আসসালামু আলাইকুম উস্তাদ।
আমি আজকে সকালে একটা স্বপ্ন দেখেছি।আমার এক দাদু,যিনি সুদের সাথে জড়িত।তিনি আমাকে প্রস্তাব দিয়েছেন যে,“আমি যদি তোরে হজ্ব করতে সাথে নিয়ে যাই,তাহলে কী যাবি?” এরকম কিছুটা।আমি স্বপ্নে দেখেছি যে আমি খুব খুশি মনে উনার সাথে রওনা দিয়েছি।এবং পথে কোথাও ফোনে আমার আব্বুর সাথে কথা বলার সময় ই আমার ঘুম ভেঙে যায়।
ঘুম ভাঙার পর থেকে অস্থির অস্থির লেগেছে কিছুক্ষণ।মনে হচ্ছে খালি আমি কেন পাসপোর্ট বানাতে দিচ্ছি না!অন্তরে তাড়া লেগেছিলো কিছু সময়ের জন্য।এখন যদিও একটু কমে গেছে।
উস্তাদ আমার আর্থিক কোনো সামর্থ্য ই নাই যে আল্লাহর ঘরে যাবো।কিন্তু মনে ইচ্ছা বিরাট।আমার সামর্থ্য আছে পাসপোর্ট বানানোর।এবং আমি আমার মাহরামের সাথে আলোচনা ও করতেছিলাম যেন রোজা শেষ হলেই উনি আমাদের পাসপোর্ট বানাতে দেন।আমার কাছে ১১ হাজার টাকা জমা আছে।আমি উনাকে বলেছিলাম আমার এই জমানো ১১ হাজার টাকা দিয়েই আপাতত পাসপোর্ট টা বানিয়ে রাখতে।বাকী টা পরে দেখা যাবে,যার ঘরে যাবো উনি ই ব্যবস্থা করে দেবেন।
উস্তাদ আমাকে একটু বলবেন কী দয়া করে,যে এই স্বপ্নের মানে কী আসলে।এটা কী কোনোভাবে কোনো সাইন যে আমি আসলেই বাইতুল্লাহ তে যেতে পারবো? আমার কাছে তো কোনো টাকা পয়সা নাই, পাসপোর্ট বানিয়ে ফেললে আর কোনো টাকা ই থাকবে না।কিন্তু আল্লাহ চাইলে তো সব ই সম্ভব।
আমার তাহলে কী করা উচিৎ? কীভাবে জীবন চালানো উচিৎ হবে?আমি কী দান সাদাকাহ বাড়িয়ে দেবো?আমি কী আসলেই যেতে পারবো ওস্তাদ? আমার খুব অশান্তি লাগতেছে অন্তরে।
এর আগেও আমি দু একবার বাইতুল্লাহ যে যাওয়া নিয়ে স্বপ্নে দেখেছি।আমি যাচ্ছি তা না।তবে একবার স্বপ্ন দেখেছিলাম, কেউ একজন আমাকে খুব সম্ভবত নিজের জিনিসপত্র গুছিয়ে প্রস্তুতি নেওয়ার কথা বলছে।তাকে আমি জিজ্ঞেস করলাম, এয়ারপোর্টে গিয়ে গোসল করা যাবে কি না।কারণ প্লেনে থাকাকালীন সময়েই তো মনে হয় ইহরাম পড়তে হয়।
এর পরেও এমন আবছা একটা স্বপ্ন দেখেছিলাম,আমি বাইতুল্লাহ তে যাচ্ছি বা যাবো এমন কিছু একটা।
এক বোন ও আমাকে নিয়ে স্বপ্নে দেখেছেন,কোন এক অপরিচিত ভাই নাকি আমার বাইতুল্লাহতে যাওয়ার এতো ইচ্ছা দেখে আমাকে নিয়ে গেছেন।
আমি ভেবে পাচ্ছিনা উস্তাদ,আল্লাহ কী আমাকে কোনো পজিটিভ সাইন দিচ্ছেন?আমার কীভাবে প্রস্তুতি নেওয়া উচিৎ তাহলে?কী করা উচিৎ। বুঝতেছিনা কিছুই।আমাকে প্লিজ একটু স্বান্তনা দেন উস্তাদ।মন এতো অস্থির হয়ে আছে!
২.উস্তাদ ফরজ,সুন্নত নামাজে সিজদাহ্ তে দু'আ করা যায় না তা তো জানা ছিলো।কিন্তু ইদানীং শুনতেছি নফল নামাজেও নাকি সিজদাহ্ তে বাংলা দু'আ করা যায় না।কিন্তু উস্তাদ আমরা তো আরবী তে সব দু'আ পারি না।তাছাড়া তাহাজ্জুদ বা নরমালি দুই রাকাআত নফল নামাজ পড়ে সিজদাহ্ তে গিয়ে আল্লাহর কাছে দু'আ করার যেই শান্তি,এই শান্তি কী হারিয়ে ফেলবো উস্তাদ?নফল নামাজেও কী সিজদাহ্ তে গিয়ে বাংলা তে একটু আল্লাহর সাথে কথা বলতে পারবো না??
নফল নামাজেও বলা যাবে না এটা শুনলাম কারো কারোর কাছে।এটা শুনে তো মনে হচ্ছে দুনিয়া ই সংকীর্ণ হয়ে গেছে।দু'আ করার সব সুযোগ, শান্তি সব বুঝি হারিয়ে ফেললাম উস্তাদ।আমি সিজদাহ তে বাংলায় দু'আ করতে চাই,নফল স্বলাত কী এইজন্য হবে না?
উস্তাদ নামাজের সালাম ফিরানোর পরে আবার যদি আল্লাহু আকবার বলে সিজদাহ্ তে গিয়ে দু'আ করা হয়,তাহলে এরূপ টা কী করা যাবে?? এটা কে সুন্নত বা নামাজের কোনো অংশ মনে না করে,এমনি তেই যদি কেউ সিজদাহ্ দিয়ে আল্লাহ কে বলে কিছু,তাহলে কী গুনাহ হবে?কেউ কেউ বললো,নামাজ ছাড়া এভাবে সিজদাহ্ নাকি দেওয়া যায় না?
যদি একটু গুছিয়ে বলতেন এই ব্যাপারে উস্তাদ।অনেকেই বিষয় গুলো নিয়ে খুব কনফিউজড।