( বেশি হয়ে গেছে অনেক দিন থেকে করবো ভাবছিলাম, আর করবো না ইনশাআল্লাহ একটু কষ্ট করে জবাব দিয়ে শায়েখ, আপনার জন্য দোয়া করবো অনেক)
১. কাওকে যদি অন্যজন মজা করে জিগ্যেস করে তোমার কি তোমার বউ এর সাথে ব্রেকাপ হয়ে গেছে, সে।যদি মজা করে বলে, হ্যা। তবে কি তাদের সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যাবে?
২. এইটা একজনকে জিগ্যেস করেছিলাম উনি বলেছেন স্বামীর তালা* এর নিয়ত থাকলে হবে। না হলে হবেনা। সেই মানুষকে একজন এমন প্রশ্ন করে কিন্তু সে কনফিউজড হ্যা বলেছিলো না কি হেসে চুপ থেকে ছিলো পরিষ্কার মনে পরছে না আর হ্যা বললেও তার মনে এটা তো সায় দিচ্ছে না সে তালা* এর নিয়তে বলবে অযথা এই কাজে কেনো কতে যাবে। তার মন বলছে মজা করেই বলেছে।
তাদের কি বিবাহে সমস্যা হবে?
৩. কেও যদি তার বউকে এমন কোনো ছবি বা চলমান ছবি পাঠায় যেখানে রাগ বুঝানো হচ্ছে, মূলত সে রাগে আছে তা বুঝানোর জন্য সেই ছবি গুলো বা চলমান ছবিগুলো পাঠিয়েছে।
এই ছবি গুলোর দুই টি চরিত্রে নাম অনুযায়ী একদিন স্বামী তার বউকে বলেছিলো এই ছবিগুলোর ছেলেটা আমি মেয়েটার তুমি। এখন এই ছবি গুলোতো কোরিয়ান বা চাইনিজ ভাষায় কি কি লেখা, এখন ভয় হচ্ছে এগুলোতে যদি অচেনা ভাষায় "তালা*" বা " কেনায়া বাক্য" (যেমন দূর হও,বাই বাই,বিদায়") ইত্যাদি থাকে আর তা যদি সে তার বউকে না জেনে নিয়মিত দেওয়ার ফলে কি তাদের বিয়ে নষ্ট হতে পারে?,( উল্লেখ্য কেনায়া থাকলেও তার তো কখনোই নিয়ত ছিলো এগুলো দিয়ে তালা* দেওয়াড তা কোনো ভাবেই মনে হচ্ছে না)
৪. কয়েকটার ভাষায় কি লেখা তা খুজে বের করেছে, সব গুলো তো কষ্ট কর, আর এভাবে আরোও দিয়েছে কি না জানিনা, এগুলো কি সব খুজে অর্থ বের করা জরুরী?সব গুলোর অর্থ বের করতে কি করতে হবে তাওতো বুঝতেছেনা
৫. মনে মনে ইলা এর শপথ করলে কি ইলা সংগঠিত হয়ে যায়?
৬. মুখ গোল মাথা ন্যাড়া এমন কাওকে দেখলে হাসি উটলে বা মজা করলে কি ইমান চলে যাবে,? ন্যাড়া মাথার কাওকে নিয়ে মজা করলে ইমান চলে যাবে?
৭. কেও যদি কোনো কাজের জন্য ফোন করার পর, সে যদি তসবিহ পরার কারণে ফোন রিসিভ না করে। তার এই কাজে বিরক্ত হলে,রাগ উটলে কি ইমান চলে যাবে?
৮. আজকে একজনকে একটা কাজে ফোন দেই কয়েকবার না পেয়ে তার কাছে গেলে দেখি সে তসবীহ পরার ফলে ফোন ধরছে না,তখন একটা হাসি উঠে ঠোটে এটা তার এই কাজের প্রতি বিদ্রুপের ফলে হলো কিনা বুঝতেছিনা, এমনিতেতো কোনো ধর্মীয় কাজের প্রতি কোনো বিদ্বেশ বিদ্রুপের প্রশ্নই আস না, আমি সবসময় কাওকে এবাদত করতে দেখলে খুশি হই নিজে ইন্সপায়ার হই। তাও এই হাসিটার জন্য মনে মনে সন্দেহ হচ্ছে কুফর হলো কি না, সে অপেক্ষা করতে বলায় তাকে শেষ শেষ নি বলে কিছু তাগাদাও দিয়েছিলাম,পরে একজন এসে বললো এখনো এই কাজ হয় নি, তখন বলেছিলাম" ভাই তাসবী পরতেছিলেন" বা "ভাই এর কতো।কাজ " এরুপ একটা কথা মনপও পরছে না, মনে মনে বিরক্ত বোধের উদয় হলেও প্রকাশ করিনি, চেষ্টা করেছি ধারনা পজেটিভ রাখতে যে উনার হয়তো মনযোগ নষ্ট হয় ইত্যাদি, এই হাসির ফলে কি কুফর হবে? (ধর্মীয় কাজ করছে এর ফলে হাসছি এটা তো নিজেই বিশ্বাস করছি না না, ধর্মীয় কাজ আমার কাছে মূল্যবান)
৯.আমার নামাজে শুরুর সময় ও তাশাহুদের আগে আল্লাহ আকবার বলার পরপর প্রায়শই বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম বলার স্বভাব, এটা জামাতে নামাজের সময় ও হয়ে যায়,, তাকবিরে তাহরিমার সময়, "আল্লাহ আকবার,বিসমিল্লাহির রাহমানির রহিম" পরে দাড়িয়ে থাকি এর ফলে কি নামাজে সমস্যা হতে পারে?
১০. কেও যদি ভাবে যে কোরআন হাতে নিয়ে বলছে এটা আল্লাহর কালাম,এটার পর আবার ভাবলো এটা তো প্রিন্ট কপি এটাকে কি কালাম বলা ঠিক হলো, পরে ভাবলো এভাবে বলা যায় কি না জেনে নিবে,এটা বলে মন থেকে বাদ দিলো এর ফলে কি কুফর হবে?
১১.কেও যদি তার ভাবনায় এমন কোনো কথা ভেবে ফেলে যা কুফর কিনা সে কনফিউজড, পরে যদি তার মন থেকে এই ভাবনা স্বরানের জন্য ভাবে পরে জেনে নিবো,(মূলত লক্ষ্য মন থেকে গেলে আর এটা নিয়ে ভাববে না) এর ফলে কি তার কুফর হবে?
১২. কোনো হিন্দু কে কেও একটা বিষয়ে প্রসংসা করতে গিয়ে বলে, "অমুক ঠিক আছে" এতে কি কুফর হবে.?
১৩. অমুসলিমদের যাকাত দেওয়া যায় কিনা এটা গুগলে খোজার পর একটা লেখা সামনে আসে যাতে একটা যুক্তি দিয়ে বলা ছিলো অমুসলিমদে ও যাকাত দেওয়া যাবে, এটা দেখে কেও যদি ক্ষনিকের জন্য বিশ্বাস করে, এর পরপরেই, হক পন্থী আলেমদের ভিডিও এবং লেখা দেখে তার প্রথম জানা ভুল ছিলো এর ফলে কি তার কুফর হবে?
১৪. বউকে, " গার্লফন্ড" "বন্ধু" এগুলো বলে পরিচয় দেওয়া বা মজা করে জড় পদার্থের নামে ডাকা যেমন তুমি আমার__ এভাবে বললে কি সমস্যা হয়?