনায়া বাক্য" (যেমন দূর হও,বাই বাই,বিদায়") ইত্যাদি থাকে আর তা যদি সে তার বউকে না জেনে নিয়মিত দেয়,তাহলে দেওয়ার ফলে তাদের বিয়ে নষ্ট হতে পারেনা।

(০৪)
এগুলো সব খুজে অর্থ বের করা জরুরী নয়।

(০৫)
এতে ইলা সংগঠিত হয়ে যায়না।

(০৬)
এতে ঈমান চলে যাবেনা। 

(০৭)
না,এতে ঈমান চলে যাবেনা।

(০৮)
এই হাসির ফলে কুফর হবেনা।

(০৯)
এতে নামাজ হয়ে যাবে।

তবে এভাবে তাশাহুদের পূর্ব বিসমিল্লাহ না পড়াই উত্তম।

(১০)
এর ফলে কুফর হবেনা।

(১১)
এর ফলে তার কুফর হবেনা।

(১২)
এতে কুফর হবেনা। 


(১৩)
এর ফলে তার কুফরি হবেনা।

(১৪)
এভাবে বললে সমস্যা হবেনা।
তবে স্ত্রী যদি এতে রাগ করে বা কষ্ট পায়,সেক্ষেত্রে গুনাহ হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...