আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
125 views
in পবিত্রতা (Purity) by (7 points)
reshown by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়াবারকাতুহ। উস্তায আমার হায়েয শুরু হয় লাস্ট পবিত্র  হবার ৩৩ দিন পরে ৩১ মার্চ। এখনো কমবেশি চলমান আছে, আমি প্রথম ১০ দিন হায়েয গননা করে বাকিদিন গুলো ইস্তিহাযা হিসেবে আমল সলাহ আদায় করতেছি আলহামদুলিল্লাহ৷
আমার প্রশ্ন হলো :
১. এভাবে আরো কিছুদিন কন্টিনিউ করলে আমি কি ১০ দিন হায়েয ধরার পর ১৫ দিন ইস্তিহাযা বা পবিত্রতার সময় হিসেব করে। ১৫ দিন এর পর আবার হায়েয হিসেবে ধরে নিবো?  নাকি ইস্তিহাযা হিসেবেই চলবে। যেহেতু হায়েযের সর্বনিম্ন সীমা ১৫ দিন পবিত্র থাকা।


২. আমার স্বামী নওমুসলিম, প্রায় চার বছর সে ইসলামে এসেছে। বিয়ের এক বছর তিনমাস চলছে। আমরা দুজন দুজনকে আল্লাহর জন্য খুব ভালোবাসি। কিন্তু আমি প্রায় কয়েকদিন  স্বপ্নে দেখি আমার অন্যত্র বিয়ে হচ্ছে পাত্র যে অন্য কেউ তা বুঝি কিন্তু দেখিনা, বা বাসায় বিয়ের  আয়োজন হচ্ছে কারো কথায় বুঝতেছি আমার বিয়ে।  এরকম স্বপ্ন কেনো দেখি এর ব্যাখ্যা কি হতে পারে? আমার হাসবেন্ড এর বাবা মা অমুসলিম। তারা সবসময় চায় বা চেষ্টা করে ছেলে তাদের ধর্মে ফিরুক যেহেতু তাদের বুঝ নেই ইসলামের। তাদের সাথে আমাদের শুধু ফোনে যোগাযোগ হয় আর বাবা মার প্রতি যে দায়িত্ব তা আমার স্বামী  পালন করে।  এমন নয়তো কেউ বিচ্ছেদের চেষ্টা করে তাই এরকম স্বপ্ন দেখি ?
৩. আমার বাবার বাড়ি মফস্বলে, সেখানে কাছাকাছি ১০-১২ কিলোতে কোনো নদী নেই, পুকুর খুব কম বললেই চলে।
প্রায় স্বপ্নে দেখি আমি রাস্তা দিয়ে যাচ্ছি বা বাবার বাড়িতে মফস্বলে  আছি এলাকায়  বন্যা, অথবা অচেনা কোনো পুকুর, নদী, বা অনেক পানি,খাল এ ধরনের কিছু দেখি । পানিতে পাঁচমিশালি মাছ ধরতেছে কেউ, আবার দেখি আমি বাড়িতে বিভিন্ন দাওয়াতের রান্নার  আয়োজন হচ্ছে এরকম। আমি প্রায় স্বপ্নেই পানি দেখি এটা কি কোনো খারাপ লক্ষন হতে পারে?   বা হতে পারে  ওয়াসওয়াসার লক্ষন?

1 Answer

0 votes
by (715,000 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হায়েযের সর্বোচ্ছ সময়সীমা ১০দিন।এ ১০দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে।(বেহেশতী জেওর-১/২০৬) তথা সাদা রং ব্যতীত সকলপ্রকার রং ই হায়েযের অন্তর্ভুক্ত।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-

ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
فَإِنْ لَمْ يُجَاوِزْ الْعَشَرَةَ فَالطُّهْرُ وَالدَّمُ كِلَاهُمَا حَيْضٌ سَوَاءٌ كَانَتْ مُبْتَدَأَةً أَوْ مُعْتَادَةً وَإِنْ جَاوَزَ الْعَشَرَةَ فَفِي الْمُبْتَدَأَةِ حَيْضُهَا عَشَرَةُ أَيَّامٍ وَفِي الْمُعْتَادَةِ مَعْرُوفَتُهَا فِي الْحَيْضِ حَيْضٌ وَالطُّهْرُ طُهْرٌ. هَكَذَا فِي السِّرَاجِ الْوَهَّاجِ.
«الفتاوى الهندية» (1/ 37)
মাঝেমধ্যে হায়েয হওয়া আবার মাঝেমধ্যে বন্ধ হওয়া, দশ দিনের ভিতর সবকিছুই হায়েয হিসেবে গণ্য হবে।চায় এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন ঐ মহিলা প্রথমবার হোক বা এ ব্যাপারে অভ্যস্ত থাকুক।
যদি রক্তস্রাব দশদিন অতিক্রম করে যায়, তাহলে প্রথমবার এ পরিস্থিতির সম্মুখিন মহিলার জন্য দশদিন হায়েয। আর কোনো এক সংখ্যায় আদত ওয়ালী মহিলার জন্য তার পূর্বের আদতই হায়েয় এবং বাদবাকী সময় তুহুর। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৭,কিতাবুল-ফাতাওয়া-২/১০৮,কিতাবুন-নাওয়াযিল-৩/১৭২)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/7474


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি ১০ দিন হায়েয ধরে নিয়ে, তারপর ১৫ দিন ইস্তেহাযা ধরে নিবেন।তারপরও যদি রক্তস্রাব থাকে, তাহলে ১৫ দিন ইস্তেহাযা ধরে নেয়ার পর আবার ১০ দিননকে হায়েয ধরে নিবেন।এভাবেই বিষয়টা চলবে।

(২)
না, এরকম স্বপ্নের অর্থ হলো, আপনার ভবিষ্যত জীবন কল্যাণময় হবে।ইনশা'আল্লাহ।কেননা বিবাহিত লোকের স্বপ্নে নিজেকে বিয়ে করার অর্থই হল, কল্যাণ ও বরকত।

(৩)
স্বপ্নে নদী বা মাছ দেখাও কল্যাণের দিকে ইশারা।আপনি আল্লাহর ইবাদত করতে থাকুন।আপনার ভবিষ্যৎ জীবন কল্যাণময় হবে, ইনশা'আল্লাহ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

...