আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
175 views
in পবিত্রতা (Purity) by (7 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়াবারকাতুহ।
আমার গত মাসের ১৭ তারিখ হায়েযের ডেট ছিলো কিন্তু ১৬ তারিখ রাতেহায়েজ শুরু হয়ে ১৮ তারিখ সকালে বন্ধ হয়ে যায় অর্থাৎ ইস্তাহাযা ছিলো দুইদিন প্রায়।
তারপর ৮ রমাদ্বনে আবার হায়েয আসে কিন্তু ব্লাডের চেয়ে সাদা স্রাব পরিমাণ বেশি আসায় এবং তিনদিন এ বন্ধ হতে পারে ভেবে  আমি ইস্তিহাযার মতো করেই সলাত কুরআন রোজা কন্টিনিউ করতেছি। যেহেতু সারাদিনে দু এক বার একটু ব্লাড দেখা দিচ্ছে। আমি এভাবে ৮-১২ এই ৫ টা রোজা করেছি। আজ ব্লাড হায়েযের মতে কিছুটা গাঢ়। ১৯,২০ সালে দুইবছর রমাদ্বনে আমার ১৫একবার  আরেকবার ২১ দিন ইস্তেহাযা ছিলো। আমি এখন সন্দিহান আমার ১০ দিন + হবে কিনা মানে ইস্তিহাযা কিনা?
আমার প্রশ্ন :

১। আমার পিরিয়ডের ডেট পার হয়ে তেরো দিন পরে এ হায়েয  শুরু হয়েছে।( মাঝে দুইদিন ইস্তিহাযা ছিলো)
আমি যে রোজা গুলো করেছি এগুলো কি কাজ্বা করতে হবে?  কুরআন নামাজ এর জন্য গুনাহ হয়েছে কিনা যেহেতু ইস্তেহাযা ভেবেছি।
২. আমি কি হায়েয হিসেব করে ১০ দিন অপেক্ষা করবো? রোজা নামাজের জন্য। নাকি রোজা নামাজ কন্টিনিউ রাখবো দশ + দিন ইস্তিহাযা হবে ভেবে। জানতে চাই।
জাযাকুমুল্লহু

1 Answer

0 votes
by (566,280 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


https://ifatwa.info/40252/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছে, 
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী হায়েযের সর্বনিম্ন সময়সীমা হলো ৩ তিন,আর সর্বোচ্ছ সময়সীমা ১০দিন।
এ ১০দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে। (বেহেশতী জেওর-১/২০৬)  

হাদীস শরীফে এসেছে   
أقل الحیض للجاریۃ البکر والثیب ثلاثۃ أیام ولیالیہا وأکثرہ عشرۃ أیام
دار قطني، السنن، 1: 219، رقم: 61
রাসুল সাঃ বলেন  মহিলাদের হায়েজের সর্বনিম্ন সীমা হলো ৩ দিন ৩ রাত,সর্বোচ্চ সীমা হলো ১০ দিন ১০ রাত।

হায়েজের দিন গুলোতে যেই কালারেরই রক্ত হোক,সেটি হায়েজের রক্ত বলেই গন্য হবে। 
উক্ত সময় নামাজ রোযা ইত্যাদি আদায় করা যাবেনা।
(কিতাবুল ফাতওয়া ২/৭৬)

তবে স্পষ্ট সাদা কালারের কিছু বের হলে সেটাকে হায়েজ বলা যাবেনা।
(ফাতাওয়ায়ে হক্কানিয়াহ ২/৮৩৩)

উম্মে আলক্বামাহ তথা মার্জনা (مَوْلاَةِ عَائِشَةَ) হইতে বর্ণিত,

عن أم علقمة أَنَّهَا قَالَتْ : " كَانَ النِّسَاءُ يَبْعَثْنَ إِلَى عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ بِالدُّرْجَةِ فِيهَا الْكُرْسُفُ فِيهِ الصُّفْرَةُ مِنْ دَمِ الْحَيْضَةِ يَسْأَلْنَهَا عَنْ الصَّلَاةِ فَتَقُولُ لَهُنَّ لَا تَعْجَلْنَ حَتَّى تَرَيْنَ الْقَصَّةَ الْبَيْضَاءَ تُرِيدُ بِذَلِكَ الطُّهْرَ مِنْ الْحَيْضَةِ "

তিনি বলেনঃ (ঋতুমতী) স্ত্রীলোকেরা আয়েশা (রাঃ)-এর নিকট ঝোলা বা ডিবা (دُرْجَة) পাঠাইতেন, যাহাতে নেকড়া বা তুলা (كُرْسُفْ) থাকিত। উহাতে পাণ্ডুবৰ্ণ ঋতুর রক্ত লাগিয়া থাকিত। তাহারা এই অবস্থায় নামায পড়া সম্পর্কে তাহার নিকট জানিতে চাহিতেন। তিনি [আয়েশা (রাঃ)] তাহাদিগকে বলিতেনঃ তাড়াহুড়া করিও না, যতক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণ সাদা (বর্ণ) দেখিতে না পাও। তিনি ইহা দ্বারা ঋতু হইতে পবিত্রতা (طُهْر) বুঝাইতেন।(মুয়াত্তা মালিক-১২৭)
,
أن النساء کن یبعثن بالکرسف إلی عائشۃ رضی اللہ تعالیٰ عنھا فکانت تقول : لا حتی ترین القصۃ البیضاء‘‘ ( المؤطأ للإمام مالک : ۱/۵۹۱ ،  : مصنف ابن عبد الرزاق، حدیث نمبر : ۱۱۵۹ )
সারমর্মঃ আয়েশা সিদ্দিকা রাঃ সেই সমস্ত মহিলাদের বলিতেনঃ তাড়াহুড়া করিও না, যতক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণ সাদা দেখিতে না পাও। 

বিস্তারিত জানুনঃ   

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ১৬ তারিখ রাতে হায়েজ শুরু হয়ে ১৮ তারিখ সকালে বন্ধ হয়ে যায়,এক্ষেত্রে যেহেতু তিন দিন তিন রাত পূর্ণ হয়নি,তাই এটি হায়েজ নয়।
এটি ইস্তেহাজা।

তারপর ৮ রমাদ্বান অর্থাৎ ৩১ শে মার্চ আবার যে ব্লিডিং হয়,এটিই মূলত হায়েজ।
এক্ষেত্রে আজ ৫ ই মার্চ যে ব্লাড এসেছে,এটিও হায়েজ,তারমানে আপনার হায়েজ আজ সহ ৬ দিন আপনার হায়েজ হলো।
এ কয়দিনের মধ্যে কোনো রোযা রেখে থাকলে সেগুলো পুনরায় কাজা আদায় করতে হবে।
আর এসময়ে নামাজ রোযার দরুন আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিবেম,আল্লাহ তায়ালা মাফ করবেন।

এক্ষেত্রে আর যদি হায়েজ না আসে,সেক্ষেত্রে ৬ ই মার্চ থেকে রোযা শুরু করতে পারবেন।
আর যদি ব্লিডিং চালু থাকে,সেক্ষেত্রে ৯ ই মার্চ অর্থাৎ  ১০ দিন অতিক্রম করে ১১ তম দিনেও চলে গেলে সেক্ষেত্রে ৯ ই মার্চ অর্থাৎ  ১০ দিন পর্ন্ত
 হায়েজ ধরবেন। ১১ তম দিন থেকে ইস্তেহাজা ধরবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

...